ঢাকা , শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাটকীয় মিলন

অভিমানের মেঘ কেটে গিয়ে নাটকীয় মিলন হলো ঢালিউডের দুই সুপারস্টার শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের। আর এ মিলনের সূত্রপাত একটি ফোনকল। যেটি গিয়েছে অপু বিশ্বাসের সেলফোনে শাকিব খানের সেলফোন থেকে। গতকাল বিকেলের ঘটনা এটি। অপুর ওপর জমে থাকা সব রাগ ঝেড়ে ফেলে বিকেলে শাকিব ফোন করেন তাকে। এরপর দীর্ঘ একঘণ্টার কথোপকথন। ফোন শেষ করার কিছুক্ষণ বাদে শাকিব মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এখন আর কোনো রাগ নেই আমার। আমাদের দুজনের মধ্যকার সব তিক্ততা কেটে গিয়ে আমরা আবার মিলে গেছি। অপু বিশ্বাস বলেন, আমিও খুব আনন্দিত শাকিবের ফোন পেয়ে। কারণ, আমি চাইছিলাম ও-ই যেহেতু দূরত্বের দেয়ালটা তৈরি করেছিল, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ও-ই সেটা ভাঙবে। তাই ও যখন আমাকে ফোন করে তখন আমি অনেক খুশি হয়েছি। ওর সঙ্গে কথা বলার পরে আমি সব রাগ-কষ্ট ভুলে গেছি। সবার দোয়া নিয়ে এখন থেকে সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই আমরা। এদিকে নাটকীয় মিলনের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে শাকিব খান বলেন, আসলে ছেলেকে কোলে বসিয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে অপুর এভাবে কথা বলার কারণেই প্রচণ্ড হতাশ হয়েছিলাম আমি। আর এর ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এ কারণেই ঘটনার রাতে ব্যাপক উত্তেজিত হয়ে আমি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অপু সম্পর্কে উল্টা-পাল্টা কথা বলেছি। সেসব আসলে আমার মনের কথা ছিল না। এজন্য আমি সরি। অপুকে সরি বলেছেন কিনা জানতে চাইলে মুচকি হেসে শাকিব বলেন, সে কি আর বলতে হয়! ফোনে আর কি কি কথা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক বলেন, সেসব আলাপন না হয় একান্তই নিজেদের হয়ে আমাদের মধ্যেই থাক। তবে এটুকু বলতে পারি, অভিমান ভাঙার প্রয়াসে একটি যুগলের মধ্যে সাধারণত যেসব টক-মিষ্টি মেশানো কথা বিনিময় হয়, আমাদেরও তাই হয়েছে। এবার তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ? শাকিব বলেন, ফোনে কথা বলতে বলতেই আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে। এখন থেকে আমরা আবার আগের মতোই হয়ে যাবো। এক ছাদের নিচে থাকবো, ঘুরবো, ফিরবো। আর আট-দশটা স্বাভাবিক দম্পতির মতোই থাকবে আমাদের সম্পর্ক। শাকিব জানান, অচিরেই অপু ও ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে তিনি তার গুলশানের বাসায় নিয়ে আসবেন। তিনি আর অপু মিলে ছেলেকে লালন-পালন করবেন। একসঙ্গে নতুন কোনো কাজ? শাকিব বলেন, আগের কিছু কাজ তো বাকি আছে। সেগুলো শেষ করবো। আর নতুন কাজ কেউ করাতে চাইলে সেটাও করবো। প্রসঙ্গত, ঢালিউডের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে নিয়ে এতদিন শোবিজজুড়ে ছিল ব্যাপক গুঞ্জন। বিয়ের পাশাপাশি দুজনের একটি সন্তান রয়েছে বলেও আলোচনা শোনা যেত প্রায়শই। কিন্তু এ বিষয়ে অসংখ্য প্রশ্নের মুখোমুখি এ পর্যন্ত হলেও শাকিব কিংবা অপু কারোর মুখ থেকে এতদিন কিছুই শোনা যায়নি। এমনকি টানা দশ মাস লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন অপু। সোমবার সে আড়াল ভাঙেন তিনি। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টুয়েন্টিফোরে দেয়া সরাসরি সাক্ষাৎকারে জানান শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে অনেক অজানা কথা। সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেন শাকিবের সঙ্গে তার বিয়ের সব তথ্য এবং তাদের সন্তান হওয়ার খবর। সেসঙ্গে সন্তান আব্রাহাম খান জয়কেও হাজির করেন সে টিভি লাইভে। অপু জানান, ২০০৮ সালের ১৮ই এপ্রিলে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সঙ্গে ছিলেন তার মেজো বোন লতা আর শাকিবের চাচাতো ভাই মুনির। কাজী এসেছিলেন শাকিবের বাড়ি ফরিদপুরের ভাংগা থেকে। তার নাম মুজিবুর। উকিল ছিলেন চলচ্চিত্রের প্রযোজক মামুন। বিয়ের সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন অপু ইসলাম খান। তিনি আরো জানান, ২০১৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে তার এবং শাকিবের ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের জন্ম হয়। অপুর এ টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দেয়া তথ্যাদির সত্যতা সম্পর্কে জানতে ওইদিন রাতেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নানা ধরনের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক মন্তব্য করেন তিনি। অবশেষে গতকাল বিকেলে অপুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে ঘটনার নাটকীয় পরিসমাপ্তি টানেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নাটকীয় মিলন

