ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একক ব্যক্তির কম্পানি গঠনের সুযোগ রেখে সংশোধন হচ্ছে আইন

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ একক ব্যক্তির কম্পানি গটনের সুযোগ রেখে ১৯৯৪ সালের কম্পানি আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। আজ রবিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বিষয়টি আলোচনা হয়।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন লেজিসলেটিভ রিসার্চ এন্ড রিফর্ম প্রজেক্ট এর উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন। এ সভায় অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও  বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান,বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক।

সভায় কম্পানি আইনে ‘এক ব্যক্তি কম্পানি’ নামে নতুন ধারা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। বিদ্যামন আইনে কম্পানি বলতে একাধিক ব্যক্তির দ্বারা গঠিত কম্পানি বুঝাতো। আইনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ‘এক ব্যক্তি কম্পানি’ বলতে এমন একটি প্রাইভেট কম্পানিকে বুঝাবে যেখানে একজন মাত্র প্রাকৃতিক সত্ত্বা বিশিষ্ট ব্যক্তি এই কম্পানির শেয়ার হোল্ডার হবেন।

একক ব্যক্তির কম্পানি গঠনের সুযোগ ছাড়াও দেশে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজ করা, কম্পানির সাধারণ পাওনাদার ও সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।

সভায় এক-ব্যক্তি কম্পানি গঠন করা, এর বার্ষিক সাধারণ সভা, শেয়ার হস্তান্তর, পরিচালক সংখ্যা এবং কম্পানির মালিকের মৃত্যুর পর  শেয়ার হস্তন্তর করা বা উত্তরাধিকারগণ কর্তৃক কম্পানির দায়িত্ব গ্রহণ, এক-ব্যক্তি কম্পানি অধিগ্রহণ, রূপান্তর পদ্ধতি, ব্যালেন্স শিট, শেয়ার হস্তান্তরের সময় রাজস্ব আদায় পদ্ধতি, লিকুইডিটর নিয়োগ ও অবসায়ন হওয়ার আগে মূলধন ফেরত পদ্ধতি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

আগামী ২৭ অক্টোবর আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পরবর্তী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

একক ব্যক্তির কম্পানি গঠনের সুযোগ রেখে সংশোধন হচ্ছে আইন

আপডেট টাইম : ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ একক ব্যক্তির কম্পানি গটনের সুযোগ রেখে ১৯৯৪ সালের কম্পানি আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে সরকার। আজ রবিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় বিষয়টি আলোচনা হয়।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন লেজিসলেটিভ রিসার্চ এন্ড রিফর্ম প্রজেক্ট এর উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সভাপতিত্ব করেন। এ সভায় অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মোস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও  বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান,বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম সহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক।

সভায় কম্পানি আইনে ‘এক ব্যক্তি কম্পানি’ নামে নতুন ধারা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। বিদ্যামন আইনে কম্পানি বলতে একাধিক ব্যক্তির দ্বারা গঠিত কম্পানি বুঝাতো। আইনের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে ‘এক ব্যক্তি কম্পানি’ বলতে এমন একটি প্রাইভেট কম্পানিকে বুঝাবে যেখানে একজন মাত্র প্রাকৃতিক সত্ত্বা বিশিষ্ট ব্যক্তি এই কম্পানির শেয়ার হোল্ডার হবেন।

একক ব্যক্তির কম্পানি গঠনের সুযোগ ছাড়াও দেশে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা, ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজ করা, কম্পানির সাধারণ পাওনাদার ও সংখ্যালঘু শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে আইনটি সংশোধন করা হচ্ছে।

সভায় এক-ব্যক্তি কম্পানি গঠন করা, এর বার্ষিক সাধারণ সভা, শেয়ার হস্তান্তর, পরিচালক সংখ্যা এবং কম্পানির মালিকের মৃত্যুর পর  শেয়ার হস্তন্তর করা বা উত্তরাধিকারগণ কর্তৃক কম্পানির দায়িত্ব গ্রহণ, এক-ব্যক্তি কম্পানি অধিগ্রহণ, রূপান্তর পদ্ধতি, ব্যালেন্স শিট, শেয়ার হস্তান্তরের সময় রাজস্ব আদায় পদ্ধতি, লিকুইডিটর নিয়োগ ও অবসায়ন হওয়ার আগে মূলধন ফেরত পদ্ধতি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

আগামী ২৭ অক্টোবর আইনটি সংশোধনের বিষয়ে পরবর্তী পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।