৩৫ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন নামদেব পাতিল (৭০)। পেশায় কৃষক। নামদেব তা শোধ করতে পারেননি। আর সেই ঘটনার চাপ সহ্য করতে না পেরে নিজের হাতে চিতা সাজিয়ে তাতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনি।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের অমলনের তহসিলের অন্তর্গত একটি গ্রামে। নামদেবের বাড়িতে স্ত্রী, তিন পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। দিনের পর দিন প্রাণপাত চেষ্টা করেও ঋণের টাকা চোকাতে পারেননি তিনি। এজন্য জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তিনি।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ক্ষেতে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন নামদেব। এর কিছুক্ষণ পরে গ্রামে খবর আগে ক্ষেতে আগুন লেগেছে। সকলে ছুটে গেলে দেখেন, নামদেবের ক্ষেতে আগুন জ্বলছে।
কাছে গেলে দেখা যায়, চিতার মতো সাজানো জায়গা থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। ততক্ষণে পুলিশ এসে পৌঁছেছে। তারাই চিতার আগুন নেভাতে গিয়ে দেখেন ভিতরে একটি লাশ রয়েছে।
পরে জানা যায় ওটি নামদেবের দেহ। ঋণ শোধ করতে না পেরে তিনি আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন।
ক্ষেতের পাশের একটি ঘর থেকে নামদেবের আধার কার্ড, কিছু টাকা ও একটি তেলের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন যাবৎ মহারাষ্ট্রে কৃষক আত্মহত্যা একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বহু কৃষক নানা কারণে আত্মহত্যা করেছেন যা নিয়ে সারা ভারতে আলোড়ন ছড়িয়েছে। সেই তালিকায় হতভাগ্য নামদেবের নাম জুড়ল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।