ঢাকা , মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমায় এই ৮টি ভেষজ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ওজন কমানোর কোনো ম্যাজিক পিল নেই। তবে বেশ কিছু প্রাকৃতিক ভেষজ আছে যেগুলো আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করতেদ পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী সেগুলো।

১. রসুন
দেহের চর্বি দ্রুত পোড়াতে বেশ কার্যকর রসুন। প্রতিদিন সকালে খালিপেটে দুই থেকে তিন কোষ রসুন চিবিয়ে খান। সাথে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনার দেহে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ওজন কমার প্রক্রিয়াও শক্তিশালী হবে।

২. ড্যান্ডেলিয়ন
এটি হলো একধরনের বন্য হলুদ ফুলের গাছ। এর মূল এবং পাতা শুকিয়ে চা বানিয়ে খেতে হয়। প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায় এবং দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। এ ছাড়া পেটে স্ফীতি কমায়।

৩. জিনসেং
দেহের শক্তি বাড়িয়ে বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। যা ওজন কমাতে সহায়ক। তাজা এবং শুকনো জিনসেং মূল ব্যবহার করা যায়। এটি আপনি চিবিয়ে খেতে পারেন বা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে চা বা স্যুপ বানিয়েও খেতে পারেন।

৪. গুরমার
এটি বিস্ময়কর একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ। এটি আপনার ক্ষুধা দমিয়ে রাখতে কাজ করবে। তাজা গুরমার পাতা চিবিয়েও খাওয়া যায়। এটি রক্তে সুগারের শোষণ প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে আনে। এবং সুগারের চর্বিতে রূপান্তরের গতিও কমায়। ফলে এটি সুগার গ্রহণের আকাঙ্ক্ষাও কমায়।

৫. মেন্থল
এই রন্ধনশালার ভেষজটি ক্ষুধা নিবারণ এবং খাদ্যের আকুতি কমায়। এটি হজমে সহায়তা করার মাধ্যমে আপনার বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে সচল রাখে। ৩ থেকে ৪ কাপ পানিতে ১ চা চামচ শুকনো মেন্থল বা ২ চা চামচ তাজা মেন্থল পাতা ৫ মিনিট ধরে সেদ্ধ করে চা বানিয়ে খেতে পারেন।

৬. ওরেগানো
এই ভেষজটিতে আছে কারভাক্রোল নামের একটি উপাদান যা চর্বি গলায়। এটি হজমেও সহায়তা করার পাশাপাশি পেটের স্ফীতি কমায়। সাধারণত রান্নায় ব্যবহৃত হয় এটি।

৭. ধনিয়া
ধনিয়া জুস পান করলে ওজন কমে বলে কথিত আছে। এটি বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে জোরদার করে। যার ফলে বেশি বেশি ক্যালোরি পোড়াত হয় দেহকে। পরিণতিতে ওজন কমে। ধনিয়া জুসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিলে খেতে ভালো লাগবে।

৮. গুগ্গুল
এই আয়ুর্বেদিক ভেষজটি শক্তি সরবরাহের জন্য চর্বিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের কাজ করে। পিটসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মানবদেহের থাইরয়েডকে প্রভাবিত করে বিপাকীয় প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য কার্যক্রম জেরদার করার মাধ্যমে ওজন কমাতে সহায়তা করে। এই ভেষজটি শুকিয়ে ও পাউডার তৈরি করে এক গ্লাস পানি, দুধ বা এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যায়।

আসনে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি দিক আছে। সেগুলো হলো, পর্যাপ্ত শারীরিক তৎপরতা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ভালো হজম পক্রিয়া, দ্রুত বিপাকীয় রেট এবং আরো নানা বিষয়। এই ভেষজগুলো ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার নানা কার্যক্রমকে জোরদার করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে এবং দ্রুত ওজন কমাতে সহায়ক হয়।
সূত্র : এনডিটিভি

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রাকৃতিকভাবে ওজন কমায় এই ৮টি ভেষজ

