ঢাকা , বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এখনো বই পায়নি ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী, অভিযোগের তীর সিন্ডিকেটের দিকে তিব্বতে শক্তিশালী ভূমিকম্প, মৃত বেড়ে ১২৬ জুলাই ঘোষণাপত্র’ বিষয়ক কর্মসূচি: কুমিল্লায় হাসনাত, সারজিস যাবেন নরসিংদী নোয়াখালীতে থানা থেকে লুট হওয়া রাইফেল খাল পাড় থেকে উদ্ধার বোরো ধানের চারায় বিষ প্রয়োগে ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে ৭ দিনব্যাপী জেলাভিত্তিক কর্মসূচি শুরু শর্ষে ও মধুর সমন্বিত চাষে লাভবান সব পক্ষ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের একান্ত বৈঠক সীমান্ত পেরিয়ে মৈত্রী ! দিল্লি কি অবশেষে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করতে চাইছে মোংলায় ১১ কেজি হরিণের মাংসসহ ৬ চোরাচালানকারীকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড

শীতে পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে করণীয়

শীতে অনেকেরই পা ফাটে। পা না ফাটলেও ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, কারও চামড়া ওঠে। তাই সবারই কমবেশি আলাদা করে পায়ের যত্ন নেওয়া উচিত। পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া কষ্টকর ও বিব্রতকর সমস্যা।

কারণ

শীতে পানি কম পান করার কারণে শরীর ডিহাইড্রেট থাকে। তা ছাড়া শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। আবার পা নোংরা থাকার কারণেও ফাটতে থাকে। পা ফাটার অন্যান্য কারণ হলো:

খালি পায়ে হাঁটা, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করা, শক্ত জুতা পরা, ধুলাবালুতে কাজ করা, পরিমিত পানি পান না করা। ভিটামিন এ, সি এবং ই–এর অভাব।

কিছু রোগের কারণেও পা ফাটে, যেমন জিনবাহিত রোগ পামোপ্ল্যান্টার কেরাটোডার্মায় রোগীর ত্বক পুরু হয়। মোটা ও পুরু চামড়া সংগত কারণেই খসখসে এবং শক্ত হতে থাকে, যা অত্যধিক শুষ্কতায় ফেটে যায়।

সোরিয়াসিস একধরনের চর্মরোগ; যার প্রকোপ বাড়ে শীতে। এ রোগে হাত–পায়ে চাকা দাগ হয়, চুলকানি দেখা দেয়। চামড়া ওঠাও এ রোগের লক্ষণ। হাত–পায়ের তালুতে সোরিয়াসিস হলে আক্রান্ত স্থান ফেটে গিয়ে লাল মাংস দেখা যায়। শীতে এ ফাটা বেড়ে যায়।

টিরিয়াসিস রুব্রা পাইলারিস জিনবাহিত রোগটি যাঁদের আছে, শীতে তাঁদের হাত–পা প্রচণ্ড শুষ্ক হয়ে যায় এবং পা ফেটে যায়।

পা ফাটা কেন খারাপ

পা ফাটলে গোড়ালিতে যন্ত্রণা হয়। পায়ের ত্বকে ইনফেকশন হতে পারে, পায়ে ব্যথা অনুভূত হয়, পা ফুলে যায় এবং দৈনন্দিন চলাফেরা ব্যাহত হয়। ফাটা স্থানে জীবাণুর সংক্রমণের ফলে ঘা হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস থাকলে সমস্যা প্রকট হতে পারে।

করণীয়

পা ফাটা সমস্যা প্রতিকারের প্রথম ও প্রধান শর্ত, ত্বক নরম রাখা। তাই শীতের সময় যা করতে হবে তা হলো, খালি পায়ে না হাঁটা। আরামদায়ক নরম জুতা ও সুতি মোজা পরা।

রোজ দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা। নিয়মিত পা ধুয়ে–মুছে কিছুটা ভেজা থাকা অবস্থায় লোশন বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করা।

