ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

ফরিদপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা হচ্ছে বারি আম-৪

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বারি আম-৪-এর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। দেড়বছর আগে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ২ বিঘা জমিতে বারি আম-৪ আবাদ শুরু করেন কৃষক অহিদুজ্জামান।

একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করছেন ধান, গম ও তিল। একই জমিতে আমসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করতে পেরে লাভও হচ্ছে ভালো। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৯৩ সালে বারি আম-৪ উদ্ভাবন করে।

 শুধু ওহিদুজ্জামানই নয়, এ আম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার শিলারাণী ও জাকারিয়াসহ ২৫ থেকে ৩০ জন চাষী। তারা জানান, আমের চারা রোপণের দেড় বছরের মাথায় গাছে প্রচুর আম ধরেছে। তারা আশা করছেন, আম বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ বাজার থেকে যখন সব আম শেষ হয়ে যাবে, তখন তাদের আম পাকতে শুরু করবে। এতে আমের চাহিদাও থাকবে, দামও ভালো পাওয়া যাবে। তারা আরো জানান, এলাকার অনেকেই এসব বাগান দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

বারি আম-৪ এ ফাল্গুন মাসে মুকুল এলেও আম পাকে শ্রাবণ মাসে। প্রতিটি ফলের ওজন হয় ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত। দ্বিতীয় শস্য বহুমুখী প্রকল্পের আওতায় বারী আম-৪, বারী আম-৮, ব্যানানা ও গোরমতি জাতের আমের বাগান করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আশুতোষ কুমার বিশ্বাস জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেড় বছরের মধ্যে ৩০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। এ ছাড়া বসতবাড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে আড়াই হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে।

এভাবে আম চাষ অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরে উৎপাদিত আম জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য অঞ্চলেও রপ্তানি করা যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

উপদেষ্টাদের আশ্বাসে হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা

ফরিদপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ করা হচ্ছে বারি আম-৪

আপডেট টাইম : ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বারি আম-৪-এর বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদে সফলতা পেয়েছেন চাষিরা। দেড়বছর আগে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে ২ বিঘা জমিতে বারি আম-৪ আবাদ শুরু করেন কৃষক অহিদুজ্জামান।

একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করছেন ধান, গম ও তিল। একই জমিতে আমসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করতে পেরে লাভও হচ্ছে ভালো। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৯৩ সালে বারি আম-৪ উদ্ভাবন করে।

 শুধু ওহিদুজ্জামানই নয়, এ আম চাষ করে লাভবান হচ্ছেন উপজেলার শিলারাণী ও জাকারিয়াসহ ২৫ থেকে ৩০ জন চাষী। তারা জানান, আমের চারা রোপণের দেড় বছরের মাথায় গাছে প্রচুর আম ধরেছে। তারা আশা করছেন, আম বিক্রি করে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ বাজার থেকে যখন সব আম শেষ হয়ে যাবে, তখন তাদের আম পাকতে শুরু করবে। এতে আমের চাহিদাও থাকবে, দামও ভালো পাওয়া যাবে। তারা আরো জানান, এলাকার অনেকেই এসব বাগান দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

বারি আম-৪ এ ফাল্গুন মাসে মুকুল এলেও আম পাকে শ্রাবণ মাসে। প্রতিটি ফলের ওজন হয় ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত। দ্বিতীয় শস্য বহুমুখী প্রকল্পের আওতায় বারী আম-৪, বারী আম-৮, ব্যানানা ও গোরমতি জাতের আমের বাগান করতে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আশুতোষ কুমার বিশ্বাস জানান, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দেড় বছরের মধ্যে ৩০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। এ ছাড়া বসতবাড়িতে বিক্ষিপ্তভাবে আড়াই হাজার চারা রোপণ করা হয়েছে।

এভাবে আম চাষ অব্যাহত থাকলে আগামী ১০ বছরে উৎপাদিত আম জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য অঞ্চলেও রপ্তানি করা যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।