ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালিহাতীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। উপজেলার যেদিকে তাকাই সেদিকেই বোরো ধানের দিগন্ত বিস্মৃত সবুজের সমারোহ।

বিগত কয়েক দফায় বন্যার কারণে আমনের ফলন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের যে ক্ষতি হয়েছিল, সে ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে এবার অক্লান্ত পরিশ্রম করে বোরো ধান চাষ করেছেন কালিহাতীর কৃষকরা। ধান গাছের তেজদীপ্ততা দেখে কৃষকদের চোখে মুখে আশার আলো ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি চলতি মৌসুমে পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ভালো থাকায় এবং সার, ডিজেল, পানি ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সহজেই সরবরাহ পাওয়ায় কৃষকরা এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

উপজেলার বল্লা, সহদেবপুর, নাগবাড়ী, পারখী, ঘুনি, সিলিমপুর, বর্তা, পাথালিয়া, নারান্দিয়া, আউলিয়াবাদ, গোহালিয়াবাড়ী, সল্লা, পাইকড়া, ব্রজগাতী, রামপুর কালিহাতী সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় ধান খুব ভালো হয়েছে।

উপজেলার ব্রজগাতী গ্রামের কৃষক আ: বাছেদ বলেন, আমন ধান নষ্ট হওয়াতে এবার অধিকাংশ জমিতে বোরো আবাদ করেছি। আল্লাহর রহমতে এবার ফলন খুব ভালো হয়েছে। গো-খাদ্যের অভাবও থাকবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ. এম. শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর ১৭ হাজার ৫শ ৫৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ মৌসুমে তা ছাড়িয়ে ১৮ হাজার ৪শ ২ হেক্টরে এসেছে। গত বছর লক্ষমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৪ শ ৪৫ হেক্টর কিন্তু তা অতিক্রম করে ১৭ হাজার ৮ শ ৯০ হেক্টরে গিয়ে পৌঁছেছিল। এ বছর সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা যেমন বীজ, সার ও কীটনাশক যথা সময়ে কৃষকদের হাতের নাগালে পাওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

কালিহাতীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট টাইম : ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। উপজেলার যেদিকে তাকাই সেদিকেই বোরো ধানের দিগন্ত বিস্মৃত সবুজের সমারোহ।

বিগত কয়েক দফায় বন্যার কারণে আমনের ফলন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কৃষকদের যে ক্ষতি হয়েছিল, সে ক্ষতিকে পুষিয়ে নিতে এবার অক্লান্ত পরিশ্রম করে বোরো ধান চাষ করেছেন কালিহাতীর কৃষকরা। ধান গাছের তেজদীপ্ততা দেখে কৃষকদের চোখে মুখে আশার আলো ফুটে উঠেছে। পাশাপাশি চলতি মৌসুমে পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ ভালো থাকায় এবং সার, ডিজেল, পানি ও কীটনাশকসহ প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণ সহজেই সরবরাহ পাওয়ায় কৃষকরা এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

উপজেলার বল্লা, সহদেবপুর, নাগবাড়ী, পারখী, ঘুনি, সিলিমপুর, বর্তা, পাথালিয়া, নারান্দিয়া, আউলিয়াবাদ, গোহালিয়াবাড়ী, সল্লা, পাইকড়া, ব্রজগাতী, রামপুর কালিহাতী সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় ধান খুব ভালো হয়েছে।

উপজেলার ব্রজগাতী গ্রামের কৃষক আ: বাছেদ বলেন, আমন ধান নষ্ট হওয়াতে এবার অধিকাংশ জমিতে বোরো আবাদ করেছি। আল্লাহর রহমতে এবার ফলন খুব ভালো হয়েছে। গো-খাদ্যের অভাবও থাকবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ. এম. শহিদুল ইসলাম জানান, এ বছর ১৭ হাজার ৫শ ৫৯ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ মৌসুমে তা ছাড়িয়ে ১৮ হাজার ৪শ ২ হেক্টরে এসেছে। গত বছর লক্ষমাত্রা ছিল ১৭ হাজার ৪ শ ৪৫ হেক্টর কিন্তু তা অতিক্রম করে ১৭ হাজার ৮ শ ৯০ হেক্টরে গিয়ে পৌঁছেছিল। এ বছর সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা যেমন বীজ, সার ও কীটনাশক যথা সময়ে কৃষকদের হাতের নাগালে পাওয়ায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে।