ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  জননন্দিত কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল গাজীপুর সদর উপজেলা পিরুজালী গ্রামের নুহাশপল্লীতে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ভক্তদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে লেখকের প্রিয় এই নিভৃত পল্লী। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত ভক্ত নুহাশপল্লীতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। আশপাশের এতিমখানা ও মাদরাসার ছাত্ররা কোরআন তেলাওয়াত করেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হুমাযূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার দুই পুত্র সন্তান নিয়ে স্বামীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ
করেন। এসময় অসংখ্য হুমায়ূন ভক্ত, হিমু ও রূপার চরিত্র সেজে প্রিয় লেখকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও কবরে ফুল দেন হুমায়ূনের দুই বোন ও অন্যান্য স্বজন। হিমু পরিবহনে চড়ে আসেন হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমুরা এবং বিভিন্ন সাজে রূপাদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পায় নুহাশপল্লী। তারাও এসেছেন প্রিয় লেখককে স্মরণ করতে। কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, আমরা বিশেষ দিনে কেবল নয়, সারা বছর হুমায়ূনকে স্মরণ করি। আগামী ১৩ই নভেম্বর হুমায়ূনের জন্মদিন থেকে নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন স্মৃতি জাদুঘরের অংশ বিশেষ চালু করা হবে। জনপ্রিয় এই লেখকের মৃত্যুবার্ষিকীতে সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে তার ভক্তরা নুহাশপল্লীতে ভিড় জমাতে থাকেন। উল্লেখ্য, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯শে জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাংলা সাহিত্যের জাদুকর, নাট্যকার, নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। পরে ২৪শে জুলাই গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামে তার ভালোবাসার ছোঁয়ায় গড়া বিস্তীর্ণ সবুজে ঘেরা নুহাশপল্লীর লিচুগাছ তলায় তাকে দাফন করা হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী পালন

আপডেট টাইম : ০৬:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  জননন্দিত কথা সাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল গাজীপুর সদর উপজেলা পিরুজালী গ্রামের নুহাশপল্লীতে কোরআনখানি, দোয়া মাহফিলসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ভক্তদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে লেখকের প্রিয় এই নিভৃত পল্লী। বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত ভক্ত নুহাশপল্লীতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। আশপাশের এতিমখানা ও মাদরাসার ছাত্ররা কোরআন তেলাওয়াত করেন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে হুমাযূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন তার দুই পুত্র সন্তান নিয়ে স্বামীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ
করেন। এসময় অসংখ্য হুমায়ূন ভক্ত, হিমু ও রূপার চরিত্র সেজে প্রিয় লেখকের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও কবরে ফুল দেন হুমায়ূনের দুই বোন ও অন্যান্য স্বজন। হিমু পরিবহনে চড়ে আসেন হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমুরা এবং বিভিন্ন সাজে রূপাদের পদচারণায় প্রাণ ফিরে পায় নুহাশপল্লী। তারাও এসেছেন প্রিয় লেখককে স্মরণ করতে। কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মেহের আফরোজ শাওন বলেন, আমরা বিশেষ দিনে কেবল নয়, সারা বছর হুমায়ূনকে স্মরণ করি। আগামী ১৩ই নভেম্বর হুমায়ূনের জন্মদিন থেকে নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন স্মৃতি জাদুঘরের অংশ বিশেষ চালু করা হবে। জনপ্রিয় এই লেখকের মৃত্যুবার্ষিকীতে সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে তার ভক্তরা নুহাশপল্লীতে ভিড় জমাতে থাকেন। উল্লেখ্য, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১২ সালের ১৯শে জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাংলা সাহিত্যের জাদুকর, নাট্যকার, নাট্য ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদ। পরে ২৪শে জুলাই গাজীপুরের পিরুজালী গ্রামে তার ভালোবাসার ছোঁয়ায় গড়া বিস্তীর্ণ সবুজে ঘেরা নুহাশপল্লীর লিচুগাছ তলায় তাকে দাফন করা হয়।