প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, চলতি বছর নতুন করে ১৫ লাখ লোক বিদেশ পাঠানোর প্রত্যাশা করছে করছে সরকার। এতে বাড়বে প্রবাসী আয়৷
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চায়নায় বড় শ্রম বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রোমানিয়া, গ্রিস, ইটালিতে এখন মানুষ যাচ্ছে। লিবিয়াতেও লোক পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়াতে লোক যাওয়া নিয়ে আপনারা (মিডিয়া) আমার মাথা খারাপ করে দিয়েছেন। সে দেশে এখন নিয়মিত লোক যাচ্ছে। রোমানিয়াতেও যাওয়া শুরু হয়েছে। এবার গ্রিসের সঙ্গেও নতুন করে চুক্তি করেছে সরকার। ইতালিতেও যাচ্ছে। লিবিয়াতেও খোলার একটা ব্যবস্থা করে নেবো। আগামী দুএক বছরের মধ্যে চীনসহ আরও কয়েকটি দেশে শ্রমিক সংকট দেখা দিবে। সরকার এ সুযোগ কাজে লাগাবে।
তবে আমাদের বেআইনিভাবে যাওয়ার প্রবণতা বিষয়টি তুলে ধরে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী আরও বলেন, যারা চাকরিতে যান, তারা ওখানে গিয়ে অন্যত্র পালিয়ে যান। এ জন্য দেশের বদনাম হয়।
এ সময় বিদেশে যাওয়ার আগে কিছু না কিছু দক্ষতা নিয়ে যাওয়ার তাগিদ দেন মন্ত্রী। তা না হলে সাধারণ শ্রমিক হিসেবেই কাজ করতে হয়।
তিনি বলেন, বিদেশে যাওয়ার আগে অন্তত কিছু না কিছু শিখে গেলে বেতন ডাবল হয়ে যায়। আর ভাষা যদি শিখে নেন, আরও ভাল হয়, বিশেষ করে কোরিয়ান ও জাপানিজ ভাষা। আর না হয় নার্সিংয়ে যাও।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৮ বিলিয়ন ডলার, ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ বিলিয়ন ডলার ও ২০২১-২২ অর্থবছরে ২২ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে।
২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিটেন্স কমে যাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ওই সময় করোনার কারণে অনেকে সবকিছু গুটিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন। যে কারণে রেমিটেন্সেরও পরিমাণ কমে গিয়ে ছিল। এখন আবারও প্রবাসীরা বিভিন্ন দেশে তাদের পুরনো কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন। তারা গিয়ে রেমিটেন্স পাঠানো শুরু করলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
আগামী জুন মাসের মধ্যে রেমিটেন্স আগের বছরের সমপরিমাণ অর্থাৎ ২২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ডিপ্লোমা প্রকৌশল সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সিলেটের সহ-সভাপতি মো. উজ্জ্বল বখতর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন-২) সরোজ কুমার নাথ, আইডিইউবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান।