বাঙালী কন্ঠঃ ব্যবসা পরিচালনার উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে ৩২ থেকে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে; বর্তমানে যেটি রয়েছে ২৩.৪ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার বিডার নবনিযুক্ত নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর এ কথা বলেন।
দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (বিডা) অবকাঠামো উন্নয়ন, শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) নেতারা। সংগঠনটির নেতারা অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় দ্রুততার সঙ্গে গ্যাস-বিদ্যুৎসহ অন্যান্য সেবার চালুকরণ, এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ব্যবসা কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া সহজীকরণ, বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক প্রস্তাবিত কম্পানি আইনের সংস্কার এবং ব্যাংকঋণের সুদের হার কামানোর প্রস্তাব করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, ব্যবসা পরিচালনার উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নের জন্য বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে প্রায় ৩২ থেকে ৩৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে; বর্তমানে যেটি রয়েছে ২৩.৪ শতাংশ। তিনি জানান, ২০১৮ সালে বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যেটি ২০১৭ সালে ছিল ২ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থনীতিকে আরো সচল রাখার জন্য বাণিজ্য বিষয়ে সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নয়ন, আমদানি-রপ্তানি নীতিমালাসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য নীতিমালার সংস্কার ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর ওপর গুরুত্ব্বারোপ করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি প্রাস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোয় (এসইজেড) দ্রুততম সময়ে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ অন্য সব ধরনের সেবার সংযোগ প্রদানের পাশাপাশি বেজা, পিপিপি কর্তৃপক্ষ ও বিডার সমন্বয় আরো বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ব্যবসা পরিচালনার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আশাব্যঞ্জক নয়, এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিডা ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।