পা ফাটা থাকলে ঝামা পাথর বা পিউমিস পাথর দিয়ে ঘষে মরা চামড়া তুলে ফেলা এবং পরে নারকেল তেল মালিশ করা।

আধা বালতি কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে পা আধা ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ পায়ের ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে।

নিয়মিত যত্নের পরও যদি পা ফাটা সমস্যা না কমে, তবে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

এখনো বই পায়নি ৮১ শতাংশ শিক্ষার্থী, অভিযোগের তীর সিন্ডিকেটের দিকে

শীতে পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে করণীয়

আপডেট টাইম : ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

শীতে অনেকেরই পা ফাটে। পা না ফাটলেও ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, কারও চামড়া ওঠে। তাই সবারই কমবেশি আলাদা করে পায়ের যত্ন নেওয়া উচিত। পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া কষ্টকর ও বিব্রতকর সমস্যা।

কারণ

শীতে পানি কম পান করার কারণে শরীর ডিহাইড্রেট থাকে। তা ছাড়া শীতে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। আবার পা নোংরা থাকার কারণেও ফাটতে থাকে। পা ফাটার অন্যান্য কারণ হলো:

খালি পায়ে হাঁটা, দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করা, শক্ত জুতা পরা, ধুলাবালুতে কাজ করা, পরিমিত পানি পান না করা। ভিটামিন এ, সি এবং ই–এর অভাব।

কিছু রোগের কারণেও পা ফাটে, যেমন জিনবাহিত রোগ পামোপ্ল্যান্টার কেরাটোডার্মায় রোগীর ত্বক পুরু হয়। মোটা ও পুরু চামড়া সংগত কারণেই খসখসে এবং শক্ত হতে থাকে, যা অত্যধিক শুষ্কতায় ফেটে যায়।

সোরিয়াসিস একধরনের চর্মরোগ; যার প্রকোপ বাড়ে শীতে। এ রোগে হাত–পায়ে চাকা দাগ হয়, চুলকানি দেখা দেয়। চামড়া ওঠাও এ রোগের লক্ষণ। হাত–পায়ের তালুতে সোরিয়াসিস হলে আক্রান্ত স্থান ফেটে গিয়ে লাল মাংস দেখা যায়। শীতে এ ফাটা বেড়ে যায়।

টিরিয়াসিস রুব্রা পাইলারিস জিনবাহিত রোগটি যাঁদের আছে, শীতে তাঁদের হাত–পা প্রচণ্ড শুষ্ক হয়ে যায় এবং পা ফেটে যায়।

পা ফাটা কেন খারাপ

পা ফাটলে গোড়ালিতে যন্ত্রণা হয়। পায়ের ত্বকে ইনফেকশন হতে পারে, পায়ে ব্যথা অনুভূত হয়, পা ফুলে যায় এবং দৈনন্দিন চলাফেরা ব্যাহত হয়। ফাটা স্থানে জীবাণুর সংক্রমণের ফলে ঘা হতে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস থাকলে সমস্যা প্রকট হতে পারে।

করণীয়

পা ফাটা সমস্যা প্রতিকারের প্রথম ও প্রধান শর্ত, ত্বক নরম রাখা। তাই শীতের সময় যা করতে হবে তা হলো, খালি পায়ে না হাঁটা। আরামদায়ক নরম জুতা ও সুতি মোজা পরা।

রোজ দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা। নিয়মিত পা ধুয়ে–মুছে কিছুটা ভেজা থাকা অবস্থায় লোশন বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করা।

পা ফাটা থাকলে ঝামা পাথর বা পিউমিস পাথর দিয়ে ঘষে মরা চামড়া তুলে ফেলা এবং পরে নারকেল তেল মালিশ করা।

আধা বালতি কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি লবণ দিয়ে পা আধা ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। এ ছাড়া সমপরিমাণ গ্লিসারিন ও গোলাপজলের মিশ্রণ পায়ের ফাটা স্থানে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। এতে পা ফাটা ও ব্যথা কমবে।

নিয়মিত যত্নের পরও যদি পা ফাটা সমস্যা না কমে, তবে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।