বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নিজের জীবনের নানাবিধ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
রোববার রাজধানীর ঢাকা কলেজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নই আমার জীবনের লক্ষ্য। তার স্বপ্নের বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো, এটাই আমার শপথ।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতাকে একদম পিষে ফেলা হয়েছিল। ঘুষ ও দুর্নীতি তখন থেকেই শুরু হয়। তবে এখন আবার বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শক্তভাবে দেশের হাল ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে দেশের সবস্তরে এখন উন্নয়ের ছোঁয়া লেগেছে।
নতুন প্রজন্মের প্রশংসা করে নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম মেধার দিক থেকে দরিদ্র নয়। তারা বিশ্বমানের মেধার অধিকারী। তারাই উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে দক্ষতা, যোগ্যতা নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে পারবে।
স্বাধীনতার আগে ও পরে নানা আন্দোলন ও সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরে নাহিদ বলেন, আমরা অনেক কষ্ট ও চেষ্টার পর নতুন একটি শিক্ষানীতি জাতিকে উপহার দিয়েছি। আমরা শিক্ষানীতির নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা পরিচালনা করছি। আধুনিক যুগের উন্নত শিক্ষা ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষায় তরুণ প্রজন্মকে গড়ে তোলাই বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার একমাত্র লক্ষ্য।
শিক্ষার্থীদের মানবিক হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আপনাদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। দেশ ও জাতির প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে। নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসা থাকলে জাতির প্রতি কর্তব্য পালন করা সম্ভব। কেননা, আপনারাই হচ্ছেন দেশের আগামীর ভবিষ্যত।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন কার্যক্রমে মেধাবীদের সহযোগিতা করতে আমরা সব সময় চেষ্টা করি। অল্প পরিসরে ও পরিমাণে অল্প হলেও অর্থ সহায়তা করে থাকি। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে শিক্ষা সফরের আয়োজন করে থাকি।
পরে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষামন্ত্রীর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত একটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষাসচিব সোহরাব হোসাইন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লাহসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।