বলিউড তারকা ডিনো মরিয়া ও বিপাশা বসু বেশ কয়েক বছর সম্পর্কে ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের সেই সম্পর্ক বিয়ে অব্দি গড়ায়নি। দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। সম্প্রতি এক আলাপচারিতায় এই বিচ্ছেদের বিষয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেতা। বিচ্ছেদের প্রায় ২৩ বছর পর জানিয়েছেন, বিচ্ছেদের সূত্রপাত করেছিলেন তিনি নিজেই।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০২ সালে ডিনো ও বিপাশার ছবি ‘রাজ’-এর শুটিং চলাকালীন তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়।সে সময় বিপাশার পক্ষে সেই বিচ্ছেদ মেনে নেওয়া খুব কঠিন ছিল।
আলাপচারিতায় ডিনো জানান, যেহেতু তারা ‘রাজ’-এর শুটিং চলাকালীন আলাদা হয়ে যাচ্ছিলেন, তাই প্রতিদিন একে অপরের সঙ্গে দেখা এবং কাজ করার প্রক্রিয়াটি তাদের মধ্যে টানাপোড়েন বাড়ায় ও সম্পর্কে আরও জটিলতা বাড়ায়।
বিচ্ছেদের প্রায় ২৩ বছর পর অভিনেতা স্বীকার করেন,‘সত্যি বলতে, আমাদের কিছু সমস্যা থাকার কারণে আমিই ওর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছিলাম। ওর কাছে খুবই কঠিন ছিল এবং আমি ওকে প্রতিদিন সেটে দেখতাম এবং ও খুবই বিরক্ত ছিল।’
‘সেই সময়ে আমার পক্ষে এমন কাউকে দেখা খুব কঠিন ছিল যাকে আমি সত্যিই একসময় যত্ন করতাম, কিন্তু আমরা ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিলাম। আমরা এটি ঠিক করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তা হয়নি এবং আমি এগিয়ে যাই’, যোগ করেন ডিনো।
পরিস্থিতি তাদের পেশাদার জীবনের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলেছিল- এর বিশদ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘এটি কঠিন ছিল। কারণ, আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি এবং তারপরে আমরা হঠাৎ আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম। যখন এটা হচ্ছিল, তখন আমাদের একসঙ্গে কাজ করতেও হয়েছিল। আমরা মন খারাপ করেছিলাম, কিন্তু আমাদের আলাদা হতে হয়েছিল।’
ডিনো আরও বলেন, ‘সময় সবকিছু ঠিক করে দেয় এবং তার পরে আমরা সেরা বন্ধু হয়ে উঠি। সেই মুহূর্তটি খুব কঠিন ছিল-আবেগপ্রবণ, রাগও ছিল-কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যায়।’
অন্য এক সাক্ষাৎকারে ‘রাজ’র পরিচালক বিক্রম ভাট বলেছিলেন, ডিনো ও বিপাশার ভাঙা সম্পর্ক কীভাবে ছবিটিকে প্রভাবিত করেছিল। তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে একটি ট্র্যাজিক পরিস্থিতির কথা। যেখানে আমরা তাদের বিয়ের গান, ‘‘ম্যায় আগর সামনে’’-এর শুটিং করছিলাম। গানটিতে এই লাইনটি আছে – ‘‘আপনি শাদি কে দিন অব নাহি দূর হ্যায়’’ এবং এই দৃশ্যের সময় তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। আমার মনে আছে বিপাশা কাঁদছিল এবং ডিনো অসন্তুষ্ট ছিল।’
ওই সময় তাকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল উল্লেখ করে বিক্রম বলেছিলেন, ডিনো ও বিপাশাকে তাদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার জীবন আলাদা রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।