বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এসএসসি পরীক্ষায় আজ রোববার আইসিটি বিষয়ের পরীক্ষা শুরুর সময় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে বিটিআরসির নির্দেশনায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় বন্ধ ছিল মোবাইল ইন্টারনেট।এই নির্দেশনা কেবল মোবাইল অপারেটরগুলোকেই দেয়া হয়েছিল। আজ পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল।”তবে এসএসসির বাকি পরীক্ষাগুলোর সকালেও মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এবার এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছিলেন, প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার দিনগুলোতে সীমিত সময়ের জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখার কথা ভাবা হচ্ছে। অবশ্য পরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তারা ‘অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা’ নেবেন।
একটি মোবাইল অপারেটরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, রোববার সকালে বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপেরেটরস বিভাগ থেকে চিঠি দিয়ে তাদের সকাল ৯টায় ইন্টারনেট বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ‘প্রযুক্তিগত কারণে’ বন্ধ করতে করতে সাড়ে ৯টা বেজে যায়।
ওই সময়ে দেশে মোবাইল অপারেটর ট্রাফিক পড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইন্টারনেট গেইটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিক থেকে মোটামুটি ১০টা পর্যন্ত ইন্টারেনেটে মোবাইল অপারেটর ট্রাফিক একেবারেই কমে গিয়েছিল। ১০টার পর আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু হরে।” তবে ওই সময় আইএসপিগুলোর ইন্টারনেট সেবায় কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, বিটিআরসি থেকে আইএসপিগুলোর ইন্টারনেট বন্ধের কোনো নির্দেশনা ছিল না।বিটিআরসির হিসাবে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল আট কোটির বেশি। এর মধ্যে সাড়ে ৭ কোটি গ্রাহকই মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
দেশে ধারাবাহিক জঙ্গি হামলা ও হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে জঙ্গিদের যোগাযোগের পথ বন্ধ করার কারণ দেখিয়ে ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর দেড় ঘণ্টা ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয় বাংলাদেশে। পরে ইন্টারনেট চালু হলেও ২২ দিন বাংলাদেশে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বেশ কয়েকটি অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ রাখে সরকার।
উল্লেখ্য, সরকার নানাভাবে চেষ্টা করেও স্কুল-কলেজের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে পারছে না। একের পর এক প্রশ্নফাঁস হচ্ছেই। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ইমোসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের মোবাইলে মোবাইলে। গত বছর পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষায় প্রায় প্রতিটি বিষয়ে প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার পর এবার এসএসসিতে আধা ঘণ্টা আগে পরীক্ষার্থীদের হলে থাকা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি প্রশ্নের প্যাকেট খোলার ক্ষেত্রে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাচ্ছে।