ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিনে ৪০টি সিগারেট খাওয়া ২ বছরের সেই শিশু এখন…

আট বছর আগের কথা। এক ভয়ঙ্কর ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ইন্টারনেটে। ছবির কেন্দ্রে ছিল একটি শিশু। কিন্তু ছবিটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল অন্য কারণে— ছোট্ট শিশুটিকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীর মতো সিগারেট খেতে দেখা গিয়েছিল সেই ছবিতে।

একটা ছোট্ট শিশু কীভাবে বা কেন এভাবে সিগারেট খাচ্ছে সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই জানা যায়, শিশুটির নাম আরদি রিজাল। তার বয়স তখন মাত্র ২ বছর। ইন্দোনেশিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা সে। দিনে ৪০টি সিগারেট না হলে নাকি তার চলতো না। আসলে ওই অঞ্চলে ধূমপানের নেশাকে কোন খারাপ বিষয় বলে মনেই করা হয় না। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই সিগারেট বা সমজাতীয় নেশায় আসক্ত। কিন্তু তাই বলে একটি দু’বছরের শিশু এইভাবে সিগারেট খাবে!

বিষয়টি ভাবায় স্থানীয় প্রশাসনকেও। শিশুটিকে নেশামুক্ত করতে সরকারি পক্ষ থেকে শুরু হয় চিকিৎসা। সিগারেট আসক্তি তার কমে ঠিকই, কিন্তু তার পরিবর্তে খাবার-দাবারের নেশায় সে আসক্ত হয়ে পড়ে। সারাদিনই কিছু না কিছু না খেলে তার চলে না। ফলে এবার অতি দ্রুত বাড়তে থাকে তার ওজন। তখন আবার শুরু হয় তার নতুন চিকিৎসা। একটানা পুনর্বাসনমূলক চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় স্বাভাবিক জীবনে।

আজ আরদির বয়স ১০ বছর। এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক এক কিশোর। কোন রকম নেশাতেই সে আর আসক্ত নয়। অতিরিক্ত মেদও ঝরিয়ে ফেলতে সে সক্ষম হয়েছে। মনের জোর আর যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষ যে কোন আসক্তি থেকে মুক্ত হতে পারে তার এক অনুপম দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে আরদি। দেখুন তার বর্তমান ছবি-


সূত্র: এবেলা

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

দিনে ৪০টি সিগারেট খাওয়া ২ বছরের সেই শিশু এখন…

আপডেট টাইম : ০৪:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬

আট বছর আগের কথা। এক ভয়ঙ্কর ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ইন্টারনেটে। ছবির কেন্দ্রে ছিল একটি শিশু। কিন্তু ছবিটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল অন্য কারণে— ছোট্ট শিশুটিকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ীর মতো সিগারেট খেতে দেখা গিয়েছিল সেই ছবিতে।

একটা ছোট্ট শিশু কীভাবে বা কেন এভাবে সিগারেট খাচ্ছে সেই নিয়ে আলোচনা শুরু হতেই জানা যায়, শিশুটির নাম আরদি রিজাল। তার বয়স তখন মাত্র ২ বছর। ইন্দোনেশিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা সে। দিনে ৪০টি সিগারেট না হলে নাকি তার চলতো না। আসলে ওই অঞ্চলে ধূমপানের নেশাকে কোন খারাপ বিষয় বলে মনেই করা হয় না। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই সিগারেট বা সমজাতীয় নেশায় আসক্ত। কিন্তু তাই বলে একটি দু’বছরের শিশু এইভাবে সিগারেট খাবে!

বিষয়টি ভাবায় স্থানীয় প্রশাসনকেও। শিশুটিকে নেশামুক্ত করতে সরকারি পক্ষ থেকে শুরু হয় চিকিৎসা। সিগারেট আসক্তি তার কমে ঠিকই, কিন্তু তার পরিবর্তে খাবার-দাবারের নেশায় সে আসক্ত হয়ে পড়ে। সারাদিনই কিছু না কিছু না খেলে তার চলে না। ফলে এবার অতি দ্রুত বাড়তে থাকে তার ওজন। তখন আবার শুরু হয় তার নতুন চিকিৎসা। একটানা পুনর্বাসনমূলক চিকিৎসার মাধ্যমে তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় স্বাভাবিক জীবনে।

আজ আরদির বয়স ১০ বছর। এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক এক কিশোর। কোন রকম নেশাতেই সে আর আসক্ত নয়। অতিরিক্ত মেদও ঝরিয়ে ফেলতে সে সক্ষম হয়েছে। মনের জোর আর যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষ যে কোন আসক্তি থেকে মুক্ত হতে পারে তার এক অনুপম দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে আরদি। দেখুন তার বর্তমান ছবি-


সূত্র: এবেলা