ঢাকা , মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে জলাতঙ্কের আতঙ্ক

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর উপজেলায় জলাতঙ্কের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। জলাতঙ্ক রোগে এরই মধ্যে রেজাউল করিম ওরফে ভোলা (৪৫) নামের একজন মৃত্যুবরণ করেন। আক্রান্ত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। আক্রান্তরা সবাই উপজেলার পিরিজপুর ও হরিশংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ৩০ জুন একটি কুকুরে কামড় দিয়েছিল রেজাউল করিম ওরফে ভোলাকে। তিনি হরিশংকরপুর ঘোষপাড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, ভোলা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। গত বৃহস্পতিবার বেশি অসুস্থ হলে ভোলাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এরপর পিরিজপুর গ্রামের গনেশ মণ্ডলের ছেলে অমূল্য চন্দ্র মন্ডল (৫২), উজ্জল চন্দ্রর ছেলে জীবন চন্দ্র (১০), তার স্ত্রী কুচু চন্দ্র (৩০), মদন স্বর্ণকার (৫০), তার স্ত্রী বন্দনা (৪০), মেয়ে তাপসী (১২), বাবুর মেয়ে সাবা খাতুন (৮) ও হরিশংকরপুর গ্রামের মনিরুলের মেয়ে মাসুমা খাতুনসহ (১২) অন্তত ৩০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা স্থানীয়ভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আক্রান্তরা কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসেনি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ রোগের ভ্যাকসিন রয়েছে। চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য আক্রান্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীতে জলাতঙ্কের আতঙ্ক

আপডেট টাইম : ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ীর উপজেলায় জলাতঙ্কের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। জলাতঙ্ক রোগে এরই মধ্যে রেজাউল করিম ওরফে ভোলা (৪৫) নামের একজন মৃত্যুবরণ করেন। আক্রান্ত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। আক্রান্তরা সবাই উপজেলার পিরিজপুর ও হরিশংকরপুর গ্রামের বাসিন্দা।

বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ৩০ জুন একটি কুকুরে কামড় দিয়েছিল রেজাউল করিম ওরফে ভোলাকে। তিনি হরিশংকরপুর ঘোষপাড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, ভোলা বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হলে প্রথমে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। গত বৃহস্পতিবার বেশি অসুস্থ হলে ভোলাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার স্বজনরা। ওইদিন বিকাল ৫টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এরপর পিরিজপুর গ্রামের গনেশ মণ্ডলের ছেলে অমূল্য চন্দ্র মন্ডল (৫২), উজ্জল চন্দ্রর ছেলে জীবন চন্দ্র (১০), তার স্ত্রী কুচু চন্দ্র (৩০), মদন স্বর্ণকার (৫০), তার স্ত্রী বন্দনা (৪০), মেয়ে তাপসী (১২), বাবুর মেয়ে সাবা খাতুন (৮) ও হরিশংকরপুর গ্রামের মনিরুলের মেয়ে মাসুমা খাতুনসহ (১২) অন্তত ৩০ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তারা স্থানীয়ভাবে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা ও কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আক্রান্তরা কেউ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য আসেনি। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ রোগের ভ্যাকসিন রয়েছে। চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার জন্য আক্রান্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।