ঢাকা , রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিডনিতে স্টোন! ভয় পাবেন না, জেনে নিন কিছু সহজ টিপস

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রতিদিনের দৌড়ঝাঁপের এই জীবনে আমরা প্রত্যেকেই প্রায় রোগকে সঙ্গী করে নিয়ে চলেছি। কিডনিতে স্টোন বর্তমানে একটি বড় সমস্যা হিসেবে মাথাচাড়া দিয়েছে। কীভাবে ঘরে বসেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, জেনে নিন চটপট। দিনে ৮-১০ গ্লাস জল পান করলে, কিডনিতে থাকা পাথরগুলির ঘনত্ব কমে আসে।

প্যাকেটজাত মাংস, স্যুপ ইত্যাদি এড়ানোর চেষ্টা করুন। পাশাপাশি খাবারে নুন কম খান। এগুলিতে সোডিয়াম থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরির সহায়ক।

ক্যালসিয়ামের জন্য কিডনিতে যে পাথর তৈরি হয়, সেগুলির ঘনত্ব কমানোর জন্য প্রতিদিন লো-ফ্যাট দুধ খেতে পারেন।

যে সমস্ত খাবারে অক্স্যালিক অ্যাসিড থাকে, সেই সমস্ত খাবার কিডনিতে পাথর জমার অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। পালং শাক, স্ট্রবেরি, বাদাম— এগুলিতে অক্স্যালিক অ্যাসিড থাকায়, এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।

লেবুজাতীয় ফলে ভিটামিন সি থাকায় তা অক্স্যালিক অ্যাসিডে তৈরি করে, যা কিডনিতে পাথর জমতে সাহায্য করে।

চিনি অথবা চিনিজাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভাল। এতে ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম কিডনি স্টোনের বৃদ্ধি ঘটায়।

মাংস ও প্রাণীজ প্রোটিনে পিউরিন থাকে, যা শরীরে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিড এবং মূত্র হিসেবে বিভাজিত হয়। খুব বেশি প্রোটিনজাতীয় খাবার থেকে ‘ক্যালসিয়াম স্টোন’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং এসবে হাত না দেওয়াই ভাল।

চা ও চকলেট থেকেও ‘ক্যালসিয়াম স্টোন’ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং সেটিও এড়িয়ে যাওয়া উচিত।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কিডনিতে স্টোন! ভয় পাবেন না, জেনে নিন কিছু সহজ টিপস

আপডেট টাইম : ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রতিদিনের দৌড়ঝাঁপের এই জীবনে আমরা প্রত্যেকেই প্রায় রোগকে সঙ্গী করে নিয়ে চলেছি। কিডনিতে স্টোন বর্তমানে একটি বড় সমস্যা হিসেবে মাথাচাড়া দিয়েছে। কীভাবে ঘরে বসেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন, জেনে নিন চটপট। দিনে ৮-১০ গ্লাস জল পান করলে, কিডনিতে থাকা পাথরগুলির ঘনত্ব কমে আসে।

প্যাকেটজাত মাংস, স্যুপ ইত্যাদি এড়ানোর চেষ্টা করুন। পাশাপাশি খাবারে নুন কম খান। এগুলিতে সোডিয়াম থাকে, যা কিডনিতে পাথর তৈরির সহায়ক।

ক্যালসিয়ামের জন্য কিডনিতে যে পাথর তৈরি হয়, সেগুলির ঘনত্ব কমানোর জন্য প্রতিদিন লো-ফ্যাট দুধ খেতে পারেন।

যে সমস্ত খাবারে অক্স্যালিক অ্যাসিড থাকে, সেই সমস্ত খাবার কিডনিতে পাথর জমার অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। পালং শাক, স্ট্রবেরি, বাদাম— এগুলিতে অক্স্যালিক অ্যাসিড থাকায়, এগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল।

লেবুজাতীয় ফলে ভিটামিন সি থাকায় তা অক্স্যালিক অ্যাসিডে তৈরি করে, যা কিডনিতে পাথর জমতে সাহায্য করে।

চিনি অথবা চিনিজাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভাল। এতে ক্যালসিয়াম থাকে। ক্যালসিয়াম কিডনি স্টোনের বৃদ্ধি ঘটায়।

মাংস ও প্রাণীজ প্রোটিনে পিউরিন থাকে, যা শরীরে গিয়ে ইউরিক অ্যাসিড এবং মূত্র হিসেবে বিভাজিত হয়। খুব বেশি প্রোটিনজাতীয় খাবার থেকে ‘ক্যালসিয়াম স্টোন’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং এসবে হাত না দেওয়াই ভাল।

চা ও চকলেট থেকেও ‘ক্যালসিয়াম স্টোন’ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং সেটিও এড়িয়ে যাওয়া উচিত।