ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ ট্রাম্পের নতুন ‘সীমান্ত জার’ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কতটা কঠোর হবেন জাবিতে পাখি সুরক্ষায় ছাত্রদলের ভিন্নধর্মী উদ্যোগ যে পাখি উড়ন্ত অবস্থায় ডিম পাড়ে, মাটিতে পড়ার আগে বাচ্চা ফুটে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পররাষ্ট্র-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন যারা প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের খাবার কর্মসূচি চালু করা হবে : উপদেষ্টা উপদেষ্টা ফারুকী-বশিরকে নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মাহফুজ আলম নেতাকর্মীদের রেখে স্বার্থপরের মত পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা অন্তর্বর্তী সরকারই নির্ধারণ করবে: সেনাসদর জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে এলডিসি’র বৈঠকে যা বললেন ড. ইউনূস

একটি মহল বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি করছে

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, একটি মহল বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি করে দিচ্ছে। বিচার বিভাগের  ছোট ছোট সমস্যাগুলো ঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না, বরং তা উল্টোভাবে সরকার প্রধানের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রশাসনকে ভুল বোঝানো হয়েছে। বলা হচ্ছে- বিচার বিভাগ প্রশাসনের প্রতিপক্ষ। এটা অত্যন্ত ভুল ধারণা। কোনোদিনই বিচার বিভাগ প্রশাসন বা সরকারের প্রতিপক্ষ হয়নি। আমি আশা রাখব, বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে যারা আছেন, তারা ভুল রিপোর্ট দেবেন না সরকার প্রধানকে। তারা ঠিক রিপোর্ট দেবেন, যাতে বিচার বিভাগ এবং সরকার সুন্দরভাবে চলে।
গতকাল বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ‘অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রের দু’টি অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় না থাকার সমস্যার দিকটি তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যদি বিচার বিভাগ ও সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকে, তাহলে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার এবং এক্সিকিউটিভে যারা আছেন, তারা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা যায়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সভাপতির বক্তব্যে এ কমিশনকে দেশের সবচেয়ে কার্যকরী কমিশন হিসেবে তুলে ধরে নিজস্ব ভবনের দাবি করেন। অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞা বলেন, এই অ্যাপ্লিকেশনটি চালু হওয়ায় দেশে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হবে।
আনুষ্ঠানে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব পরেশ চন্দ্র শর্মা। এরপরই প্রধান অতিথি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সবশেষে প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) কমিশনের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম উদ্বোধন করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আইন উপদেষ্টাকে হেনস্তা জেনেভা মিশনের শ্রম কাউন্সেলরকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ

একটি মহল বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি করছে

আপডেট টাইম : ০৬:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মার্চ ২০১৭

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, একটি মহল বিচার বিভাগের সঙ্গে প্রশাসনের দূরত্ব তৈরি করে দিচ্ছে। বিচার বিভাগের  ছোট ছোট সমস্যাগুলো ঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না, বরং তা উল্টোভাবে সরকার প্রধানের কাছে তুলে ধরা হচ্ছে। প্রশাসনকে ভুল বোঝানো হয়েছে। বলা হচ্ছে- বিচার বিভাগ প্রশাসনের প্রতিপক্ষ। এটা অত্যন্ত ভুল ধারণা। কোনোদিনই বিচার বিভাগ প্রশাসন বা সরকারের প্রতিপক্ষ হয়নি। আমি আশা রাখব, বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে যারা আছেন, তারা ভুল রিপোর্ট দেবেন না সরকার প্রধানকে। তারা ঠিক রিপোর্ট দেবেন, যাতে বিচার বিভাগ এবং সরকার সুন্দরভাবে চলে।
গতকাল বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের ‘অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রের দু’টি অঙ্গের মধ্যে সমন্বয় না থাকার সমস্যার দিকটি তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘যদি বিচার বিভাগ ও সরকারের মধ্যে সুসম্পর্ক না থাকে, তাহলে সরকারই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার এবং এক্সিকিউটিভে যারা আছেন, তারা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা যায়।
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান ও আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সভাপতির বক্তব্যে এ কমিশনকে দেশের সবচেয়ে কার্যকরী কমিশন হিসেবে তুলে ধরে নিজস্ব ভবনের দাবি করেন। অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহাব মিঞা বলেন, এই অ্যাপ্লিকেশনটি চালু হওয়ায় দেশে বিচারক নিয়োগের প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ হবে।
আনুষ্ঠানে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব পরেশ চন্দ্র শর্মা। এরপরই প্রধান অতিথি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ও জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জিকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সবশেষে প্রধান বিচারপতি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) কমিশনের অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম উদ্বোধন করেন।