ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা ৪২২ উপজেলায় মিলবে ওএমএসের চাল

গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম কতটা জরুরি

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অনেকেই আছেন গর্ভাবস্থায় নড়াচড়াই করতে চান না। এতে করে শরীর আরো বেশি ভারী হয়ে যায়। ফলে প্রসবের সময় দেখা দেয় নানা জটিলতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সময় কিছু পরিশ্রম করা উচিত। আর সেই সুযোগ না থাকলে বাড়ির কাজ, হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করলে তা শরীর এবং মন উভয়ের জন্যই উপকারী। এতে আপনার শরীর ভারী হয়ে যাবে না। আর প্রসব পরবর্তি অসুস্থতা দ্রুত নিরাময় হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় সাঁতার, স্কুবা ডাইভিং এবং কিছু হালকা যোগ ব্যায়াম শরীর এবং মন উভয়ের জন্যই লাভজনক। গর্ভাবস্থায় সাঁতার অন্যতম সেরা ব্যায়াম। এতে করে পেতে পারেন নানা উপকারিতা। জেনে নিন সেগুলো-

গর্ভাবস্থায় সাঁতার গোড়ালি এবং পায়ের ফোলাভাব দূর করতে সহায়তা করে, পাশাপাশি এটি ব্লাড সার্কুলেশনও বাড়ায়।
> সাঁতার কাটা মর্নিং সিকনেস কমায়। গর্ভাবস্থায় অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে বমি বমি ভাব অনুভব করেন, যেটা কমাতে সাঁতার সহায়তা করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সাঁতার কাটা অত্যন্ত নিরাপদ ও ভালো ব্যায়াম। এতে দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি, লিগামেন্ট, ইত্যাদির ব্যথা কমে।
সাঁতার মাংসপেশী ঠিক রাখে এবং স্ট্রেচিবিলিটি বৃদ্ধি হয়, ফলে প্রসবের সময় খুব একটা সমস্যা হয় না।
এছাড়াও, হাড় এবং জয়েন্টগুলোতেও আরাম হয়।

 

> শরীরের সঙ্গে ভালোমতো ফিট হয় এমন স্যুইম স্যুট নিন। এইসময় যতদিন এগোবে ততই শারীরিক আকারের পরিবর্তন হবে, তাই এটি সবসময় মনে রাখবেন।

পানিতে বা পুলের আশপাশ পিচ্ছিল হতে পারে, তাই খুব সাবধানে চলাফেরা করুন। কোনোভাবে যাতে পড়ে না যান, সেইদিকে খেয়াল রাখবেন।

হাইড্রেট থাকুন, কারণ তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও আপনি সাঁতারের সময় ডিহাইড্রেট হতে পারেন।

সাঁতার কাটার সময়, সর্বদা কাউকে আপনার চারপাশে রাখুন। একা সাঁতার কাটতে যাবেন না।

> এছাড়াও সাঁতার বা শরীরচর্চা করার ক্ষেত্রে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম কতটা জরুরি

আপডেট টাইম : ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ অনেকেই আছেন গর্ভাবস্থায় নড়াচড়াই করতে চান না। এতে করে শরীর আরো বেশি ভারী হয়ে যায়। ফলে প্রসবের সময় দেখা দেয় নানা জটিলতা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই সময় কিছু পরিশ্রম করা উচিত। আর সেই সুযোগ না থাকলে বাড়ির কাজ, হালকা ব্যায়াম করতে পারেন। গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করলে তা শরীর এবং মন উভয়ের জন্যই উপকারী। এতে আপনার শরীর ভারী হয়ে যাবে না। আর প্রসব পরবর্তি অসুস্থতা দ্রুত নিরাময় হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সময় সাঁতার, স্কুবা ডাইভিং এবং কিছু হালকা যোগ ব্যায়াম শরীর এবং মন উভয়ের জন্যই লাভজনক। গর্ভাবস্থায় সাঁতার অন্যতম সেরা ব্যায়াম। এতে করে পেতে পারেন নানা উপকারিতা। জেনে নিন সেগুলো-

গর্ভাবস্থায় সাঁতার গোড়ালি এবং পায়ের ফোলাভাব দূর করতে সহায়তা করে, পাশাপাশি এটি ব্লাড সার্কুলেশনও বাড়ায়।
> সাঁতার কাটা মর্নিং সিকনেস কমায়। গর্ভাবস্থায় অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে বমি বমি ভাব অনুভব করেন, যেটা কমাতে সাঁতার সহায়তা করতে পারে।
গর্ভাবস্থায় সাঁতার কাটা অত্যন্ত নিরাপদ ও ভালো ব্যায়াম। এতে দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি, লিগামেন্ট, ইত্যাদির ব্যথা কমে।
সাঁতার মাংসপেশী ঠিক রাখে এবং স্ট্রেচিবিলিটি বৃদ্ধি হয়, ফলে প্রসবের সময় খুব একটা সমস্যা হয় না।
এছাড়াও, হাড় এবং জয়েন্টগুলোতেও আরাম হয়।

 

> শরীরের সঙ্গে ভালোমতো ফিট হয় এমন স্যুইম স্যুট নিন। এইসময় যতদিন এগোবে ততই শারীরিক আকারের পরিবর্তন হবে, তাই এটি সবসময় মনে রাখবেন।

পানিতে বা পুলের আশপাশ পিচ্ছিল হতে পারে, তাই খুব সাবধানে চলাফেরা করুন। কোনোভাবে যাতে পড়ে না যান, সেইদিকে খেয়াল রাখবেন।

হাইড্রেট থাকুন, কারণ তৃষ্ণার্ত বোধ না করলেও আপনি সাঁতারের সময় ডিহাইড্রেট হতে পারেন।

সাঁতার কাটার সময়, সর্বদা কাউকে আপনার চারপাশে রাখুন। একা সাঁতার কাটতে যাবেন না।

> এছাড়াও সাঁতার বা শরীরচর্চা করার ক্ষেত্রে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই পরামর্শ করে তারপর সিদ্ধান্ত নিন।