ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হাইকমিশনের

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা কঠিন সময় পার করছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের একাধিক কর্মচারী করোনার তাণ্ডবে আইসিউতে ভর্তি। ফলে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সরাসরি পাসপোর্ট সেবা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবা সীমিত আকারে চলছে। দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে প্রবাসীদের কথা মাথায় রেখে খুব শীঘ্রই দূতাবাসের সব কার্যক্রম আবার আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চালু হবে। এমতাবস্থায় মালয়েশিয়া অবস্থানরত সব প্রবাসীর ধৈর্য ধরতে আহবান জানানো হয়েছে।

দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, ১ নভেম্বর ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত আবেদনকৃত ১ লাখ ৯৩ হাজার পাসপোর্টের মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ প্রতিদিন চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। ফলে প্রতিটি সময় আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে প্রবাসীদের। তবে রিক্যালিব্রেশনে যারা নিবন্ধিত হয়েছেন তাদের আতঙ্কের কিছু ঘটেনি বলে জানা গেছে।

অবৈধ অভিবাসীদের জন্য জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি (পিক) শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
সোমবার (৫ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি-জেনারেল দাতুক ওয়ান আহমদ ডাহলান আবদুল আজিজ এক বিবৃতিতে বলেন, ২৩ জুন বৈঠকে পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। তিনি জানান, বৈঠকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনার মেয়াদ বাড়ানো বিষয়ে সম্মত হয় মন্ত্রিপরিষদ।

আহমদ ডাহলান বলেছেন, ১ জুলাই পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৩ জন অবৈধ অভিবাসী এই পরিকল্পনার আওতায় নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে ৯৭ হাজার ৮৯২ জন রিটার্ন পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের আওতায় তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে নিবন্ধন করেছেন এবং শ্রম পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের অধীনে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৯ জন বৈধতায় নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি নিবন্ধিত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের সমস্যার ইতিবাচক সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দক্ষ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতির মাঝেও বৈধ-অবৈধ নির্বিশেষে বাংলাদেশি কর্মীদের করোনা চিকিৎসা  এবং ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা কর্মীদের এবং অবৈধ শ্রমিকদের বৈধকরণের ইতিবাচক সম্মতি প্রদান মালয়েশিয়ার সরকারের সুদৃষ্টির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করছে।

এমন পরিস্থিতিতে হাইকমিশন মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে, যাতে কাউকে কর্মহীন হয়ে দেশে ফিরে যেতে না হয় এবং বিষয়টি চলমান আছে। শ্রম স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের জন্য পুনরুদ্ধার কর্মসূচিতে বৈধতা দিয়ে পুনরায় কর্মে নিয়োগদানে এবং চলমান মহামারি সময়ে ধরপাকড় বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কূটনৈতিক আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার।

এছাড়া মালয়েশিয়া সরকার নিজ দেশের নাগরিক এবং বিদেশি অভিবাসী সবাইকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা হাইকমিশনের

আপডেট টাইম : ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা কঠিন সময় পার করছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের একাধিক কর্মচারী করোনার তাণ্ডবে আইসিউতে ভর্তি। ফলে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সরাসরি পাসপোর্ট সেবা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট সেবা সীমিত আকারে চলছে। দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে প্রবাসীদের কথা মাথায় রেখে খুব শীঘ্রই দূতাবাসের সব কার্যক্রম আবার আগের মতো স্বাভাবিকভাবে চালু হবে। এমতাবস্থায় মালয়েশিয়া অবস্থানরত সব প্রবাসীর ধৈর্য ধরতে আহবান জানানো হয়েছে।

দূতাবাস সূত্রে জানা যায়, ১ নভেম্বর ২০২০ থেকে ৩০ জুন ২০২১ পর্যন্ত আবেদনকৃত ১ লাখ ৯৩ হাজার পাসপোর্টের মধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ প্রতিদিন চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে। ফলে প্রতিটি সময় আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে প্রবাসীদের। তবে রিক্যালিব্রেশনে যারা নিবন্ধিত হয়েছেন তাদের আতঙ্কের কিছু ঘটেনি বলে জানা গেছে।

অবৈধ অভিবাসীদের জন্য জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচি (পিক) শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
সোমবার (৫ জুলাই) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সেক্রেটারি-জেনারেল দাতুক ওয়ান আহমদ ডাহলান আবদুল আজিজ এক বিবৃতিতে বলেন, ২৩ জুন বৈঠকে পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে একমত হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। তিনি জানান, বৈঠকে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনার মেয়াদ বাড়ানো বিষয়ে সম্মত হয় মন্ত্রিপরিষদ।

আহমদ ডাহলান বলেছেন, ১ জুলাই পর্যন্ত মোট ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৩ জন অবৈধ অভিবাসী এই পরিকল্পনার আওতায় নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে ৯৭ হাজার ৮৯২ জন রিটার্ন পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের আওতায় তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে নিবন্ধন করেছেন এবং শ্রম পুনরুদ্ধার প্রোগ্রামের অধীনে ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৯ জন বৈধতায় নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে কতজন বাংলাদেশি নিবন্ধিত হয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এরই মধ্যে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীদের সমস্যার ইতিবাচক সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। দক্ষ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে করোনা পরিস্থিতির মাঝেও বৈধ-অবৈধ নির্বিশেষে বাংলাদেশি কর্মীদের করোনা চিকিৎসা  এবং ডিটেনশন ক্যাম্পে থাকা কর্মীদের এবং অবৈধ শ্রমিকদের বৈধকরণের ইতিবাচক সম্মতি প্রদান মালয়েশিয়ার সরকারের সুদৃষ্টির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করছে।

এমন পরিস্থিতিতে হাইকমিশন মালয়েশিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে, যাতে কাউকে কর্মহীন হয়ে দেশে ফিরে যেতে না হয় এবং বিষয়টি চলমান আছে। শ্রম স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে অনিবন্ধিত অভিবাসীদের জন্য পুনরুদ্ধার কর্মসূচিতে বৈধতা দিয়ে পুনরায় কর্মে নিয়োগদানে এবং চলমান মহামারি সময়ে ধরপাকড় বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কূটনৈতিক আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারওয়ার।

এছাড়া মালয়েশিয়া সরকার নিজ দেশের নাগরিক এবং বিদেশি অভিবাসী সবাইকে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করছে।