ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও স্বাস্থ্যসেবা

রাজবাড়ীর পাংশায় সমকাল সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এবং আল খায়ের ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে পাংশা উপজেলার মৈশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির এবং  লিজা হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এ উদ্যোগে আদ-দ্বীন হাসপাতাল বিশেষ সহযোগিতা করে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনালের তত্ত্বাবধানে ২৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জন চার শতাধিক রোগীকে চক্ষু ও স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
চক্ষু শিবিরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কনসালটেন্ট মো. শহীদুল ইসলাম, বিএসএমএমইউ এর কনসালটেন্ট ডা. মঈনুল ইসলাম এবং ডা. নিরুপম দে দেড় শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা প্রদান ও ৫০ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন করেন।
সমকালের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও স্বাস্থ্যসেবা

এ আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সেনাল ক্যাম্প দুটিতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, আল খায়ের ফাউন্ডেশন এবং আদ দ্বীন হাসপাতালকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

পাংশা পৌরসভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বিশ্বাস বলেন,  মহতি এ উদ্যোগে সামিল হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। চোখের ছানি অপারেশন করার পর একজন মানুষ যখন স্বাভাবিকভাবে দেখতে পায় এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে তখনকার অনুভূতি সত্যিই আনন্দদায়ক।
সমকাল সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আবেদ বলেন, সমকাল পত্রিকা সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকের এ কর্মসূচিতে একাত্ম হয়েছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
সমকালের দেহঘড়ি পাতার বিভাগীয় সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার বলেন, সমকালের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা নতুনভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছি। তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়ার জন্যই আমাদের অভিনব এ উদ্যোগ।

আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার তারেক মাহমুদ সজীব বলেন, সেবামূলক কাজ সব সময়ই আনন্দদায়ক। আমাদের এ উদ্যোগে যদি কেউ উপকৃত হয়, চোখের আলো ফিরে পায় তাহলেই আমরা খুশী।
আদ দ্বীন হাসপাতালের কো অর্ডিনেটর রবিউল হক বলেন, বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে চক্ষু চিকিৎসার সেভাবে প্রসার হয়নি। জেলা পর্যায়েও চিকিৎসা পাওয়া কঠিন। এসব স্থানে ভ্রাম্যমাণ হাসাপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়াটা খুবই জরুরি।
লিজা হেলথ কেয়ারে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনাল, ঢাকা এনআইসিভিডি এর সহযোগী অধ্যাপক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সমীর কুমার কুন্ডু, মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. দুর্বা হালদার, ঢাকা এনআইসিভিডি এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার, শহীদ সোহরাওয়াদী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নীহার রঞ্জন সরকার, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মলিনা রানী কুন্ডু, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল, ডা. এএফএম শফিউদ্দিন পাতা সহ ২২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আলী বিশ্বাস, পাংশা পৌরসভার কাউন্সিলর অতুর সরদার, লাবলু বিশ্বাস, আব্দুল ওহাব সরদার, রাশিদা ইয়াসমীন, দুর্গা রানী পাল, মৈশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল খালেক প্রমুখ।

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও স্বাস্থ্যসেবা

আপডেট টাইম : ০৪:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০১৭
রাজবাড়ীর পাংশায় সমকাল সুহৃদ সমাবেশের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার সমকাল সুহৃদ সমাবেশ এবং আল খায়ের ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে পাংশা উপজেলার মৈশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী বিনামূল্যে চক্ষু শিবির এবং  লিজা হেলথ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। এ উদ্যোগে আদ-দ্বীন হাসপাতাল বিশেষ সহযোগিতা করে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনালের তত্ত্বাবধানে ২৫ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জন চার শতাধিক রোগীকে চক্ষু ও স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
চক্ষু শিবিরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কনসালটেন্ট মো. শহীদুল ইসলাম, বিএসএমএমইউ এর কনসালটেন্ট ডা. মঈনুল ইসলাম এবং ডা. নিরুপম দে দেড় শতাধিক রোগীকে চিকিৎসা প্রদান ও ৫০ জন রোগীর চোখের ছানি অপারেশন করেন।
সমকালের উদ্যোগে বিনামূল্যে চক্ষু শিবির ও স্বাস্থ্যসেবা

এ আয়োজনের অন্যতম উদ্যোক্তা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সেনাল ক্যাম্প দুটিতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, আল খায়ের ফাউন্ডেশন এবং আদ দ্বীন হাসপাতালকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

পাংশা পৌরসভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বিশ্বাস বলেন,  মহতি এ উদ্যোগে সামিল হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। চোখের ছানি অপারেশন করার পর একজন মানুষ যখন স্বাভাবিকভাবে দেখতে পায় এবং আমাকে জড়িয়ে ধরে তখনকার অনুভূতি সত্যিই আনন্দদায়ক।
সমকাল সুহৃদ সমাবেশের বিভাগীয় সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম আবেদ বলেন, সমকাল পত্রিকা সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা আজকের এ কর্মসূচিতে একাত্ম হয়েছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
সমকালের দেহঘড়ি পাতার বিভাগীয় সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার বলেন, সমকালের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে আমরা নতুনভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছি। তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়ার জন্যই আমাদের অভিনব এ উদ্যোগ।

আল খায়ের ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার তারেক মাহমুদ সজীব বলেন, সেবামূলক কাজ সব সময়ই আনন্দদায়ক। আমাদের এ উদ্যোগে যদি কেউ উপকৃত হয়, চোখের আলো ফিরে পায় তাহলেই আমরা খুশী।
আদ দ্বীন হাসপাতালের কো অর্ডিনেটর রবিউল হক বলেন, বাংলাদেশের গ্রাম পর্যায়ে চক্ষু চিকিৎসার সেভাবে প্রসার হয়নি। জেলা পর্যায়েও চিকিৎসা পাওয়া কঠিন। এসব স্থানে ভ্রাম্যমাণ হাসাপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়াটা খুবই জরুরি।
লিজা হেলথ কেয়ারে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পে চিকিৎসা সেবা দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সনাল, ঢাকা এনআইসিভিডি এর সহযোগী অধ্যাপক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সমীর কুমার কুন্ডু, মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. দুর্বা হালদার, ঢাকা এনআইসিভিডি এর সহযোগী অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার, শহীদ সোহরাওয়াদী হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নীহার রঞ্জন সরকার, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মলিনা রানী কুন্ডু, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান কল্লোল, ডা. এএফএম শফিউদ্দিন পাতা সহ ২২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাসান আলী বিশ্বাস, পাংশা পৌরসভার কাউন্সিলর অতুর সরদার, লাবলু বিশ্বাস, আব্দুল ওহাব সরদার, রাশিদা ইয়াসমীন, দুর্গা রানী পাল, মৈশালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল খালেক প্রমুখ।