ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

প্রবীর মিত্রের জানাজায় ক্ষমা চাইলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রবিবার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পর্দার নবাব’খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র। আজ সোমবার এই অভিনেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে। বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা। এরপর অভিনেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চ্যানেল আই প্রঙ্গনে।

এদিকে, প্রবীর মিত্রকে শেষ বিদায় জানাতে এফডিসিতে এসেছিলেন নায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, মিশা সওদাগর, মেহেদী, বাপ্পী চৌধুরী, অভিনয়শিল্পী সুব্রত, নাসরিন, রোমানা মুক্তি, পরিচালক ছটকু আহমেদ, দেলোয়ার জাহার ঝণ্টু, শাহিন সুমন, মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাইফ চন্দনসহ অনেকে।

কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে শেষ বিদায়ে জানাতে আবার অনেক সহশিল্পী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও তারকারা আসেননি। যা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

প্রবীর মিত্রের জানাজা শেষে সকলের উদ্দেশ্যে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সবাইকে চলে যেতে হবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু কে কীভাবে যাবে, সেটাই হল তার ভাগ্য। আখেরাত যার সুন্দর হবে তিনি হলেন সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবান। সেদিক দিয়ে আমাদের প্রবীরদা অনেক ভাগ্যবান। সহকর্মী হিসেবে আমরা তাকে দেখেছি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে অনেকেই আসতে পারেননি। তারপরও অনেকেই এসেছেন। এটা নিয়ে তো আমার কিছু বলার নেই। যারা এসেছেন এবং যারা আসতে পারেননি, সবাই প্রবীর দাদার জন্য দোয়া করবেন। আর এখানে যদি আমার জানাজা হয়, তাহলে আপনারা সবাই আমার জানাজায় আসবেন। আমি আমন্ত্রণ জানালাম। সেই সঙ্গে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’

উল্লেখ্য, ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।

১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ সিনেমা দিয়ে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান প্রবীর মিত্র। যদিও সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এরপর চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা।

‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একসাথে সাকিব-তামিম

প্রবীর মিত্রের জানাজায় ক্ষমা চাইলেন ইলিয়াস কাঞ্চন

আপডেট টাইম : ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রবিবার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন পর্দার নবাব’খ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র। আজ সোমবার এই অভিনেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রিয় কর্মস্থল এফডিসিতে। বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জানাজা। এরপর অভিনেতার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চ্যানেল আই প্রঙ্গনে।

এদিকে, প্রবীর মিত্রকে শেষ বিদায় জানাতে এফডিসিতে এসেছিলেন নায়ক আলমগীর, উজ্জ্বল, ইলিয়াস কাঞ্চন, মিশা সওদাগর, মেহেদী, বাপ্পী চৌধুরী, অভিনয়শিল্পী সুব্রত, নাসরিন, রোমানা মুক্তি, পরিচালক ছটকু আহমেদ, দেলোয়ার জাহার ঝণ্টু, শাহিন সুমন, মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাইফ চন্দনসহ অনেকে।

কিংবদন্তি এই অভিনেতাকে শেষ বিদায়ে জানাতে আবার অনেক সহশিল্পী, শুভাকাঙ্ক্ষী ও তারকারা আসেননি। যা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

প্রবীর মিত্রের জানাজা শেষে সকলের উদ্দেশ্যে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সবাইকে চলে যেতে হবে, এটাই নিয়ম। কিন্তু কে কীভাবে যাবে, সেটাই হল তার ভাগ্য। আখেরাত যার সুন্দর হবে তিনি হলেন সবচেয়ে বেশি ভাগ্যবান। সেদিক দিয়ে আমাদের প্রবীরদা অনেক ভাগ্যবান। সহকর্মী হিসেবে আমরা তাকে দেখেছি। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ভালো একজন মানুষ। আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে অনেকেই আসতে পারেননি। তারপরও অনেকেই এসেছেন। এটা নিয়ে তো আমার কিছু বলার নেই। যারা এসেছেন এবং যারা আসতে পারেননি, সবাই প্রবীর দাদার জন্য দোয়া করবেন। আর এখানে যদি আমার জানাজা হয়, তাহলে আপনারা সবাই আমার জানাজায় আসবেন। আমি আমন্ত্রণ জানালাম। সেই সঙ্গে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’

উল্লেখ্য, ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন প্রবীর মিত্র। পুরান ঢাকায় বড় হওয়া প্রবীর মিত্র স্কুলজীবন থেকেই নাট্যচর্চার সঙ্গে যুক্ত হন। স্কুলজীবনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন তিনি।

১৯৬৯ সালে প্রয়াত এইচ আকবরের ‘জলছবি’ সিনেমা দিয়ে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান প্রবীর মিত্র। যদিও সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রবীর মিত্র ‘নায়ক’ হিসেবে কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এরপর চরিত্রাভিনেতা হিসেবে কাজ করেও তিনি পেয়েছেন দর্শকপ্রিয়তা।

‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’সহ চার শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।