ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষ ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়বে, শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের

আগামী অর্থবছরে ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সরকার দ্বিগুণ কর কাটবে। ব্যাংক থেকে নিজের টাকা তুললেও দ্বিগুণ কর দিতে হবে। আবার ব্যাংক থেকে কেউ ঋণ নিতে গেলেও ঋণের সেই অর্থ থেকে দ্বিগুণ কর দিয়ে আসতে হবে। আবগারি শুল্কের নামে এসব অর্থ গ্রাহকের কাছ থেকে কাটা হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এই প্রস্তাবে শঙ্কিত ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ করলে জনগণ ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়বে। বাড়বে অর্থপাচার, যা অর্থনীতিতে নতুন ঝুঁকি তৈরি করবে। চলতি অর্থবছরে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন আবগারি শুল্কমুক্ত ছিল। এনবিআরের প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী অর্থবছরেও তা বহাল থাকছে। অর্থাত্ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন করলে কোনো কর দিতে হবে না। ২০ হাজার ১ টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জমা ও ঋণের ওপর চলতি বাজেটে ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক নিচ্ছে এনবিআর। আগামী বাজেটে তা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হচ্ছে। ১ লাখ ১ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা ও ঋণের ওপর চলতি বাজেটে আবগারি শুল্ক ধরা আছে ৫০০ টাকা। আগামী অর্থবছরে তা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হচ্ছে। ১০ লাখ ১ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনের ওপর চলতি অর্থবছরে ১৫০০ টাকা নিচ্ছে সরকার। আগামী ১ জুলাই থেকে যা তিন হাজার টাকা নেওয়া হবে। এনবিআর সূত্রে আরও জানা যায়, ১ কোটি ১ টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনে চলতি অর্থবছরে ৭ হাজার ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। এনবিআর সূত্র মতে, আগামী অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা আরোপ করা হচ্ছে। একইভাবে ৫ কোটি ১ টাকা থেকে আরও বেশি পরিমাণ অর্থ লেনদেনের ওপর বর্তমান আবগারি শুল্ক ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে ব্যাংকে রাখা টাকার আসল তো থাকছেই না বরং মূল্যস্ফীতি, কর ও বার্ষিক চার্জ কর্তনে টাকা ক্ষয় আরও বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, ধরুন একজন গ্রাহক ৫ শতাংশ সুদহারে একটি ব্যাংকে আমানত রাখল। বছর শেষে তিনি সুদ বাবদ ৪১৬ টাকা ৬৭ পয়সা পাবেন। যদি তিনি টিআইএন সার্টিফিকেটধারী না হন তাহলে, তার সুদের ওপর ১৫ শতাংশ কর তথা ৬২ টাকা ৫০ পয়সা কেটে রাখা হবে। এরপর এনবিআরের নতুন প্রস্তাবে তার হিসাবে লাখ টাকার বেশি থাকায় আবগারি শুল্ক বাবদ কেটে রাখা হবে এক হাজার টাকা। এছাড়া ব্যাংকভেদে বার্ষিক চার্জ বাবদ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কর্তন করা হয়। অর্থাত্ বছর শেষে ওই গ্রাহকের আসল টাকা তো থাকছেই না, বরং কমে ৯৯ হাজার ৫৪ টাকার মতো থাকছে। এর সঙ্গে যদি মূল্যস্ফীতির হার (মার্চে ’১৭ যেটা ছিল ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ) বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বছর শেষে টাকার ক্ষয় আরও বেড়ে যাচ্ছে। চূড়ান্ত হিসাবে এক বছরে ১ লাখ টাকা থেকে কমে দাঁড়াচ্ছে ৯৩ হাজার ৭শ’ টাকায়। এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মীর্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম সকালের খবরকে বলেন, ব্যাংকের অর্থ লেনদেনে আবগারি শুল্ক দিগুণ বসানো মোটেও উচিত হবে না। এমনিতে ব্যাংকগুলো সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। আমানতে সুদহার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কমে গেছে। এতে করে আমানতকারী প্রতিবছরই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যা দীর্ঘমেয়াদে জনগণকে ব্যাংকবিমুখ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, দেশে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের সুযোগ কম। তাই মানুষ বাধ্য হয়েই ব্যাংকে টাকা রাখে। এখন যদি ব্যাংকে টাকা রেখে আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, তাহলে ব্যাংকের পরিবর্তে অন্য খাতে টাকা চলে যেতে পারে। