ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার প্রস্তুতি

প্রতিবছর ঈদে নতুন চাহিদা বাড়ে। ছোটরা সালামি হিসেবে নতুন টাকা পেতে চায়।

তাই ঈদ এলেই প্রতিবছর নতুন টাকা বদলে নিতে অনেকেই ব্যাংকের শরণাপন্ন হন। বাড়তি চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর পর্যাপ্ত নতুন টাকা মজুদ রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ৮ জুন বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিসের পাশাপাশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে বিশেষ কাউন্টার খুলে এসব নোট বিনিময় করা হবে। রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখা থেকে নতুন নোট দেওয়া হবে।

নতুন নোট বদলে দেওয়ার সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলসহ বিভিন্ন শাখা অফিসে বিশেষ কাউন্টার খোলা হবে। রাজধানীতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখায় থাকবে বিশেষ কাউন্টার। এসব শাখা থেকে একজন ব্যক্তি ২, ৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকার একটি করে বান্ডেল অর্থাৎ মোট ৮ হাজার ৭০০ টাকার নতুন নোট পাবেন। এর বাইরে কেউ চাইলে ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নিতে পারবেন যত খুশি। সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নোট ছেপে বাজারে ছাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। তবে ঈদের আগে ছাড়া নোটগুলো ছাড়ার পাশাপাশি বাজার থেকে সমপরিমাণ পুরনো নোট তুলে নেওয়া হয় বলে মূল্যস্ফিতির ওপর বাড়তি কোনো চাপ তৈরি হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও কারেন্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রতিবছরই ঈদের আগে নতুন নোটের চাহিদা বাড়ে। এই চাহিদা বিবেচনায় এবার ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট মজুদ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলসহ সব শাখা অফিস এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নির্দিষ্ট শাখা থেকে এসব নোট বদলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া জাল নোট প্রতিরোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ’

সূত্র জানায়, নতুন নোট বদলানোর সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে তিনটি বিশেষ কাউন্টার খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকার বাইরে বগুড়া এবং সব বিভাগীয় শহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা অফিসে বিশেষ কাউন্টার খুলে সেখান থেকে নতুন নোট দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে এমন সব শহরের নির্দিষ্ট কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকেও একই রকম ব্যবস্থা থাকবে।

ঢাকার যেসব শাখায় মিলবে নতুন নোট : রাজধানীসহ সারা দেশের সব শাখা থেকে কম বেশি নতুন নোট পাওয়া যাবে। তবে জনসাধারণের সুবিধার্থে ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখায় বিশেষ কাউন্টার খুলে নতুন নোট দেওয়া হবে। শাখাগুলো হলো জনতা ব্যাংকের আবদুল গনি রোড ও রাজারবাগ, সোনালী ব্যাংকের রমনা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী, ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, সিটি ব্যাংকের মিরপুর, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার, এসআইবিএলের বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী, মার্কেন্টাইলের বনানী, ব্যাংক এশিয়ার ধানমণ্ডি এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিণখানের এসএমই অ্যান্ড কৃষি শাখা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ঈদে ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার প্রস্তুতি

আপডেট টাইম : ০৫:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০১৭

প্রতিবছর ঈদে নতুন চাহিদা বাড়ে। ছোটরা সালামি হিসেবে নতুন টাকা পেতে চায়।

তাই ঈদ এলেই প্রতিবছর নতুন টাকা বদলে নিতে অনেকেই ব্যাংকের শরণাপন্ন হন। বাড়তি চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর পর্যাপ্ত নতুন টাকা মজুদ রাখে বাংলাদেশ ব্যাংক। এবার ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগামী ৮ জুন বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিসের পাশাপাশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে বিশেষ কাউন্টার খুলে এসব নোট বিনিময় করা হবে। রাজধানীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখা থেকে নতুন নোট দেওয়া হবে।

নতুন নোট বদলে দেওয়ার সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলসহ বিভিন্ন শাখা অফিসে বিশেষ কাউন্টার খোলা হবে। রাজধানীতে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখায় থাকবে বিশেষ কাউন্টার। এসব শাখা থেকে একজন ব্যক্তি ২, ৫, ১০, ২০ ও ৫০ টাকার একটি করে বান্ডেল অর্থাৎ মোট ৮ হাজার ৭০০ টাকার নতুন নোট পাবেন। এর বাইরে কেউ চাইলে ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নিতে পারবেন যত খুশি। সাধারণত কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নোট ছেপে বাজারে ছাড়লে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। তবে ঈদের আগে ছাড়া নোটগুলো ছাড়ার পাশাপাশি বাজার থেকে সমপরিমাণ পুরনো নোট তুলে নেওয়া হয় বলে মূল্যস্ফিতির ওপর বাড়তি কোনো চাপ তৈরি হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও কারেন্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রতিবছরই ঈদের আগে নতুন নোটের চাহিদা বাড়ে। এই চাহিদা বিবেচনায় এবার ৩০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট মজুদ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিলসহ সব শাখা অফিস এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নির্দিষ্ট শাখা থেকে এসব নোট বদলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া জাল নোট প্রতিরোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ’

সূত্র জানায়, নতুন নোট বদলানোর সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে তিনটি বিশেষ কাউন্টার খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকার বাইরে বগুড়া এবং সব বিভাগীয় শহরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শাখা অফিসে বিশেষ কাউন্টার খুলে সেখান থেকে নতুন নোট দেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে এমন সব শহরের নির্দিষ্ট কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকেও একই রকম ব্যবস্থা থাকবে।

ঢাকার যেসব শাখায় মিলবে নতুন নোট : রাজধানীসহ সারা দেশের সব শাখা থেকে কম বেশি নতুন নোট পাওয়া যাবে। তবে জনসাধারণের সুবিধার্থে ১৯টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখায় বিশেষ কাউন্টার খুলে নতুন নোট দেওয়া হবে। শাখাগুলো হলো জনতা ব্যাংকের আবদুল গনি রোড ও রাজারবাগ, সোনালী ব্যাংকের রমনা, অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড, রূপালী ব্যাংকের মহাখালী, ন্যাশনাল ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী, সিটি ব্যাংকের মিরপুর, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওয়ান বাজার, এসআইবিএলের বসুন্ধরা সিটি শপিং মল, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো, ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী, মার্কেন্টাইলের বনানী, ব্যাংক এশিয়ার ধানমণ্ডি এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের দক্ষিণখানের এসএমই অ্যান্ড কৃষি শাখা।