অতি পুষ্টিকর ফল পেয়ারা। ভিটামিন সি, ক্যারোটিন য়েডস, ফোলেট, পটাশিয়াম, আঁশ এবং ক্যালসিয়াম উপাদানে ভরপুর এই দেশীয় ফল পেয়ারা। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় কমলার চেয়ে চারগুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধক। পেয়ারা পাতার রস ক্যান্সার প্রতিরোধী এবং সংক্রমণ, প্রদাহ, ব্যথা জ্বর, বহুমূত্র, আমাশয় প্রভৃতি রোগে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
জেনে নিন পেয়ারার গুণসমূহ:
১) ত্বকের নানান সমস্যা দূর করে পেয়ারা। পেয়ারার প্রায় ৮১%ই পানি তাই পেয়ারা খেলে দেহ জলশূন্যতার হাত থেকে রক্ষা পায়, ত্বক সুস্থ থাকে। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি ত্বকের কোলাজেন টিস্যুর সুরক্ষাতেও কাজ করে। এছাড়া পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ, বি, সি, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া রোধ করে।
২) পেয়ারার বেশ কিছু ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান ঠাণ্ডা সমস্যা প্রতিরোধ করে। এছাড়া সর্দি-কাশিতে কচি পেয়ারার পাতা রস করে হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩) চুল পড়া রোধ করে পেয়ারা। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন সি চুল পড়া রোধে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়া নতুন চুল গজাতেও সহায়তা করে পেয়ারা।
৪) মস্তিষ্কের সুরক্ষায় কাজ করে পেয়ারা। পেয়ারায় থাকা ভিটামিন মস্তিষ্কের নার্ভ রিলাক্স করতে সহায়তা করে। এতে মস্তিস্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫) নার্ভ ও মাংসপেশি শিথিল করে পেয়ারা। পেয়ারেতে থাকে প্রচুর পরিমাণের ম্যাগনেসিয়াম যা অনেক কঠিন পরিশ্রমের পরেও মাংসপেশি শিথিল রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও নার্ভ রিলাক্স করে পেয়ারা।
৬) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে পেয়ারায় থাকা পটাশিয়াম।
৭) দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে, পেয়ারায় থাকা ভিটামিন এ।
৮) পেয়ারার সব থেকে অবাক করা ও কার্যকরী উপকারিতা হচ্ছে এটি ক্যান্সারের জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিক পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা পেয়ারা খায় তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ ভাগ কম থাকে। বিশেষ করে নারীদের স্তনের ক্যান্সার প্রতিরোধে পেয়ারা অনেক কার্যকর। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
পেয়ারা পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালি ও সুগঠিত করে তোলে। এটি বিভিন্ন প্রকার সংক্রামক রোগ ও জীবাণুর আক্রমণকে প্রতিহত করে। আমাশয় নিরাময়ে পেয়ারা খুবই কার্যকর। পাকা পেয়ারা আতিরিক্ত আঁশ সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেয়ারা
৯) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ভূমিকা রাখে। পেয়ারাতে ফাইবার এবং কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকার কারণে এটি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে আর তাই ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুকি কমে।