ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শততম পর্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ

আশ্রয়হীন, ঠিকানাহীন মানুষ ও তাদের বদলে যাওয়া জীবনযাপনের পূর্বাপর নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক তথ্যচিত্র ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’ পা রাখলো শততম পর্বে। আগামী ১৩ মে শনিবার রাত ৮টায় একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হবে শততম পর্ব। ২০২২ সালের ২০ মে থেকে সুনামগঞ্জের বদলে যাওয়া জনপদ ও মানুষের জীবনযাপন চিত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। ইতোমধ্যে টিম পা রেখেছে ২৫ জেলার দুই শতাধিক উপজেলায়। ফ্রেমে বন্দী করেছে সহস্রাধিক মানুষ ও ছিন্নমূল সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের অজানা গল্প। পর্যায়ক্রমে প্রচার হবে প্রতি শুক্র ও শনিবার।

একসময় সামান্য আর্থিক সহায়তা কিংবা নিত্যপন্য ত্রাণের আশায় অপেক্ষা করতো প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অথবা উন্নত জীবনযাপন ব্যবস্থার ধারণা এই ছিন্নমূল মানুষদের চিন্তার বাইরে ছিলো। শুধু খেয়েপড়ে বেঁচে থাকাই যাদের কাছে হয়ে উঠেছিলো একমাত্র প্রার্থণা। সেইসব ভাসমান ভূমিহীন ঠিকানাহীন মানুষের একত্রে স্থায়ী পুনর্বাসন উদ্যোগে শুণ্যের কোটায় নেমে এসেছে হতদরিদ্রের সংখ্যা। পুনর্বাসিত পরিবারের প্রতিটি সক্ষম ব্যক্তিকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তুলছে বাংলাদেশ সরকার। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের এই মিছিলে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে সচ্ছল ব্যক্তি-ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা।

২ শতক জমির মালিকানা এবং একটি পাকা বাড়ির দলিলে একজন মানুষ ও একটি পরিবারের আবাসন নিশ্চিত হয়। তবে আশ্রয়ন উদ্যোগে সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিক সুবিধাসহ উন্নত জীবনযাপন ব্যবস্থার আওতায় এসেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভাসমান জনগোষ্ঠী। আশ্রয়ন: অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন- শেখ হাসিনা মডেল’ ধারণাটি সম্প্রতি কপিরাইট স্বত্ব লাভ করেছে। বিশ্বে বিনামূল্যে লাখো ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসন উদ্যোগ বিরল। যে
মানবিক উদ্যোগের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন উদ্যোক্তা ও বাস্তবায়নকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে প্রশাসনের দক্ষতা ও একনিষ্ঠতায় সম্পন্ন করা আশ্রয়ন প্রকল্পের দৃশ্যমান সুফল চোখে পড়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টদের কর্মস্থল পরিবর্তন হলেও দায়িত্বপ্রাপ্তরা অগ্রগতি অব্যহত রাখছে। স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিত পরিদর্শন করলে বদলে যাওয়া প্রান্তিক জীবন ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।

দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য আছে। মানুষের জীবনযাপন ব্যবস্থা এবং জনপদের ভিন্নতা উঠে এসেছে তথ্যচিত্রে। দর্শকদের জন্য ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্রময়তা সহজ করতে তথ্যচিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে চলিত বাংলা ও রূপান্তর করা হয়েছে ইংরেজী ভাষায়।

দেশের টেলিভিশন শিল্পে বদলে যাওয়া বাংলাদেশর মতো ধারাবাহিক তথ্যচিত্র এটিই প্রথম।
শততম পর্বে উপকূলীয় অঞ্চল দক্ষিণের জনপদ বরগুনা জেলার মানুষের জীবনমান ও অসহায় ছিন্নমূল পরিবারের প্রাপ্তির গল্প তুলে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনের কথা।

ব্যতিক্রমী নির্মাণ কৌশল ও মানের গ্রহণযোগ্যতার কারণে দর্শক জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে তথ্যচিত্র বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করেছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও একুশে টেলিভিশনের পরিচালক রবিউল হাসান অভী। উপস্থাপনা করেছেন আকবর হোসেন সুমন। পান্ডুলিপি লিখেছেন আকবর হোসেন সুমন, দিপু সিকদার এবং মানিক শিকদার। চিত্রগ্রহণ ও ড্রোন পরিচালনায় ফারুক হোসেন তানভীর ও আলী আহমেদ রুবেল। সম্পাদনায় শ্যাম সুন্দর নন্দী। গ্রাফিক্স সুজিৎ হালদার। তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় আরিফুল ইসলাম ইমন ও ওমর ফারুক। ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছেন আশরাফুল ইসলাম। সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং মূখ্য সচিবের একান্ত সচিব কায়ছারুল ইসলাম। এছাড়া জেলা প্রশাসক, স্থানীয় প্রশাসন এবং একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধিরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশ তথ্যচিত্রের অংশীদার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

শততম পর্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০৬:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মে ২০২৩

