বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আমাদের দেশে অনেকেই সন্তান জন্মদানের পর প্রসূতি মাকে ভালো কোনো খাবার খেতে নিষেধ করেন। আঁতুড়ঘরে প্রসূতি মাকে সাগু, সুজি খেয়েই অমানবিকভাবে জীবন কাটাতে হয়। এ ধারণা মোটেই ঠিক নয়। এতে মায়ের শরীর ভেঙে পড়ে, মা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অনেকের ধারণা, প্রসব-পরবর্তী সময়ে মাছ-মাংস খেলে শিশুর হাম হতে পারে। প্রসূতি মায়ের ক্ষতি হবে বলে ডিম দুধ খেতে দেওয়া হয় না। বোয়াল, ইলিশ, মৃগেল, গজার মাছ, গরুর মাংস ইত্যাদি খেতে দিলে নাকি প্রসূতির সূতিকা রোগ হয়। এই ভেবে তাঁকে এসব খাবার খেতে দেওয়া হয় না। ভালো শাকসবজি খেলে নাকি মা ও শিশুর পেট খারাপ হয়। এমন সব ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে মাকে কোনো রকম মুখরোচক খাবার খেতে দেওয়া হয় না। এই দোহাই দিয়ে এসব অরুচিকর খাবার মাকে খাওয়ানো হয় মাসের পর মাস। অথচ এ ধারণা একদমই ঠিক নয়।
এসব খাওয়ার সঙ্গে বুকের দুধ বেশি হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এসব ভুল ধারণার কারণে অনেক মা-ই শেষে ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে অপুষ্টিতে ভোগেন- অসুস্থ হয়ে পড়েন।
প্রকৃত সত্য হচ্ছে, প্রসূতি মাকে সব খাবারই দেওয়া উচিত। এমনকি ঝাল, ঠান্ডা, গরম, চায়নিজ, মোগলাই, ইংলিশ সব খাবারই মা ইচ্ছা করলে খেতে পারবেন। এ ব্যাপারে কোনো রকম বিধি-নিষেধ নেই। তবে আগে অ্যালার্জির উদ্রেককারী খাবার তাঁকে পরিহার করতে হবে।
সবচেয়ে বড় কথা, প্রসবকালীন মায়ের শরীরের ওপর দিয়ে বাড়তি চাপ বয়ে যায়। সেটিকে পূরণ করার জন্য প্রসব-পরবর্তী সময়ে মাকে বেশি করে পুষ্টিকর খাবার খেতে দেওয়া উচিত। কাজেই প্রসব-পরবর্তী সময়ে পুষ্টিকর খাবার না দিলে মায়ের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে।