বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আঙ্গুর রোদে শোকানো হলে সেটাই কিসমিস হয়। সাধারণত বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হয়। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, কিসমিস একটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পন্ন খাবার। এমনকী কিসমিস ভেজানো পানিও শরীরের পক্ষে বিশেষ উপকারী।
কিসমিস পাকস্থলীর জন্য ভালো। এটা সহজেই হজম হয় এবং শরীরে থাকা ব্যাটরিয়াকে দমন করতে সাহায্য করে। কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা হজমশক্তি বাড়ায়। এ কারণে এটি কোষ্টকাঠিন্য কিংবা ডায়রিয়ার প্রতিষেধক হিসেবে দারুন সহায়ক।
কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ,ভিটামিন সি থাকে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সংক্রমণ সারাতে সহায়তা করে।
কিসমিস ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস। যা হাড় সুরক্ষায় সহায়তা করে।
খাদ্যতালিকায় যদি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার থাকে তাহলে তা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। কিসমিসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শুধু ক্যান্সারের সেলই ধ্বংস করে না বরং নানা ভাবে ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি’র তথ্য অনুসারে, কিসমিস রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে। এতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কোলেস্টেরলর কমাতেও সাহায্য করে কিসমিস।
প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকায় কিসমিস শক্তি উৎপাদনেরও ভালো উৎস।
ঠান্ডা, কাশি কিংবা জ্বর সারাতেও কিসমিস বেশ কার্যকরী।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে,কিসমিস ভেজানো পান খেলে শরীরে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার ফলে রক্ত পরিশোধিত হতে শুরু করে। এটি পেট পরিষ্কার রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এছাড়া এটি শরীরে সারাদিনের শক্তি জোগাতেও সাহায্য করে। কিসমিস ভেজানো পানি লিভার ও কিডনির জন্যও বেশ উপকারী। এর জন্য দুই কাপ পরিমাণ পানিতে ১৫০ গ্রাম কিসমিস সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে কিসমিস ছেকে নিয়ে সেই পানি হালকা গরম করে খালি পেটে খেয়ে নিন। সপ্তাহে চারদিন এটা খেলে উপকার পাবেন।
সূত্র : স্টাইলক্রেজ