আপডেট টাইম : ০২:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ওজন কমানোর কোনো ম্যাজিক পিল নেই। তবে বেশ কিছু প্রাকৃতিক ভেষজ আছে যেগুলো আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করতেদ পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কী সেগুলো।

১. রসুন
দেহের চর্বি দ্রুত পোড়াতে বেশ কার্যকর রসুন। প্রতিদিন সকালে খালিপেটে দুই থেকে তিন কোষ রসুন চিবিয়ে খান। সাথে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। এতে আপনার দেহে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ওজন কমার প্রক্রিয়াও শক্তিশালী হবে।

২. ড্যান্ডেলিয়ন
এটি হলো একধরনের বন্য হলুদ ফুলের গাছ। এর মূল এবং পাতা শুকিয়ে চা বানিয়ে খেতে হয়। প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়ায় এবং দেহ থেকে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। এ ছাড়া পেটে স্ফীতি কমায়।

৩. জিনসেং
দেহের শক্তি বাড়িয়ে বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে। যা ওজন কমাতে সহায়ক। তাজা এবং শুকনো জিনসেং মূল ব্যবহার করা যায়। এটি আপনি চিবিয়ে খেতে পারেন বা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে চা বা স্যুপ বানিয়েও খেতে পারেন।

৪. গুরমার
এটি বিস্ময়কর একটি আয়ুর্বেদিক ভেষজ। এটি আপনার ক্ষুধা দমিয়ে রাখতে কাজ করবে। তাজা গুরমার পাতা চিবিয়েও খাওয়া যায়। এটি রক্তে সুগারের শোষণ প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে আনে। এবং সুগারের চর্বিতে রূপান্তরের গতিও কমায়। ফলে এটি সুগার গ্রহণের আকাঙ্ক্ষাও কমায়।

৫. মেন্থল
এই রন্ধনশালার ভেষজটি ক্ষুধা নিবারণ এবং খাদ্যের আকুতি কমায়। এটি হজমে সহায়তা করার মাধ্যমে আপনার বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে সচল রাখে। ৩ থেকে ৪ কাপ পানিতে ১ চা চামচ শুকনো মেন্থল বা ২ চা চামচ তাজা মেন্থল পাতা ৫ মিনিট ধরে সেদ্ধ করে চা বানিয়ে খেতে পারেন।

৬. ওরেগানো
এই ভেষজটিতে আছে কারভাক্রোল নামের একটি উপাদান যা চর্বি গলায়। এটি হজমেও সহায়তা করার পাশাপাশি পেটের স্ফীতি কমায়। সাধারণত রান্নায় ব্যবহৃত হয় এটি।

৭. ধনিয়া
ধনিয়া জুস পান করলে ওজন কমে বলে কথিত আছে। এটি বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে জোরদার করে। যার ফলে বেশি বেশি ক্যালোরি পোড়াত হয় দেহকে। পরিণতিতে ওজন কমে। ধনিয়া জুসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিলে খেতে ভালো লাগবে।

৮. গুগ্গুল
এই আয়ুর্বেদিক ভেষজটি শক্তি সরবরাহের জন্য চর্বিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের কাজ করে। পিটসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের এক গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মানবদেহের থাইরয়েডকে প্রভাবিত করে বিপাকীয় প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য কার্যক্রম জেরদার করার মাধ্যমে ওজন কমাতে সহায়তা করে। এই ভেষজটি শুকিয়ে ও পাউডার তৈরি করে এক গ্লাস পানি, দুধ বা এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করা যায়।

আসনে ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি দিক আছে। সেগুলো হলো, পর্যাপ্ত শারীরিক তৎপরতা, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ভালো হজম পক্রিয়া, দ্রুত বিপাকীয় রেট এবং আরো নানা বিষয়। এই ভেষজগুলো ওজন কমানোর প্রক্রিয়ার নানা কার্যক্রমকে জোরদার করতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে এবং দ্রুত ওজন কমাতে সহায়ক হয়।
সূত্র : এনডিটিভি