ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিরছে স্বস্তি, কমেছে ডিমের দাম

চলমান অভিযানে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানেই রাজধানীতে ডিমের দাম হালিতে ৫ থেকে ১০  টাকা কমেছে, ডজনে কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা টাকা পর্যন্ত। সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে বিভিন্ন আড়ত ও দোকানে অভিযানের ফলে ডিমের দাম কমে আসছে বলে মনে করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা, জিগাতলা, কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দাম কমার চিত্র দেখা যায়। এখন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

দুদিন আগেও যা ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। একদম পাড়া-মহল্লার দোকানে প্রতি পিস ডিম যেখানে ১৫ টাকা পর্যন্ত ছিল, সেটা আজ প্রায় ১৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়।

সপ্তাহ দুয়েক ধরেই টালমাটাল ডিমের বাজার। একটি ডিম কিনতে ভোক্তার খরচ করতে হয় ১৫ টাকা পর্যন্ত, যা ডিমের দামে রেকর্ড। প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, বাজারের তুলনায় প্রতি পিস ডিমে তারা ২ টাকা কম পান।

কারণ ডিম বিক্রি পুরোটাই নিয়ন্ত্রিত। দেশের বিভিন্ন পোল্ট্রি ডিলার অ্যাসোসিয়েশন, সমিতির মাধ্যমে ডিমের দাম কত হবে তা নির্ধারণ করা হয়। তাদের নির্ধারিত দামের বাইরে ডিম বিক্রির সুযোগ নেই।

এদিকে, দাম না কমলে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। দামে লাগাম টানতে আমদানির হুমকি দেওয়ার পরদিন থেকেই পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করে। যার সুফল এখন মিলছে খুচরা বাজারেও।

ডিমের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা দেশে নতুন নয়। চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনপ্রতি প্রায় ৩০ টাকা বেড়েছিল।

এর আগে গত বছরের আগস্টেও ডিমের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছিল। পরে বর্ষা শেষে দাম কমে হয় ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। তবে এক ডজন ডিমের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফিরছে স্বস্তি, কমেছে ডিমের দাম

আপডেট টাইম : ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৩

চলমান অভিযানে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানেই রাজধানীতে ডিমের দাম হালিতে ৫ থেকে ১০  টাকা কমেছে, ডজনে কমেছে ১৫ থেকে ২০ টাকা টাকা পর্যন্ত। সরবরাহ বাড়ার কারণে দাম কমছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে বিভিন্ন আড়ত ও দোকানে অভিযানের ফলে ডিমের দাম কমে আসছে বলে মনে করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ ও সেগুনবাগিচা, জিগাতলা, কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দাম কমার চিত্র দেখা যায়। এখন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

দুদিন আগেও যা ১৮০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। একদম পাড়া-মহল্লার দোকানে প্রতি পিস ডিম যেখানে ১৫ টাকা পর্যন্ত ছিল, সেটা আজ প্রায় ১৩ টাকায় দাঁড়িয়েছে। প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়।

সপ্তাহ দুয়েক ধরেই টালমাটাল ডিমের বাজার। একটি ডিম কিনতে ভোক্তার খরচ করতে হয় ১৫ টাকা পর্যন্ত, যা ডিমের দামে রেকর্ড। প্রান্তিক খামারিরা বলছেন, বাজারের তুলনায় প্রতি পিস ডিমে তারা ২ টাকা কম পান।

কারণ ডিম বিক্রি পুরোটাই নিয়ন্ত্রিত। দেশের বিভিন্ন পোল্ট্রি ডিলার অ্যাসোসিয়েশন, সমিতির মাধ্যমে ডিমের দাম কত হবে তা নির্ধারণ করা হয়। তাদের নির্ধারিত দামের বাইরে ডিম বিক্রির সুযোগ নেই।

এদিকে, দাম না কমলে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ডিম আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। দামে লাগাম টানতে আমদানির হুমকি দেওয়ার পরদিন থেকেই পাইকারি বাজারে দাম কমতে শুরু করে। যার সুফল এখন মিলছে খুচরা বাজারেও।

ডিমের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা দেশে নতুন নয়। চলতি বছরের শুরুতে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনপ্রতি প্রায় ৩০ টাকা বেড়েছিল।

এর আগে গত বছরের আগস্টেও ডিমের দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছিল। পরে বর্ষা শেষে দাম কমে হয় ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। তবে এক ডজন ডিমের দাম ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।