ঢাকা , রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৫ প্রেমিকার টাকা মেরে চম্পট: জানেন, কে এই বাটপার প্রেমিক

এক সাথে ১৫ জন সুন্দরী নারীর সঙ্গে ভালোবাসার অভিনয় করে এক প্রেমিক পুরুষ প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কে এই বাটপার প্রেমিক? যিনি একসঙ্গে ১৫ সুন্দরী তরুণীকে বোকা বানালেন? জানা গেছে, তিনি নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানের বাসিন্দার। নাম তার জন টেইলর। তবে তাকে টাকার হাতিয়ে নেয়া জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

টেইলর গ্রেফতার হওয়ার জানা গেছে, অনলাইন তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেইলরের বন্ধুত্ব


হয় ওই ১৫ নারীর সঙ্গে। এরা সকলেই উঠতি বয়সী ও উচ্চ বেতনের কর্মকর্তা। জন টেইলর নিজেকে তেল কোম্পানির মালিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই ১৫ জনের সাথে আলাদাভাবে প্রেমিকের ভান করেন।

সম্পর্ক ক্রমে মধুর হবার পর তাদের প্রত্যেককে বিছানায় নেন। এক পর্যায়ে সকলের ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশনও সংগ্রহ করেন। তুলে নেন আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও। এক প্রেমিকা নিজের ক্রেডিট কার্ডের বিল দেখে হতভম্ব হন এবং ফোন করেন টেইলরকে।

সে সময় টেইলর তাকে পাল্টা হুমকি দেন যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার সাথে উঠানো নগ্ন ছবি অফিসের সকলের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এরপর অন্য নারী বন্ধুদের সাথে এই ক্ষুব্ধ নারীর যোগাযোগ ঘটে। তারা সকলেই টেইলরের ভিকটিম হিসেবে পুলিশকে জানায়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৭ ডিসেম্বর টেইলরকে গ্রেফতার করে পরদিন ম্যানহাটানে ফেডারেল কোর্টে সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৩০ বছরের জেল হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

১৫ প্রেমিকার টাকা মেরে চম্পট: জানেন, কে এই বাটপার প্রেমিক

আপডেট টাইম : ০৪:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ জানুয়ারী ২০১৭

এক সাথে ১৫ জন সুন্দরী নারীর সঙ্গে ভালোবাসার অভিনয় করে এক প্রেমিক পুরুষ প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

কে এই বাটপার প্রেমিক? যিনি একসঙ্গে ১৫ সুন্দরী তরুণীকে বোকা বানালেন? জানা গেছে, তিনি নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানের বাসিন্দার। নাম তার জন টেইলর। তবে তাকে টাকার হাতিয়ে নেয়া জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে।

টেইলর গ্রেফতার হওয়ার জানা গেছে, অনলাইন তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টেইলরের বন্ধুত্ব


হয় ওই ১৫ নারীর সঙ্গে। এরা সকলেই উঠতি বয়সী ও উচ্চ বেতনের কর্মকর্তা। জন টেইলর নিজেকে তেল কোম্পানির মালিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই ১৫ জনের সাথে আলাদাভাবে প্রেমিকের ভান করেন।

সম্পর্ক ক্রমে মধুর হবার পর তাদের প্রত্যেককে বিছানায় নেন। এক পর্যায়ে সকলের ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশনও সংগ্রহ করেন। তুলে নেন আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও। এক প্রেমিকা নিজের ক্রেডিট কার্ডের বিল দেখে হতভম্ব হন এবং ফোন করেন টেইলরকে।

সে সময় টেইলর তাকে পাল্টা হুমকি দেন যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে তার সাথে উঠানো নগ্ন ছবি অফিসের সকলের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে। এরপর অন্য নারী বন্ধুদের সাথে এই ক্ষুব্ধ নারীর যোগাযোগ ঘটে। তারা সকলেই টেইলরের ভিকটিম হিসেবে পুলিশকে জানায়।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত ২৭ ডিসেম্বর টেইলরকে গ্রেফতার করে পরদিন ম্যানহাটানে ফেডারেল কোর্টে সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ৩০ বছরের জেল হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।