রেজিন হচ্ছে এক ধরনের প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উপাদান যা ননμিসটালাইন অথবা আঠাল জাতীয় উপাদান। রাসায়নিক গঠনের উপর ভিত্তি করে রেজিনকে বিভিনড়ব ভাবে ভাগ করা যায়। প্রাকৃতিক রেজিন সাধারণত স্বচ্ছ ও পরিষ্কার যা হলুদ ও বাদামি রঙের। প্রাকৃতিক রেজিন পাওয়া যায় বিভিনড়ব গাছ থেকে। রেজিন বিভিনড়ব জৈব উপাদানে দ্রবণীয় এবং পানিতে অদ্রবণীয়। রেজিন অলিভ ও সেমিসলিডের আঠালো উপাদান যা কার্বক্সিলিক অ্যাসিড ও অ্যামারফাসের মিশ্রণ যা বিভিনড়ব উদ্ভিদ থেকে পাওয়া যায়। রেজিন কোষ্ঠকাঠিন্য, উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করে।
প্রাকৃতিক উৎস : কাঁঠাল, কিসমিস, কৃষ্ণচ‚ড়া, ডুমুর, কর্পূর, লটকন, রাধাচ‚ড়া, তালমুরি, বালরক্ষা, জায়ফল, টংক্যালিতে রেজিন পাওয়া যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে রেজিনের ব্যবহার
* কোষ্ঠকাঠিন্য-যখন রেজিন গ্রহণ করা হয় তখন ফাইবার ফুলে উঠে পানিকে শোষণ করে যা ল্যাক্সেটিভ হিসেবে কাজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যকে দূর করে। প্রতিদিন রেজিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে নিয়মিত বাউল মুভমেন্টকে ঠিক রাখে। রেজিন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে তার পাশাপাশি রেজিন ডায়রিয়া বন্ধে সাহায্য করে। * ওজন বৃদ্ধিতে-রেজিন সুস্বাস্থ্যের জন্য ওজন বৃদ্ধিতে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করে। যার মধ্যে আছে ফ্রুকটোস, গøুকোজ যা শরীরে শক্তি জোগায়। সুস্বাস্থ্যের জন্য রেজিন আদর্শ খাদ্য যা মানবদেহে শক্তি জোগায় এবং অতিরিক্ত কোলেস্টেরল শরীর থেকে বের করে দেয়। রেজিন সমৃদ্ধ খাদ্য কিসমিসে ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড খনিজ পদার্থ আছে যা প্রোটিনকে শোষণ করে শরীরে পুষ্টি, শক্তি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। * ক্যান্সার প্রতিরোধে-ক্যান্সার কোষ সৃষ্টির প্রাথমিক উৎস হচ্ছে ফ্রি রেডিক্যাল। রেজিন রক্তে পলিফিনলিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। ফ্রি রেডিক্যাল শরীরের বিভিনড়ব কোষের ক্ষয় করে। রেজিন ফ্রি রেডিক্যালের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। তার পাশাপাশি ফ্রি রেডিক্যাল ক্যান্সারের জীবাণুও শরীরের বিভিনড়ব স্থানে ছড়িয়ে দেয়। তাই যদি আমরা রেজিন সমৃদ্ধ খাবার খাই তাহলে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করে। * উচ্চ রক্তচাপ : অনেকে বিশ্বাস করে যে রেজিন উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং হার্টকে ভাল রাখতে সাহায্য করে। রেজিনে অনেক উপকারী পুষ্টিগুণ রয়েছে। রেজিন সমৃদ্ধ খাবার কিসমিসে রয়েছে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম টেনশন প্রতিরোধ করে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। রেজিন সমৃদ্ধ খাবার উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে। * ডায়াবেটিস প্রতিরোধে- গবেষণায় দেখা যায় যে রেজিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে ইনসুলিনের প্রতিμিয়া দেখা যায়। এটা শরীর থেকে সুগার শোষণ করে শরীরের বিভিনড়ব জটিলতা কমিয়ে দেয়। রেজিন লেপটিন এবং গিবেলিন হরমোনকে বের করে দেয়। যারা রেজিন সমৃদ্ধ খাবার খান তাদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হয় এবং অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণকে প্রতিরোধ করে যা ডায়াবেটিক চিকিৎসার জন্য খুবই উপকারী। * রক্তস্বল্পতা দূর করে- রেজিন সমৃদ্ধ খাবার কিসমিসে রয়েছে আয়রন যা রক্তশূন্যতা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স যা নতুন রক্ত কোষ গঠনে সাহায্য করে। রেজিন রেড বøাড কোষ গঠনে সাহায্য করে। * চোখের চিকিৎসায়- রেজিন হচ্ছে পলিফিনলিক ফাইটো নিউট্রেন্ট অ্যান্ডিঅক্সিডেন্ট যা চোখকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
তার পাশাপাশি চোখকে ফ্রি রেডিক্যালের হাত তেকৈ রক্ষা করে এবং চোখের বিভিনড়ব সমস্যা যেমন চোখে কম দেখা যায় চোখে ছানি পড়া প্রতিরোধ করে। * দাঁতের চিকিৎসায়- রেজিন দাঁতের বিভিনড়ব জটিলতা প্রতিরোধে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করে। রেজিন দাঁতের ক্ষয় ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে এবং দাঁতকে সুরক্ষা দেয়। স্ট্রেপটোকোকাস মিউটেন্স এবং প্রোফাইরোমোনাস জিনজিভেলিস এ দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া ক্যাভিটি এবং দাঁতের বিভিনড়ব সমস্যার জন্য দায়ী। রেসিন ব্যাকটেরিয়াকে জন্মাতে বাধা দেয় এবং দাঁতকে ভাল ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে। * হাড় মজবুত রাখতে- হাড়ের প্রধান উপাদান হচ্ছে ক্যালসিয়াম যা রেজিন সমৃদ্ধ খাবার কিসমিসে পাওয়া যায়। এছাড়া রেজিনে রয়েছে ব্রোবন ও ম্যাকরোনিউট্রেন্ট। রেজিন অস্ট্রিওপরোসিসকে প্রতিরোধ করে এবং হাড়কে মজবুত রাখতে সাহায্য করে। * গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় : অ্যাসিডোসিস হচ্ছে যা রক্তে অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং শ্বাসতন্ত্রে গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। পাকস্থলীতে অ্যাসিডের উৎস ও অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীরের জন্য তা ক্ষতিকর এবং শরীরে বিভিনড়ব সমস্যার সৃষ্টি হয়; যেমন ত্বকে সমস্যায় অভ্যন্তরীণ অঙ্গের ক্ষতি করে বাত ব্যথা চুল ঝরা হার্টের সমস্যায় টিউমার এবং ক্যানসার। রেজিন সমৃদ্ধ খাবার কিসমিসে আছে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম যা শরীরের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং অ্যাসিডকে প্রতিরোধ করে। * যৌন অক্ষমতা-আরজেনিন হচ্ছে অ্যামাইনো অ্যাসিড যা রেজিনে পাওয়া যায় এবং যৌন অক্ষমতাকে প্রতিরোধ করে। * জ্বর প্রতিরোধে- রেজিন অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা জ্বরকে প্রতিরোধ করে এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে।