বিশেষজ্ঞদের তথ্যমতে, এই আমানত বেশ কয়েকটি কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে আমানতের সুদহার বাড়ানো। যা সাম্প্রতিক সময়ে হয়েছে। এতে মানুষের সঞ্চয়ের আগ্রহ বেড়ে গেছে। মানুষ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাংকে টাকা রাখতে উৎসাহিত হচ্ছে।
আমানতের প্রবৃদ্ধি টানা তিন মাস ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে আমানতে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ১১ দশমিক ০৪ শতাংশে পৌঁছায়, যা ২৮ মাসের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে করোনা মহামারির কারণে যে বৈশ্বিক লকডাউন হয় তাতে অর্থনৈতিক গতি মন্থরতার প্রভাবে আমানত প্রবৃদ্ধির হার ১১ দশমিক ২৬ শতাংশে পৌঁছেছিল।
দেশে বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ বৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় আমানতের জন্য অর্থও বেশি পাওয়া।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। রেমিট্যান্স আয়ে ইতিবাচক ধারা থাকলে আমানতের প্রবৃদ্ধিতে এর প্রভার পড়ে। কারণ রেমিট্যান্সের একটা অংশ সঞ্চয়ে যুক্ত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদের হার বাড়ানোর কারণে ব্যাংকগুলোও আমানতের সুদের হার বাড়াচ্ছে বলেও জানান ব্যাংকাররা।
মানুষের হাতে থাকায় টাকায় আমানত বাড়ার প্রভাব পড়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের মানুষের হাতে প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা ছিল। এ পরিমাণ জানুয়ারি মাসের তুলনায় কম।
মানুষের হাতে নগদ টাকা কমে যাওয়ার আরেকটি মানে হলো সেই টাকা ব্যাংকে ফিরে এসে আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করছে।