ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুকুরের স্বর্গ

স্বর্গ বলতে সাধারণ কথায় আমরা বুঝি যেখানে কোনো কষ্ট নেই, সুখ আর সুখ। তবে স্বর্গ কি শুধু মানুষের? জেনে অবাক হবেন কুকুরেরও রয়েছে স্বর্গ এবং তা এই পৃথিবীতেই। সম্প্রতি কুকুরের স্বর্গ বলে ঘোষণা করা হয়েছে কোস্টা রিকায় অবস্থিত বেশ বড়সড় একটি সবুজ শ্যামল অঞ্চলকে।

১৮৯১ সাল থেকে যাত্রা শুরু করা মার্কিন সংগঠন বিবিডিও’র উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রজাতির ৯ শতাধিক বেওয়ারিশ এবং বিতাড়িত কুকুরকে একত্র করে কোস্টা রিকার এই অঞ্চলটিকে কুকুরের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেজন্যই এই অঞ্চলটিকে কুকুরের স্বর্গ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিবিডিও’র কর্মীরা। স্থানীয়ভাবে এই অঞ্চলটিকে ডাকা হয় ‘টেরিটরিও ডে জ্যাগুয়েটস’ নামে। যার অর্থ হলো মিশ্র প্রজাতিদের ভূমি।

দিগন্তবিস্তৃত সবুজ পাহাড় ঘেরা এই অঞ্চলটি প্রায় সবসময়ই রৌদ্রজ্জ্বল থাকে । এবং এর গড় তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট হওয়ায় কুকুরের জন্য স্থানটি অতি আরামদায়ক। আর এজন্যই এই স্থানটিকেই কুকুরের অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে সংগঠনটি। তবে শুধু কুকুরের দেখাশোনাই নয়, পাশাপাশি কুকুরগুলোকে নিয়মিত খাওয়ানোর জন্য এই অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ব্যবস্থা করে রেখেছে বিবিডিও কর্মীরা।

 


এখানে কুকুরগুলোকে কিছুদিন লালন করে এদের দত্তক দেবার কাজটিও করে থাকে সংগঠনটি। এটিই এই সংগঠনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সংগঠনটির বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা সারজিও চ্যাঞ্চেলা বলেন, ‘শুধু কোস্টা রিকা এবং এর আশে পাশে প্রায় ১ লাখ বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে যেগুলোর প্রকৃত দত্তক খুজে বের করা আমাদের লক্ষ্য।’

শুধু তাই নয়, সংগঠনটির সৃজনশীল দল কুকুরের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে, এছাড়া তারা বিভিন্ন কুকুরের ভিন্ন ভিন্ন শাবককে তার বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে নতুন নাম দিয়ে থাকে। আর অজানা জাতের কুকুরের সন্ধান পেলে তারও নামকরণ করে থাকে সংগঠনটি। বিবিডিও কর্মীরা ৪৫ দিন পর পর একটি প্রচার অভিযানের মাধ্যমে সংগঠনটি তাদের বিভিন্ন কুকুরের সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের অবগত করে। কেউ যদি তাদের প্রচারে সাড়া দিয়ে কুকুর দত্তক নিতে ইচ্ছা পোষণ করে তখনই সংগঠনটি তাদের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসে।

তবে উপযুক্ত দত্তক পাবার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কুকুরগুলো বেশ মুক্তভাবেই বসবাস করে এখানে। আর সেজন্যই বেওয়ারিশ কুকুরদের অভয়ারণ্য হিসেবে নির্বাচিত এই স্থানটিই এখন কুকুরের স্বর্গ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কুকুরের স্বর্গ

আপডেট টাইম : ১২:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

স্বর্গ বলতে সাধারণ কথায় আমরা বুঝি যেখানে কোনো কষ্ট নেই, সুখ আর সুখ। তবে স্বর্গ কি শুধু মানুষের? জেনে অবাক হবেন কুকুরেরও রয়েছে স্বর্গ এবং তা এই পৃথিবীতেই। সম্প্রতি কুকুরের স্বর্গ বলে ঘোষণা করা হয়েছে কোস্টা রিকায় অবস্থিত বেশ বড়সড় একটি সবুজ শ্যামল অঞ্চলকে।

১৮৯১ সাল থেকে যাত্রা শুরু করা মার্কিন সংগঠন বিবিডিও’র উদ্যোগে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রজাতির ৯ শতাধিক বেওয়ারিশ এবং বিতাড়িত কুকুরকে একত্র করে কোস্টা রিকার এই অঞ্চলটিকে কুকুরের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেজন্যই এই অঞ্চলটিকে কুকুরের স্বর্গ বলে আখ্যা দিয়েছেন বিবিডিও’র কর্মীরা। স্থানীয়ভাবে এই অঞ্চলটিকে ডাকা হয় ‘টেরিটরিও ডে জ্যাগুয়েটস’ নামে। যার অর্থ হলো মিশ্র প্রজাতিদের ভূমি।

দিগন্তবিস্তৃত সবুজ পাহাড় ঘেরা এই অঞ্চলটি প্রায় সবসময়ই রৌদ্রজ্জ্বল থাকে । এবং এর গড় তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট হওয়ায় কুকুরের জন্য স্থানটি অতি আরামদায়ক। আর এজন্যই এই স্থানটিকেই কুকুরের অভয়ারণ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে সংগঠনটি। তবে শুধু কুকুরের দেখাশোনাই নয়, পাশাপাশি কুকুরগুলোকে নিয়মিত খাওয়ানোর জন্য এই অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ব্যবস্থা করে রেখেছে বিবিডিও কর্মীরা।

 


এখানে কুকুরগুলোকে কিছুদিন লালন করে এদের দত্তক দেবার কাজটিও করে থাকে সংগঠনটি। এটিই এই সংগঠনের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সংগঠনটির বিজ্ঞাপন কর্মকর্তা সারজিও চ্যাঞ্চেলা বলেন, ‘শুধু কোস্টা রিকা এবং এর আশে পাশে প্রায় ১ লাখ বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে যেগুলোর প্রকৃত দত্তক খুজে বের করা আমাদের লক্ষ্য।’

শুধু তাই নয়, সংগঠনটির সৃজনশীল দল কুকুরের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছে, এছাড়া তারা বিভিন্ন কুকুরের ভিন্ন ভিন্ন শাবককে তার বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে নতুন নাম দিয়ে থাকে। আর অজানা জাতের কুকুরের সন্ধান পেলে তারও নামকরণ করে থাকে সংগঠনটি। বিবিডিও কর্মীরা ৪৫ দিন পর পর একটি প্রচার অভিযানের মাধ্যমে সংগঠনটি তাদের বিভিন্ন কুকুরের সম্পর্কে সাধারণ মানুষদের অবগত করে। কেউ যদি তাদের প্রচারে সাড়া দিয়ে কুকুর দত্তক নিতে ইচ্ছা পোষণ করে তখনই সংগঠনটি তাদের সঙ্গে বোঝাপড়ার মাধ্যমে একটি সমাধানে আসে।

তবে উপযুক্ত দত্তক পাবার আগ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থান থেকে আসা কুকুরগুলো বেশ মুক্তভাবেই বসবাস করে এখানে। আর সেজন্যই বেওয়ারিশ কুকুরদের অভয়ারণ্য হিসেবে নির্বাচিত এই স্থানটিই এখন কুকুরের স্বর্গ বলে বিবেচিত হচ্ছে।