বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। আর এসব ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছে ছোট ছোট কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাই সব সময়ই আতঙ্কে থাকছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। কখন বিদ্যালয়ের ছাদ ধসে পড়ে ঘটবে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ফলে ওই সকল ভবনে পাঠদান হয়ে পড়েছে চরম ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়াও প্রতিবছর কোনো না কোনো খাত থেকে ভবনগুলো সংস্করণ করা হলেও পাঠদানের উপযোগী হয়ে উঠে না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্মিত প্রতিষ্ঠানগুলো কিংবা ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আইনগত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করার ফলে বছরের পর বছর শিক্ষাখাতে ভবন নির্মাণের জন্য অর্থ কোনো কাজে আসছে না। উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১৪২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৪টি বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৭টি বিদ্যালয়ের অবস্থা খুবই নাজুক। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলো হলো-দক্ষিণ পশ্চিম কালাগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাবুনিয়া হাবিবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চৈতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর রানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মজিদবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গাবুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
যদিও বাস্তবে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের সংখ্যা এর দ্বিগুণ। এ সকল ভবনের কোনোটির ছাদ ধসে পড়েছে, কোনোটির পিলার ভেঙে গেছে, কোনোটির ছাদ দিয়ে পানি পড়ছে। কোনোটির বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে সারাক্ষণই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আতঙ্কের মধ্যে পাঠদানসহ শিক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে হচ্ছে। পশ্চিম দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসলেহ উদ্দীন মিন্টু জানান, প্রায় ১০ বছর আগেই বিদ্যালয়টি মৌখিকভাবে।
পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও এখনো পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে পাঠ দান করতে হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে না পারছি খোলা আকাশের নিচে না পারছি বিদ্যালয় ভবনে পাঠদান করতে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোসা. জিনাত জাহান ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোর সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, এসব বিদ্যালয়ের নামের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কিছু কিছু ভবনের টেন্ডারও হয়েছে কিন্তু কাজ শুরু হয়নি।