ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীর দূর্ভাগ্যের কথা কাকে বলবো, অধ্যক্ষ ড.গোলসান আরা বেগম

ড.গোলসান আরা বেগমঃ উপরের হেডিং দেখে নারী বিদ্বেষীরা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে বলবে-নারী তোমরা কি চাও? তোমরা তো জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনা কালে,বহু ক্ষমতায়িত হয়েছ। এবার থামো। তারা মনে করে বাসর ঘরের নায়িকা, রান্না ঘরের রাঁধিকা, আতুর ঘরের সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র ইত্যািদি আঙ্গিকে নারীকে বেশী মানায় ভালো। নারীরা রাজপথ কাঁপিয়ে মানব কল্যাণের পক্ষে গলা ফাটিয়ে শ্লোগান দিবে কেন। নারীবিদ্বেষীরা দমকের সুরে নারীকে বলে – চোখ নামাও তাল গাছের আগা থেকে মাটিতে।

আমি বলবো নারীর প্রতি এতো গাত্র দাহ কেন। সে তো তোমাদের বোন, স্ত্রী,শ্রদ্ধেয় গর্ভধারনী মা। যুগে যুগেই নারী জ্বালিয়েছে পুরুষের পাশে দাঁড়িয়ে পথের দিশীরা নামক আলোক বর্তিকা। ধর্মান্ধরা বলবে,তোমরা ঘরে থাকো।নরম পায়ে মাটিতে চোখ রেখে হাঁটো।কথা বলো নীচু স্বরে। স্বামী সন্তানের যত্ন করো। সম অধিকার চেয়ে চিৎকার করো না। নাউজুবিল্লা, তর্ক করো কেন? নারীর জন্মই তো হয়েছে স্বামীর সেবা করার জন্য। স্বামীর পায়ে হাত রেখে করো আল্লাহ্। বেশী নড়বে তো মরবে।

ইত্যাদি নানা কুচক্রি কথা। প্রকৃত অর্থে নারীরা কি গরু ছাগলের চেয়ে বেশী মর্যাদা পেয়েছে? গৃহ পালিত হাঁস মুরগীর খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। আমি বলবো না। কাগজে পত্রে স্বীকৃতি পেলেও,ঘরে বাইরে আজো রয়েছে নারীরা অন্ধকারে নিমজ্জিত। নারীরা শিক্ষায়, দীক্ষায়,যুক্তিতে,তর্কে,ক্ষমতায়,মর্যাদায়,জ্ঞানে,গুণে, দক্ষতায় যত বড় তাল গাছই হউক না কেন,সামাজিক মুক্তি পায়নি। নারীও মানুষ এই তর্কের অবসান হওয়ার মত সভ্যতার গাঁথুনীতে উদার দুষ্টি ভঙ্গির জন্ম হয়নি।

এ কারণেই হিলারী ক্লিনটন জনপ্রীয়তার তুঙ্গে থাকা সত্বেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেননি। কি দুর্ভাগ্য নারী সমাজের। কেউ কি এ সব বিষয়ে ভাবে? ভাবলেও নারীর পক্ষে সচারাচর কেউ দাঁড়াবে না। নিষ্ঠুর, নির্দয়,নিমর্ম সতিদাহ প্রথা,সহমরণ বিধি নির্মূলের পর প্রীতিলতাদের মত দুর্দম সাহসী নারীদের আর্ভিভাব ঘটে। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া আলোর দিশারী হয়ে ভারত বর্ষের নারী সমাজের পাশে আলোক বর্তিকা হয়ে দাঁড়ায়। সেই থেকে নারীরা মাথা উচুঁ করে আকাশ দেখার সাহস সঞ্চয় করতে থাকে। বহু বন্ধুর পথ অতিক্রম করে নারীর ক্ষমতায়নের দ্বার উন্মুক্ত হয়।

