ঢাকা , রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেওয়া হবে : প্রতিমন্ত্রী

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেওয়া হবে উল্লেখ করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, ২০১০ এর জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নামমাত্র লাইব্রেরিয়ানের পদ রয়েছে যিনি অপেশাদার ও লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ নন। এর পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনায় ডিগ্রিধারী, দক্ষ ও পেশাদার তথা যোগ্য লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ উপযোগী কার্যকর লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম লাইব্রেরি ও বই মনস্ক হয়ে গড়ে ওঠে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।’

রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর ও ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ‘গণগ্রন্থাগারের উন্নয়নে জাতীয় নীতি বিষয়ক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড প্রকল্পের আওতায় একটি যুগোপযোগী ও আধুনিক গণগ্রন্থাগার নীতিমালা তৈরিই এ কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। আর এটি সফলভাবে করতে পারলে তা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি বড় অর্জন হবে। আর এ ধরনের নীতিমালা তৈরির জন্য প্রয়োজন গণগ্রন্থাগার সম্পর্কিত সব অংশীজনদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও তাদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ।

গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড প্রোগ্রাম পরিচালক কার্স্টি ক্রফোর্ড। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের উপপরিচালক অ্যান্ড্রু নিউটন। আরও বক্তব্য দেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এ জে এম আব্দুল্লাহেল বাকী।

কর্মশালায় ঢাকা ও বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সরকারি-বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের প্রতিনিধি, লাইব্রেরি প্রফেশনাল, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, গবেষক, প্রকাশনা সংস্থার প্রতিনিধি, গ্রন্থাগার সম্পর্কিত পেশাদার সংগঠনের প্রতিনিধি, গ্রন্থাগার খাতের সেবাগ্রহিতা, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেওয়া হবে : প্রতিমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেওয়া হবে উল্লেখ করেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, ২০১০ এর জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজন লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নামমাত্র লাইব্রেরিয়ানের পদ রয়েছে যিনি অপেশাদার ও লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনায় দক্ষ নন। এর পরিবর্তন ঘটিয়ে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনায় ডিগ্রিধারী, দক্ষ ও পেশাদার তথা যোগ্য লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ দেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ উপযোগী কার্যকর লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম লাইব্রেরি ও বই মনস্ক হয়ে গড়ে ওঠে। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করা হবে।’

রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর ও ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ‘গণগ্রন্থাগারের উন্নয়নে জাতীয় নীতি বিষয়ক কর্মশালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড প্রকল্পের আওতায় একটি যুগোপযোগী ও আধুনিক গণগ্রন্থাগার নীতিমালা তৈরিই এ কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য। আর এটি সফলভাবে করতে পারলে তা সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি বড় অর্জন হবে। আর এ ধরনের নীতিমালা তৈরির জন্য প্রয়োজন গণগ্রন্থাগার সম্পর্কিত সব অংশীজনদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও তাদের সুচিন্তিত মতামত গ্রহণ।

গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের লাইব্রেরিজ আনলিমিটেড প্রোগ্রাম পরিচালক কার্স্টি ক্রফোর্ড। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের উপপরিচালক অ্যান্ড্রু নিউটন। আরও বক্তব্য দেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এ জে এম আব্দুল্লাহেল বাকী।

কর্মশালায় ঢাকা ও বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সরকারি-বেসরকারি গণগ্রন্থাগারের প্রতিনিধি, লাইব্রেরি প্রফেশনাল, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, গবেষক, প্রকাশনা সংস্থার প্রতিনিধি, গ্রন্থাগার সম্পর্কিত পেশাদার সংগঠনের প্রতিনিধি, গ্রন্থাগার খাতের সেবাগ্রহিতা, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।