বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আনারসে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেল, বিশেষত পটাশিয়াম, কপার, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, মেঙ্গানিজ, ভিটামিন সি এবং বিটা-ক্যারোটিন। আনারাস খেতে যতটা সুস্বাদু, ততটাই পুষ্টিগুণে ভরপুর। শুধু তাই নয়, সপ্তাহে ২-৩ দিন যদি নিয়ম করে আনারস খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের দারুন উপকার হয়।
* দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়ঃ
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের প্রতিটি অঙ্গের যেমন বয়স বাড়তে থাকে, তেমনি দৃষ্টিশক্তির উপরও প্রভাব পরে। আনারসে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন নামক একটি উপাদান, যা রেটিনার ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
* ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ
আনারসে নানাবিধ ভিটামিনের পাশাপাশি রয়েছে বেশ কিছু খনিজও, যার মধ্যে অন্যতম হল পটাশিয়াম। শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তাই যারা রক্তচাপের সমস্যায় দীর্ঘকাল ভুগছেন, তারা ইচ্ছা হলে এই ফলটির সাহায্য নিতেই পারেন।
* দাঁতের ক্ষয় রোধ করেঃ
আনারসে উপস্থিত অ্যাস্ট্রিজেন্ট নামক একটি উপাদান ক্যাভিটির হাত থেকে দাঁতকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে দাঁতের একেবারে বাইরের আবরণকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে দাঁতের ক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এছাড়াও অ্যাস্ট্রিজেন্ট ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
* ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ
আনারসে রয়েছে বিপুল পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ। সেই সঙ্গে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, ব্রোমেলিন এবং ফ্ল্যাভোনয়েড। এই উপাদানগুলি শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়। সেই সাথে দেহের ভেতরে যাতে কোনও ভাবেই ক্যান্সার সেল জন্ম নিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
* ক্ষত সারাতে সাহায্য করেঃ
আনারসে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় কোলাজেন, যা দ্রুত ক্ষত সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কোলাজেন যে শুধু ক্ষত সারাতেই বিশেষ ভূমিকা নেয় এমন নয়, সেই সঙ্গে ত্বক, হাড় এবং শরীরের একাধিক অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।