নবেল বিজয়,হিমালয় বিজয় করার মত দুঃসাহসিক অভিযানে নারীরা এগিয়ে আসে ও সাফল্য ছড়িয়ে দিয়ে  নিজেকে সম্পৃক্ত করে। তারই ধারাবাহিকতায় কর্মের সকল স্তরে নারীরা করে নেয় তাদের সফল অবস্থান।ইট ভাঙ্গা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালা করার মত চমৎকার জায়গাগুলো দখল করে নেয়। তবে এসব অর্জনের হার খবই নগন্য। আজকের প্রেক্ষাপটে নারী পুরুষে সমঅধিকার চাইতে থাকে নারীরা। সমাজ সষ্কারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নারী  ক্ষমতায়িত হইতে থাকে। অপর দিকে পুরুষতন্ত্রের ধারক বাহকরা হয়ে উঠে শক্ত প্রতিপক্ষ। বেড়ে যায় নারী পুরুষে দন্ধ,কলহ, বৈষম্য। নারী হয় পারিবারিক সহিংসতার শিকার। কোন আইন, বিধিন বিধান নারীকে প্রোটেকশান দিতে পারে না। ধর্ষণ, নির্যাতন, গলাটিপে হত্যা,আগুনে পুড়িয়ে মারা ইত্যাদি নির্মমতা নেমে আসে নারীর দূর্ভাগ্যে।

নারীরা কাকে বলবে তার দূর্ভাগ্যের মর্মব্যথা। দেখুন আমার ক্ষেত্রে তুচ্ছ হলেও কত বড় দৃস্টতা,৬ ডিসেম্বর ২০২০, জাতীয় দৈনিক সংবাদ পত্রিকার উপ-সম্পাদকীয়তে আমার লিখা একটি চকলাম জায়গা করে নেয়। কিন্তু আমার নামের বানান পরিবর্তন করার কারণ কি। আমার নাম অধ্যক্ষ ড.গোলসান আরা বেগম।তারা লিখেছে –গুলশান আরা বেগম। ভূল শুদ্ধ যাই হউক, কেউ কারো নাম পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে না। একই দিনে একটি অন লাইন পত্রিকায় আরো একটি লিখা প্রিন্ট হয়েছে।

সেখানে আমার নামটি পর্যন্ত নাই।জানতে চাইলে বললো – আপনার ছবি দিয়েছি তো। মনে মনে হাসলাম।মেয়ে মানুষ তো,যা ইচ্ছা তা বুঝাতে চেষ্টা করে।আরো অবাক হওয়ার বিষয় হলো-অধ্যক্ষ, ডক্টরেট শব্দ গুলো কেটে ফেলে দেয়।কিন্তু কেন? লবণ মরিচ লাগে নাই এ সব উজ্জল নক্ষত্র সংগ্রহ করতে? কেউ কেউ ফেইজ বুকে স্টেটাস দিয়ে বলে-প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই আমার।কি করে কলেজের অধ্যক্ষ হয়ে গেলাম? এই নিয়ে তুলে বিতর্ক। ডক্টরেট ডিগ্রিটি ভূয়া কি না প্রশ্ন রাখে।

কলম ধরার মত জ্ঞান নেই তারপরও গুজা মিল দিয়ে ভূল ছড়া বড়া,কবিতা লিখে নিজেকে লেখক হিসেবে জাহির করি। যারা এমন নিম্ন মন মানসিকতার তারা চেষ্টা করে দেখুক,কত শ্রম ঘাম ব্যয় করতে হয় বিভিন্ন আঙ্গিকে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে। আদৌ তারা এ সব অর্জন করতে পারবে কি না চেষ্টা করে দেখুক। হায় অভাগা নারী আমরা। আমি শহরের বিলাসি জীবন ও চাকুরি ছেড়ে গ্রামে গিয়েছিলাম শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে।

অধ্যক্ষের দায়িত্বে থেকে সুদীর্ঘ বাইশ বছর পাড়ি দিয়ে অনার্স পর্যায়ের কলেজ করে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পৌঁছে দিয়েছি তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায়। আমার সন্তান তূল্য সেই প্রতিষ্ঠানের অসমাম্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য রিটায়ার্ডের পর চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়েছিলাম।

বিনা বেতনে কাজ করতে অঙ্গিকার নামা দিয়ে।কিন্তু কুচক্রি মহল সে সুযোগ থেকে আমায় করে বঞ্চিত।অথচ আমার স্বামী সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্টাতা সদস্য। আমার চাওয়াটা কি অতিরিক্ত কিছু ছিলো। নিজের ঘর থেকে টাকা নিয়ে মাটি, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন কাজ করে গড়ে তুলেছি সে প্রতিষ্ঠান। এখন আমি কেউ না। শকুনের চোখ পড়েছে লুটপাটের দিকে। দখল হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানের কলকব্জা। আমি নারী বলেই পারিনি দখলবাজদের রুখে দিতে।আমরা নারীরা কার কাছে বিচার প্রার্থী হবো।কাকে বলবো দূর্ভাগ্যের কথা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নারীর দূর্ভাগ্যের কথা কাকে বলবো, অধ্যক্ষ ড.গোলসান আরা বেগম

আপডেট টাইম : ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

ড.গোলসান আরা বেগমঃ উপরের হেডিং দেখে নারী বিদ্বেষীরা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে বলবে-নারী তোমরা কি চাও? তোমরা তো জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার পরিচালনা কালে,বহু ক্ষমতায়িত হয়েছ। এবার থামো। তারা মনে করে বাসর ঘরের নায়িকা, রান্না ঘরের রাঁধিকা, আতুর ঘরের সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র ইত্যািদি আঙ্গিকে নারীকে বেশী মানায় ভালো। নারীরা রাজপথ কাঁপিয়ে মানব কল্যাণের পক্ষে গলা ফাটিয়ে শ্লোগান দিবে কেন। নারীবিদ্বেষীরা দমকের সুরে নারীকে বলে – চোখ নামাও তাল গাছের আগা থেকে মাটিতে।

আমি বলবো নারীর প্রতি এতো গাত্র দাহ কেন। সে তো তোমাদের বোন, স্ত্রী,শ্রদ্ধেয় গর্ভধারনী মা। যুগে যুগেই নারী জ্বালিয়েছে পুরুষের পাশে দাঁড়িয়ে পথের দিশীরা নামক আলোক বর্তিকা। ধর্মান্ধরা বলবে,তোমরা ঘরে থাকো।নরম পায়ে মাটিতে চোখ রেখে হাঁটো।কথা বলো নীচু স্বরে। স্বামী সন্তানের যত্ন করো। সম অধিকার চেয়ে চিৎকার করো না। নাউজুবিল্লা, তর্ক করো কেন? নারীর জন্মই তো হয়েছে স্বামীর সেবা করার জন্য। স্বামীর পায়ে হাত রেখে করো আল্লাহ্। বেশী নড়বে তো মরবে।

ইত্যাদি নানা কুচক্রি কথা। প্রকৃত অর্থে নারীরা কি গরু ছাগলের চেয়ে বেশী মর্যাদা পেয়েছে? গৃহ পালিত হাঁস মুরগীর খাঁচা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। আমি বলবো না। কাগজে পত্রে স্বীকৃতি পেলেও,ঘরে বাইরে আজো রয়েছে নারীরা অন্ধকারে নিমজ্জিত। নারীরা শিক্ষায়, দীক্ষায়,যুক্তিতে,তর্কে,ক্ষমতায়,মর্যাদায়,জ্ঞানে,গুণে, দক্ষতায় যত বড় তাল গাছই হউক না কেন,সামাজিক মুক্তি পায়নি। নারীও মানুষ এই তর্কের অবসান হওয়ার মত সভ্যতার গাঁথুনীতে উদার দুষ্টি ভঙ্গির জন্ম হয়নি।

এ কারণেই হিলারী ক্লিনটন জনপ্রীয়তার তুঙ্গে থাকা সত্বেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেননি। কি দুর্ভাগ্য নারী সমাজের। কেউ কি এ সব বিষয়ে ভাবে? ভাবলেও নারীর পক্ষে সচারাচর কেউ দাঁড়াবে না। নিষ্ঠুর, নির্দয়,নিমর্ম সতিদাহ প্রথা,সহমরণ বিধি নির্মূলের পর প্রীতিলতাদের মত দুর্দম সাহসী নারীদের আর্ভিভাব ঘটে। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া আলোর দিশারী হয়ে ভারত বর্ষের নারী সমাজের পাশে আলোক বর্তিকা হয়ে দাঁড়ায়। সেই থেকে নারীরা মাথা উচুঁ করে আকাশ দেখার সাহস সঞ্চয় করতে থাকে। বহু বন্ধুর পথ অতিক্রম করে নারীর ক্ষমতায়নের দ্বার উন্মুক্ত হয়।

