ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মা-মেয়ের অদম্য চেষ্টা শিক্ষার জন্য

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজান রামদয়াল তহসিলদারপাড়ার প্রতিবন্ধী মেয়ে পিউ দাশ (১৭)। এ বয়সে তার উচ্চতা মাত্র ২ ফুট। ওজন ২০ কেজি। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও লেখাপড়ায় তার অদম্য ইচ্ছা।

১০ বছর ধরে তার মা কৃষ্ণা দাশ প্রতিদিন পিউকে কোলে করে হেঁটে দেড় কিলোমিটার দূরে স্কুলে নিয়ে যান। বর্তমানে সে লোহাগাড়ার সুখছড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। পিউ হাঁটতে শেখার পর থেকেই একটু হাঁটলে পায়ের হাড় ভেঙে যায়। বাবা রণজিৎ দাশ স্থানীয় বাজারে ছোট একটি মুদির দোকান চালান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ধারদেনা করে পিউর চিকিৎসার জন্য চার–পাঁচ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না।

মেয়ে পিউ দাশের শিক্ষার জন্য মা কৃষ্ণা দাশের অদম্য চেষ্টা। ছবি: বাঙালী কণ্ঠ কৃষ্ণা দাশ বলেন, ‘আমার মেয়ের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। প্রতিবেশীরা নানা কটূক্তি করে। মেয়েকে স্কুলে না নেওয়ার জন্য বলে। আমি মনে করি, মেয়েটি অন্তত এসএসসি পাস করলে একটি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার কম্পিউটার শেখারও খুব শখ।’

পিউ বলে, ‘মা বেঁচে আছেই বলে আমি এখনো বাঁচার স্বপ্ন দেখি। ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে চাই না।’

বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মা-মেয়ের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে অভিভূত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

মা-মেয়ের অদম্য চেষ্টা শিক্ষার জন্য

আপডেট টাইম : ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজান রামদয়াল তহসিলদারপাড়ার প্রতিবন্ধী মেয়ে পিউ দাশ (১৭)। এ বয়সে তার উচ্চতা মাত্র ২ ফুট। ওজন ২০ কেজি। কিন্তু শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও লেখাপড়ায় তার অদম্য ইচ্ছা।

১০ বছর ধরে তার মা কৃষ্ণা দাশ প্রতিদিন পিউকে কোলে করে হেঁটে দেড় কিলোমিটার দূরে স্কুলে নিয়ে যান। বর্তমানে সে লোহাগাড়ার সুখছড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। পিউ হাঁটতে শেখার পর থেকেই একটু হাঁটলে পায়ের হাড় ভেঙে যায়। বাবা রণজিৎ দাশ স্থানীয় বাজারে ছোট একটি মুদির দোকান চালান। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ধারদেনা করে পিউর চিকিৎসার জন্য চার–পাঁচ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না।

মেয়ে পিউ দাশের শিক্ষার জন্য মা কৃষ্ণা দাশের অদম্য চেষ্টা। ছবি: বাঙালী কণ্ঠ কৃষ্ণা দাশ বলেন, ‘আমার মেয়ের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। প্রতিবেশীরা নানা কটূক্তি করে। মেয়েকে স্কুলে না নেওয়ার জন্য বলে। আমি মনে করি, মেয়েটি অন্তত এসএসসি পাস করলে একটি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তার কম্পিউটার শেখারও খুব শখ।’

পিউ বলে, ‘মা বেঁচে আছেই বলে আমি এখনো বাঁচার স্বপ্ন দেখি। ভবিষ্যতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই। পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে চাই না।’

বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মা-মেয়ের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ দেখে অভিভূত।