আশ্রয়হীন, ঠিকানাহীন মানুষ ও তাদের বদলে যাওয়া জীবনযাপনের পূর্বাপর নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক তথ্যচিত্র ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’ পা রাখলো শততম পর্বে। আগামী ১৩ মে শনিবার রাত ৮টায় একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হবে শততম পর্ব। ২০২২ সালের ২০ মে থেকে সুনামগঞ্জের বদলে যাওয়া জনপদ ও মানুষের জীবনযাপন চিত্র নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। ইতোমধ্যে টিম পা রেখেছে ২৫ জেলার দুই শতাধিক উপজেলায়। ফ্রেমে বন্দী করেছে সহস্রাধিক মানুষ ও ছিন্নমূল সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের অজানা গল্প। পর্যায়ক্রমে প্রচার হবে প্রতি শুক্র ও শনিবার।

একসময় সামান্য আর্থিক সহায়তা কিংবা নিত্যপন্য ত্রাণের আশায় অপেক্ষা করতো প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অথবা উন্নত জীবনযাপন ব্যবস্থার ধারণা এই ছিন্নমূল মানুষদের চিন্তার বাইরে ছিলো। শুধু খেয়েপড়ে বেঁচে থাকাই যাদের কাছে হয়ে উঠেছিলো একমাত্র প্রার্থণা। সেইসব ভাসমান ভূমিহীন ঠিকানাহীন মানুষের একত্রে স্থায়ী পুনর্বাসন উদ্যোগে শুণ্যের কোটায় নেমে এসেছে হতদরিদ্রের সংখ্যা। পুনর্বাসিত পরিবারের প্রতিটি সক্ষম ব্যক্তিকে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তুলছে বাংলাদেশ সরকার। বদলে যাওয়া বাংলাদেশের এই মিছিলে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে সচ্ছল ব্যক্তি-ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা।

২ শতক জমির মালিকানা এবং একটি পাকা বাড়ির দলিলে একজন মানুষ ও একটি পরিবারের আবাসন নিশ্চিত হয়। তবে আশ্রয়ন উদ্যোগে সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি নাগরিক সুবিধাসহ উন্নত জীবনযাপন ব্যবস্থার আওতায় এসেছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের ভাসমান জনগোষ্ঠী। আশ্রয়ন: অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন- শেখ হাসিনা মডেল’ ধারণাটি সম্প্রতি কপিরাইট স্বত্ব লাভ করেছে। বিশ্বে বিনামূল্যে লাখো ভূমিহীন পরিবারের পুনর্বাসন উদ্যোগ বিরল। যে
মানবিক উদ্যোগের জন্য প্রশংসিত হয়েছেন উদ্যোক্তা ও বাস্তবায়নকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে প্রশাসনের দক্ষতা ও একনিষ্ঠতায় সম্পন্ন করা আশ্রয়ন প্রকল্পের দৃশ্যমান সুফল চোখে পড়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্টদের কর্মস্থল পরিবর্তন হলেও দায়িত্বপ্রাপ্তরা অগ্রগতি অব্যহত রাখছে। স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিত পরিদর্শন করলে বদলে যাওয়া প্রান্তিক জীবন ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে।

দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্য আছে। মানুষের জীবনযাপন ব্যবস্থা এবং জনপদের ভিন্নতা উঠে এসেছে তথ্যচিত্রে। দর্শকদের জন্য ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্রময়তা সহজ করতে তথ্যচিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে চলিত বাংলা ও রূপান্তর করা হয়েছে ইংরেজী ভাষায়।

দেশের টেলিভিশন শিল্পে বদলে যাওয়া বাংলাদেশর মতো ধারাবাহিক তথ্যচিত্র এটিই প্রথম।
শততম পর্বে উপকূলীয় অঞ্চল দক্ষিণের জনপদ বরগুনা জেলার মানুষের জীবনমান ও অসহায় ছিন্নমূল পরিবারের প্রাপ্তির গল্প তুলে আনা হয়েছে। বলা হয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনের কথা।

ব্যতিক্রমী নির্মাণ কৌশল ও মানের গ্রহণযোগ্যতার কারণে দর্শক জনপ্রিয়তার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে তথ্যচিত্র বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’। অনুষ্ঠানটি স্পন্সর করেছে আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও একুশে টেলিভিশনের পরিচালক রবিউল হাসান অভী। উপস্থাপনা করেছেন আকবর হোসেন সুমন। পান্ডুলিপি লিখেছেন আকবর হোসেন সুমন, দিপু সিকদার এবং মানিক শিকদার। চিত্রগ্রহণ ও ড্রোন পরিচালনায় ফারুক হোসেন তানভীর ও আলী আহমেদ রুবেল। সম্পাদনায় শ্যাম সুন্দর নন্দী। গ্রাফিক্স সুজিৎ হালদার। তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় আরিফুল ইসলাম ইমন ও ওমর ফারুক। ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছেন আশরাফুল ইসলাম। সার্বিক সহায়তা ও পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং মূখ্য সচিবের একান্ত সচিব কায়ছারুল ইসলাম। এছাড়া জেলা প্রশাসক, স্থানীয় প্রশাসন এবং একুশে টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধিরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশ তথ্যচিত্রের অংশীদার।