বাঙালী কণ্ঠ নিউজ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় মসলা জাতীয় ফসল ছোট এলাচ ও বড় এলাচ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন যুবক রেজাউল ইসলাম। তিনি এখন তার নিজস্ব নার্সারিতে এলাচের চারা উৎপাদন করে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন পার্শ্ববর্তী কৃষক পরিবারগুলোর মাঝে। তার উৎপাদিত প্রতিটি এলাচের চারা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়।
রেজাউল ইসলাম জানান, ৮ বছর আগে তার ঢাকার বিশ্ব ইজতেমায় পরিচয় হয় শ্রীলংকার এক নাগরিকের। বিদেশি ওই নাগরিক এলাচ চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার গল্প শোনান রেজাউল ইসলামকে।
এতে তিনি এলাচ চাষে আগ্রহী হন। তার আগ্রহ দেখে ওই ব্যক্তি শ্রীলংকা থেকে পরের বছরের ইজতেমায় রেজাউলের জন্য এলাচের দুটি চারা ও কয়েকটি বীজ নিয়ে আসেন।
সেই এলাচ বিদেশি নাগরিকের পরামর্শ অনুযায়ী রোপন করেন। এখন তিনি সফল এলাচ চাষি। এক শতক জমিতে ১০ থেকে ১৫টি চারা রোপণ করে সেখান থেকে এক হাজারেরও বেশি চারা উৎপাদন করেছেন তিনি।
বর্তমানে তার নার্সারি ও বাড়ি মিলে প্রায় এক হাজার এলাচ গাছে ফল ধরেছে। প্রতিটি গাছের গোঁড়া থেকে মাটি ফেটে প্রত্যেকটি ছড়ায় কাঁচা এলাচ ধরেছে। ফল আসা ছড়াগুলো শুকানোর পর প্রতিটি ছড়া থেকে ৩৫ থেকে ৫০টি পর্যন্ত এলাচ পাওয়া যাবে বলে জানান রেজাউল।
এখন তার উৎপাদিত এলাচ পারিবারিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিক্রী হচ্ছে স্থানীয় বাজারে। প্রতিটি এলাচ চারা বিক্রী হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায়। এতে এলাচ চাষে স্বাবলম্বি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন যুবক রেজাউল ইসলাম।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বলেন, আমি রৌমারী উপজেলার রেজাউল ইসলামের এলাচ চাষ প্রকল্প সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি। তিনি এলাচ চাষে সফলতা দেখিয়েছে। কৃষি বিভাগ তার এলাচ চাষ সর্বত্র ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।