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস এ খান সকালের খবরকে বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে ব্যাংক খাতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জনগণ সঞ্চয়বিমুখ হয়ে পড়বে। ফলে ব্যাংকগুলোর ব্যবসাও কমে যাবে। তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অল্প অল্প টাকা বাঁচিয়ে ব্যাংকে রাখে। এখন যদি তাদের লেনদেনের ওপর আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়, তাহলে সে টাকা অন্যত্র চলে যাবে। তারা সঞ্চয়ে আগ্রহী হবে না।  আনিস এ খান বলেন, ব্যাংকগুলো প্রতিবছর সরকারকে আয়কর দিচ্ছে, গ্রাহকের মুনাফার ওপর করও পরিশোধ করা হচ্ছে। এখন যদি আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়, তা খুবই খারাপ হবে। তিনি বর্তমানে যে হার রয়েছে, তা বহাল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমিন সকালের খবরকে বলেন, বর্তমানে ব্যাংকের আমানতে যে সুদহার রয়েছে, তা মূল্যস্ফীতিজনিত ক্ষয়ের সঙ্গে সমন্বয় করলে প্রকৃতপক্ষে টাকার পরিমাণ বাড়ছে না, উল্টো কমছে। সেই সঙ্গে আবগারি শুল্কের হার দ্বিগুণ করা হলে ব্যাংকের প্রতি জনগণ নিরুত্সাহিত হবে। তিনি বলেন, চোখের সামনে কোনো গ্রাহক চাইবে না তার টাকা এভাবে সরকার কেটে নিক। তারা এটা মেনে নিতে মানসিকভাবে প্রস্তুতও নয়। সুতরাং দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সঞ্চয়ী মানুষের কথা চিন্তা করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে না। এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ সকালের খবরকে বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত অর্থনীতিতে ঝুঁকি বাড়াবে। সরকার বড় বাজেট দিতে গিয়ে আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ নেই। এখন জনগণ যদি মনে করে ব্যাংকে টাকা রাখলে তা আরও কমে যাবে, তাহলে তারা ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সিদ্ধান্তে দেশ থেকে অর্থ পাচারের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মানুষ ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়বে, শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের

আপডেট টাইম : ০৬:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০১৭

আগামী অর্থবছরে ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে সরকার দ্বিগুণ কর কাটবে। ব্যাংক থেকে নিজের টাকা তুললেও দ্বিগুণ কর দিতে হবে। আবার ব্যাংক থেকে কেউ ঋণ নিতে গেলেও ঋণের সেই অর্থ থেকে দ্বিগুণ কর দিয়ে আসতে হবে। আবগারি শুল্কের নামে এসব অর্থ গ্রাহকের কাছ থেকে কাটা হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এই প্রস্তাবে শঙ্কিত ব্যাংক খাত সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ করলে জনগণ ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়বে। বাড়বে অর্থপাচার, যা অর্থনীতিতে নতুন ঝুঁকি তৈরি করবে। চলতি অর্থবছরে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন আবগারি শুল্কমুক্ত ছিল। এনবিআরের প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী অর্থবছরেও তা বহাল থাকছে। অর্থাত্ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত লেনদেন করলে কোনো কর দিতে হবে না। ২০ হাজার ১ টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত জমা ও ঋণের ওপর চলতি বাজেটে ১৫০ টাকা আবগারি শুল্ক নিচ্ছে এনবিআর। আগামী বাজেটে তা বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হচ্ছে। ১ লাখ ১ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা ও ঋণের ওপর চলতি বাজেটে আবগারি শুল্ক ধরা আছে ৫০০ টাকা। আগামী অর্থবছরে তা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করা হচ্ছে। ১০ লাখ ১ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনের ওপর চলতি অর্থবছরে ১৫০০ টাকা নিচ্ছে সরকার। আগামী ১ জুলাই থেকে যা তিন হাজার টাকা নেওয়া হবে। এনবিআর সূত্রে আরও জানা যায়, ১ কোটি ১ টাকা থেকে পাঁচ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেনে চলতি অর্থবছরে ৭ হাজার ৫০০ টাকা আবগারি শুল্ক আদায় করা হচ্ছে। এনবিআর সূত্র মতে, আগামী অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা আরোপ করা হচ্ছে। একইভাবে ৫ কোটি ১ টাকা থেকে আরও বেশি পরিমাণ অর্থ লেনদেনের ওপর বর্তমান আবগারি শুল্ক ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে আগামী অর্থবছরে ৩০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে ব্যাংকে রাখা টাকার আসল তো থাকছেই না বরং মূল্যস্ফীতি, কর ও বার্ষিক চার্জ কর্তনে টাকা ক্ষয় আরও বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, ধরুন একজন গ্রাহক ৫ শতাংশ সুদহারে একটি ব্যাংকে আমানত রাখল। বছর শেষে তিনি সুদ বাবদ ৪১৬ টাকা ৬৭ পয়সা পাবেন। যদি তিনি টিআইএন সার্টিফিকেটধারী না হন তাহলে, তার সুদের ওপর ১৫ শতাংশ কর তথা ৬২ টাকা ৫০ পয়সা কেটে রাখা হবে। এরপর এনবিআরের নতুন প্রস্তাবে তার হিসাবে লাখ টাকার বেশি থাকায় আবগারি শুল্ক বাবদ কেটে রাখা হবে এক হাজার টাকা। এছাড়া ব্যাংকভেদে বার্ষিক চার্জ বাবদ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কর্তন করা হয়। অর্থাত্ বছর শেষে ওই গ্রাহকের আসল টাকা তো থাকছেই না, বরং কমে ৯৯ হাজার ৫৪ টাকার মতো থাকছে। এর সঙ্গে যদি মূল্যস্ফীতির হার (মার্চে ’১৭ যেটা ছিল ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ) বাদ দেওয়া হয়, তাহলে বছর শেষে টাকার ক্ষয় আরও বেড়ে যাচ্ছে। চূড়ান্ত হিসাবে এক বছরে ১ লাখ টাকা থেকে কমে দাঁড়াচ্ছে ৯৩ হাজার ৭শ’ টাকায়। এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মীর্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম সকালের খবরকে বলেন, ব্যাংকের অর্থ লেনদেনে আবগারি শুল্ক দিগুণ বসানো মোটেও উচিত হবে না। এমনিতে ব্যাংকগুলো সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। আমানতে সুদহার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কমে গেছে। এতে করে আমানতকারী প্রতিবছরই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যা দীর্ঘমেয়াদে জনগণকে ব্যাংকবিমুখ করতে পারে। তিনি আরও বলেন, দেশে ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের সুযোগ কম। তাই মানুষ বাধ্য হয়েই ব্যাংকে টাকা রাখে। এখন যদি ব্যাংকে টাকা রেখে আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, তাহলে ব্যাংকের পরিবর্তে অন্য খাতে টাকা চলে যেতে পারে। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস এ খান সকালের খবরকে বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে ব্যাংক খাতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। জনগণ সঞ্চয়বিমুখ হয়ে পড়বে। ফলে ব্যাংকগুলোর ব্যবসাও কমে যাবে। তিনি বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী অল্প অল্প টাকা বাঁচিয়ে ব্যাংকে রাখে। এখন যদি তাদের লেনদেনের ওপর আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়, তাহলে সে টাকা অন্যত্র চলে যাবে। তারা সঞ্চয়ে আগ্রহী হবে না।  আনিস এ খান বলেন, ব্যাংকগুলো প্রতিবছর সরকারকে আয়কর দিচ্ছে, গ্রাহকের মুনাফার ওপর করও পরিশোধ করা হচ্ছে। এখন যদি আবগারি শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়, তা খুবই খারাপ হবে। তিনি বর্তমানে যে হার রয়েছে, তা বহাল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান ও মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমিন সকালের খবরকে বলেন, বর্তমানে ব্যাংকের আমানতে যে সুদহার রয়েছে, তা মূল্যস্ফীতিজনিত ক্ষয়ের সঙ্গে সমন্বয় করলে প্রকৃতপক্ষে টাকার পরিমাণ বাড়ছে না, উল্টো কমছে। সেই সঙ্গে আবগারি শুল্কের হার দ্বিগুণ করা হলে ব্যাংকের প্রতি জনগণ নিরুত্সাহিত হবে। তিনি বলেন, চোখের সামনে কোনো গ্রাহক চাইবে না তার টাকা এভাবে সরকার কেটে নিক। তারা এটা মেনে নিতে মানসিকভাবে প্রস্তুতও নয়। সুতরাং দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সঞ্চয়ী মানুষের কথা চিন্তা করে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে না। এ প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ সকালের খবরকে বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত অর্থনীতিতে ঝুঁকি বাড়াবে। সরকার বড় বাজেট দিতে গিয়ে আয়ের সঙ্গে ব্যয় মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, দেশে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ নেই। এখন জনগণ যদি মনে করে ব্যাংকে টাকা রাখলে তা আরও কমে যাবে, তাহলে তারা ব্যাংকবিমুখ হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সিদ্ধান্তে দেশ থেকে অর্থ পাচারের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করেন।