ঢাকা , বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষমা চাইলেন তাসরিফ খান

শুধু গানেই নয়, সামাজিক নানা কাজেও ভক্তমহলে বেশ প্রশংসিত সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান। দেশের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেও সরব ছিলেন ‘কুঁড়েঘর’র ব্যান্ডের এই ভোকাল।

এবার নিজের ব্যান্ডদল নিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন তাসরিফ খান। যা তিনি নিজেই জানালেন ফেসবুকে। গতকাল রবিবার রাতে ‘কুঁড়েঘর’র সদস্যদের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘রাত ৩টা বেজে ৪ মিনিট, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমার সমস্ত শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখা শুরু করছি। মাঝে মাঝে কথা বলা উচিত, কথা বলতে হয়। কুঁড়েঘর ব্যান্ডের ৮ বছরের যাত্রায় আজকের রাতের মতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার আমরা এর আগে হইনি।’

তাসরিফ খান আরও লিখেছেন, ‘মূলত এই কনসার্ট এর আয়োজক ছিল জাবির “মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি”। প্রথমে আমাদের স্টেজ টাইম জানানো হয় ১০ তারিখ রাত ৮ টায়। শো-এর আগের দিন আয়োজকরা আমাদের বলেন আমরা স্টেজে উঠব রাত ১১ টায়। উনাদের জানানো সময় অনুযায়ি আমরা রাত ১০ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাই। এসেই শুনি উনাদের প্রোগ্রামে মিস ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, আমাদেরকে আরও পরে উঠানো হবে। সময় গড়াতে গড়াতে রাত ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আমরা জানতে পারি তাদের মিস ম্যানেজমেন্টের জন্য আমাদের পারফর্ম করা হচ্ছে না।’

আয়োজকদের উদ্দেশে এই গায়ক লিখেছেন, ‘আপনারা যে শুধু একটা ব্যান্ডকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে পারফর্ম করতে দেননি ব্যাপারটা তা নয়, আপনারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন আমাদের শ্রোতাদের। তাদের অনেকেই এই পোস্ট না দেখলে হয়তো এটাও জানতো না যে “কুঁড়েঘর” এসেছিল এবং তাদের মতোই অপেক্ষা করে ছিল তাদের গান শোনাতে!’

হতাশা প্রকাশ করে এই শিল্পী লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড সিনারিওতে এই গল্প কোনো নতুন গল্প নয়। বাস্তবতা হচ্ছে সকল ব্যান্ড প্রায় সব কনসার্টেই সময় মতো পৌঁছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পরে পারফর্ম করে এবং কেউ এটা নিয়ে কখনও অভিযোগ করে না। আমরা যারা ব্যান্ড করে পারফর্ম করে বেড়াই, কেবল আমরাই জানি একটা কনসার্টের গুরুত্ব আমাদের কাছে কতটুকু রয়েছে কিংবা প্রতি শোয়ের পেছনে আমাদের কত গল্প কত আবেগ জড়িয়ে থাকে।’

জাবির শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশে তাসরিফ লিখেছেন, ‘আজকে যারা আমাদের শ্রোতা হয়ে অপেক্ষা করেছেন, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পরম ভালোবাসার একটি প্রতিষ্ঠান। নিশ্চয় আবার দেখা হয়ে যাবে আপনাদের সঙ্গে।’

সবশেষ ক্ষোভের ভাষাও প্রকাশ হয়েছে তার লেখায়। তাসরিফ খান জানান, জাবিতে এই আয়োজনে যাদের ডাকে পারফর্ম করতে এসেছিলেন, তাদের ডাকে ব্যান্ড ‘কুঁড়েঘর’ কখনোই কোনো কনসার্টে অংশ গ্রহণ করবে না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ক্ষমা চাইলেন তাসরিফ খান

আপডেট টাইম : ১২:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪

শুধু গানেই নয়, সামাজিক নানা কাজেও ভক্তমহলে বেশ প্রশংসিত সংগীতশিল্পী তাসরিফ খান। দেশের বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেও সরব ছিলেন ‘কুঁড়েঘর’র ব্যান্ডের এই ভোকাল।

এবার নিজের ব্যান্ডদল নিয়ে বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন তাসরিফ খান। যা তিনি নিজেই জানালেন ফেসবুকে। গতকাল রবিবার রাতে ‘কুঁড়েঘর’র সদস্যদের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘রাত ৩টা বেজে ৪ মিনিট, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমার সমস্ত শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখা শুরু করছি। মাঝে মাঝে কথা বলা উচিত, কথা বলতে হয়। কুঁড়েঘর ব্যান্ডের ৮ বছরের যাত্রায় আজকের রাতের মতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার আমরা এর আগে হইনি।’

তাসরিফ খান আরও লিখেছেন, ‘মূলত এই কনসার্ট এর আয়োজক ছিল জাবির “মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি”। প্রথমে আমাদের স্টেজ টাইম জানানো হয় ১০ তারিখ রাত ৮ টায়। শো-এর আগের দিন আয়োজকরা আমাদের বলেন আমরা স্টেজে উঠব রাত ১১ টায়। উনাদের জানানো সময় অনুযায়ি আমরা রাত ১০ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাই। এসেই শুনি উনাদের প্রোগ্রামে মিস ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, আমাদেরকে আরও পরে উঠানো হবে। সময় গড়াতে গড়াতে রাত ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আমরা জানতে পারি তাদের মিস ম্যানেজমেন্টের জন্য আমাদের পারফর্ম করা হচ্ছে না।’

আয়োজকদের উদ্দেশে এই গায়ক লিখেছেন, ‘আপনারা যে শুধু একটা ব্যান্ডকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে পারফর্ম করতে দেননি ব্যাপারটা তা নয়, আপনারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন আমাদের শ্রোতাদের। তাদের অনেকেই এই পোস্ট না দেখলে হয়তো এটাও জানতো না যে “কুঁড়েঘর” এসেছিল এবং তাদের মতোই অপেক্ষা করে ছিল তাদের গান শোনাতে!’

হতাশা প্রকাশ করে এই শিল্পী লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ব্যান্ড সিনারিওতে এই গল্প কোনো নতুন গল্প নয়। বাস্তবতা হচ্ছে সকল ব্যান্ড প্রায় সব কনসার্টেই সময় মতো পৌঁছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পরে পারফর্ম করে এবং কেউ এটা নিয়ে কখনও অভিযোগ করে না। আমরা যারা ব্যান্ড করে পারফর্ম করে বেড়াই, কেবল আমরাই জানি একটা কনসার্টের গুরুত্ব আমাদের কাছে কতটুকু রয়েছে কিংবা প্রতি শোয়ের পেছনে আমাদের কত গল্প কত আবেগ জড়িয়ে থাকে।’

জাবির শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশে তাসরিফ লিখেছেন, ‘আজকে যারা আমাদের শ্রোতা হয়ে অপেক্ষা করেছেন, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পরম ভালোবাসার একটি প্রতিষ্ঠান। নিশ্চয় আবার দেখা হয়ে যাবে আপনাদের সঙ্গে।’

সবশেষ ক্ষোভের ভাষাও প্রকাশ হয়েছে তার লেখায়। তাসরিফ খান জানান, জাবিতে এই আয়োজনে যাদের ডাকে পারফর্ম করতে এসেছিলেন, তাদের ডাকে ব্যান্ড ‘কুঁড়েঘর’ কখনোই কোনো কনসার্টে অংশ গ্রহণ করবে না।