নবেল বিজয়,হিমালয় বিজয় করার মত দুঃসাহসিক অভিযানে নারীরা এগিয়ে আসে ও সাফল্য ছড়িয়ে দিয়ে  নিজেকে সম্পৃক্ত করে। তারই ধারাবাহিকতায় কর্মের সকল স্তরে নারীরা করে নেয় তাদের সফল অবস্থান।ইট ভাঙ্গা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালা করার মত চমৎকার জায়গাগুলো দখল করে নেয়। তবে এসব অর্জনের হার খবই নগন্য। আজকের প্রেক্ষাপটে নারী পুরুষে সমঅধিকার চাইতে থাকে নারীরা। সমাজ সষ্কারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নারী  ক্ষমতায়িত হইতে থাকে। অপর দিকে পুরুষতন্ত্রের ধারক বাহকরা হয়ে উঠে শক্ত প্রতিপক্ষ। বেড়ে যায় নারী পুরুষে দন্ধ,কলহ, বৈষম্য। নারী হয় পারিবারিক সহিংসতার শিকার। কোন আইন, বিধিন বিধান নারীকে প্রোটেকশান দিতে পারে না। ধর্ষণ, নির্যাতন, গলাটিপে হত্যা,আগুনে পুড়িয়ে মারা ইত্যাদি নির্মমতা নেমে আসে নারীর দূর্ভাগ্যে।

নারীরা কাকে বলবে তার দূর্ভাগ্যের মর্মব্যথা। দেখুন আমার ক্ষেত্রে তুচ্ছ হলেও কত বড় দৃস্টতা,৬ ডিসেম্বর ২০২০, জাতীয় দৈনিক সংবাদ পত্রিকার উপ-সম্পাদকীয়তে আমার লিখা একটি চকলাম জায়গা করে নেয়। কিন্তু আমার নামের বানান পরিবর্তন করার কারণ কি। আমার নাম অধ্যক্ষ ড.গোলসান আরা বেগম।তারা লিখেছে –গুলশান আরা বেগম। ভূল শুদ্ধ যাই হউক, কেউ কারো নাম পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে না। একই দিনে একটি অন লাইন পত্রিকায় আরো একটি লিখা প্রিন্ট হয়েছে।

সেখানে আমার নামটি পর্যন্ত নাই।জানতে চাইলে বললো – আপনার ছবি দিয়েছি তো। মনে মনে হাসলাম।মেয়ে মানুষ তো,যা ইচ্ছা তা বুঝাতে চেষ্টা করে।আরো অবাক হওয়ার বিষয় হলো-অধ্যক্ষ, ডক্টরেট শব্দ গুলো কেটে ফেলে দেয়।কিন্তু কেন? লবণ মরিচ লাগে নাই এ সব উজ্জল নক্ষত্র সংগ্রহ করতে? কেউ কেউ ফেইজ বুকে স্টেটাস দিয়ে বলে-প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই আমার।কি করে কলেজের অধ্যক্ষ হয়ে গেলাম? এই নিয়ে তুলে বিতর্ক। ডক্টরেট ডিগ্রিটি ভূয়া কি না প্রশ্ন রাখে।

কলম ধরার মত জ্ঞান নেই তারপরও গুজা মিল দিয়ে ভূল ছড়া বড়া,কবিতা লিখে নিজেকে লেখক হিসেবে জাহির করি। যারা এমন নিম্ন মন মানসিকতার তারা চেষ্টা করে দেখুক,কত শ্রম ঘাম ব্যয় করতে হয় বিভিন্ন আঙ্গিকে নিজেকে প্রতিষ্টিত করতে। আদৌ তারা এ সব অর্জন করতে পারবে কি না চেষ্টা করে দেখুক। হায় অভাগা নারী আমরা। আমি শহরের বিলাসি জীবন ও চাকুরি ছেড়ে গ্রামে গিয়েছিলাম শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে।

অধ্যক্ষের দায়িত্বে থেকে সুদীর্ঘ বাইশ বছর পাড়ি দিয়ে অনার্স পর্যায়ের কলেজ করে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পৌঁছে দিয়েছি তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায়। আমার সন্তান তূল্য সেই প্রতিষ্ঠানের অসমাম্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য রিটায়ার্ডের পর চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি চেয়েছিলাম।

বিনা বেতনে কাজ করতে অঙ্গিকার নামা দিয়ে।কিন্তু কুচক্রি মহল সে সুযোগ থেকে আমায় করে বঞ্চিত।অথচ আমার স্বামী সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্টাতা সদস্য। আমার চাওয়াটা কি অতিরিক্ত কিছু ছিলো। নিজের ঘর থেকে টাকা নিয়ে মাটি, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন কাজ করে গড়ে তুলেছি সে প্রতিষ্ঠান। এখন আমি কেউ না। শকুনের চোখ পড়েছে লুটপাটের দিকে। দখল হয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানের কলকব্জা। আমি নারী বলেই পারিনি দখলবাজদের রুখে দিতে।আমরা নারীরা কার কাছে বিচার প্রার্থী হবো।কাকে বলবো দূর্ভাগ্যের কথা।