আপডেট টাইম : ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০১৭

অভিমানের মেঘ কেটে গিয়ে নাটকীয় মিলন হলো ঢালিউডের দুই সুপারস্টার শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের। আর এ মিলনের সূত্রপাত একটি ফোনকল। যেটি গিয়েছে অপু বিশ্বাসের সেলফোনে শাকিব খানের সেলফোন থেকে। গতকাল বিকেলের ঘটনা এটি। অপুর ওপর জমে থাকা সব রাগ ঝেড়ে ফেলে বিকেলে শাকিব ফোন করেন তাকে। এরপর দীর্ঘ একঘণ্টার কথোপকথন। ফোন শেষ করার কিছুক্ষণ বাদে শাকিব মানবজমিনের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এখন আর কোনো রাগ নেই আমার। আমাদের দুজনের মধ্যকার সব তিক্ততা কেটে গিয়ে আমরা আবার মিলে গেছি। অপু বিশ্বাস বলেন, আমিও খুব আনন্দিত শাকিবের ফোন পেয়ে। কারণ, আমি চাইছিলাম ও-ই যেহেতু দূরত্বের দেয়ালটা তৈরি করেছিল, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ও-ই সেটা ভাঙবে। তাই ও যখন আমাকে ফোন করে তখন আমি অনেক খুশি হয়েছি। ওর সঙ্গে কথা বলার পরে আমি সব রাগ-কষ্ট ভুলে গেছি। সবার দোয়া নিয়ে এখন থেকে সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই আমরা। এদিকে নাটকীয় মিলনের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে শাকিব খান বলেন, আসলে ছেলেকে কোলে বসিয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে অপুর এভাবে কথা বলার কারণেই প্রচণ্ড হতাশ হয়েছিলাম আমি। আর এর ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এ কারণেই ঘটনার রাতে ব্যাপক উত্তেজিত হয়ে আমি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অপু সম্পর্কে উল্টা-পাল্টা কথা বলেছি। সেসব আসলে আমার মনের কথা ছিল না। এজন্য আমি সরি। অপুকে সরি বলেছেন কিনা জানতে চাইলে মুচকি হেসে শাকিব বলেন, সে কি আর বলতে হয়! ফোনে আর কি কি কথা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ঢালিউডের শীর্ষ নায়ক বলেন, সেসব আলাপন না হয় একান্তই নিজেদের হয়ে আমাদের মধ্যেই থাক। তবে এটুকু বলতে পারি, অভিমান ভাঙার প্রয়াসে একটি যুগলের মধ্যে সাধারণত যেসব টক-মিষ্টি মেশানো কথা বিনিময় হয়, আমাদেরও তাই হয়েছে। এবার তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ? শাকিব বলেন, ফোনে কথা বলতে বলতেই আমাদের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে। এখন থেকে আমরা আবার আগের মতোই হয়ে যাবো। এক ছাদের নিচে থাকবো, ঘুরবো, ফিরবো। আর আট-দশটা স্বাভাবিক দম্পতির মতোই থাকবে আমাদের সম্পর্ক। শাকিব জানান, অচিরেই অপু ও ছেলে আব্রাহাম খান জয়কে তিনি তার গুলশানের বাসায় নিয়ে আসবেন। তিনি আর অপু মিলে ছেলেকে লালন-পালন করবেন। একসঙ্গে নতুন কোনো কাজ? শাকিব বলেন, আগের কিছু কাজ তো বাকি আছে। সেগুলো শেষ করবো। আর নতুন কাজ কেউ করাতে চাইলে সেটাও করবো। প্রসঙ্গত, ঢালিউডের জনপ্রিয় জুটি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে নিয়ে এতদিন শোবিজজুড়ে ছিল ব্যাপক গুঞ্জন। বিয়ের পাশাপাশি দুজনের একটি সন্তান রয়েছে বলেও আলোচনা শোনা যেত প্রায়শই। কিন্তু এ বিষয়ে অসংখ্য প্রশ্নের মুখোমুখি এ পর্যন্ত হলেও শাকিব কিংবা অপু কারোর মুখ থেকে এতদিন কিছুই শোনা যায়নি। এমনকি টানা দশ মাস লোকচক্ষুর অন্তরালে ছিলেন অপু। সোমবার সে আড়াল ভাঙেন তিনি। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজ টুয়েন্টিফোরে দেয়া সরাসরি সাক্ষাৎকারে জানান শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের বিষয়ে অনেক অজানা কথা। সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরেন শাকিবের সঙ্গে তার বিয়ের সব তথ্য এবং তাদের সন্তান হওয়ার খবর। সেসঙ্গে সন্তান আব্রাহাম খান জয়কেও হাজির করেন সে টিভি লাইভে। অপু জানান, ২০০৮ সালের ১৮ই এপ্রিলে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সঙ্গে ছিলেন তার মেজো বোন লতা আর শাকিবের চাচাতো ভাই মুনির। কাজী এসেছিলেন শাকিবের বাড়ি ফরিদপুরের ভাংগা থেকে। তার নাম মুজিবুর। উকিল ছিলেন চলচ্চিত্রের প্রযোজক মামুন। বিয়ের সময় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তিনি তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন অপু ইসলাম খান। তিনি আরো জানান, ২০১৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে তার এবং শাকিবের ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের জন্ম হয়। অপুর এ টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে দেয়া তথ্যাদির সত্যতা সম্পর্কে জানতে ওইদিন রাতেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে শাকিব খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নানা ধরনের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক মন্তব্য করেন তিনি। অবশেষে গতকাল বিকেলে অপুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে ঘটনার নাটকীয় পরিসমাপ্তি টানেন।