ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাতি উদ্ধারে বাংলাদেশে আসছে ভারতীয় দল

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর প্রত্যন্ত এলাকায় আটকে থাকা একটি ভারতীয় বুনো হাতি উদ্ধারে বুধবার একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দল আসছে। আগামীকাল থেকেই ওই দলটির উদ্ধার অভিযান শুরু করার কথা রয়েছে।

বুনো হাতিটি কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত চর এলাকায় ঘোরাঘুরির পর এখন জামালপুরের একটি চরে অবস্থান নিয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, হাতিটি এখন যে অবস্থানে রয়েছে, সেখানে সেটি উদ্ধার করতে গেলে উল্টো বিপদে পড়তে পারে।

ভারতীয় কারিগরি টিমের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার পর তারা ঠিক করবেন, কোন প্রক্রিয়ায় হাতিকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে আনা হবে।

বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্য প্রাণী বিভাগের উপ-বন সংরক্ষক মোঃ. সাহাবউদ্দিন বলছেন, ”আমাদের দপ্তরের একটি দল হাতিটিকে পর্যবেক্ষণ কিন্তু হাতিটি এখন এমন এলাকায় রয়েছে, যেখানে বন্যা চলছে। সেখানে হাতিটিকে অজ্ঞান করা হলে, সেটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে অসুবিধা হতে পারে বলে আমরা এখনো সেটিকে অজ্ঞান করছি না। তাহলে সেটি আবার পানিতে পড়ে দিয়ে মারাও যেতে পারে।”

এই হাতিটির ওজন পাঁচ টনের বেশি। তাই সেটিকে শুধু অজ্ঞান করলেই হবে না, প্রাণীটিকে নিরাপদে পরিবহনের ব্যবস্থাও করতে হবে। কিন্তু কর্মকর্তারা বলছেন, ওই চরে প্রাণীটিকে তুলে কোন ট্রলার বা কোন বাহনে তোলা সম্ভব না।

এসব দিক বিবেচনা করে একটি নিরাপদ স্থানে হাতিটিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

হাতি উদ্ধারে বাংলাদেশে আসছে ভারতীয় দল

আপডেট টাইম : ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ অগাস্ট ২০১৬

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর প্রত্যন্ত এলাকায় আটকে থাকা একটি ভারতীয় বুনো হাতি উদ্ধারে বুধবার একটি ভারতীয় প্রতিনিধি দল আসছে। আগামীকাল থেকেই ওই দলটির উদ্ধার অভিযান শুরু করার কথা রয়েছে।

বুনো হাতিটি কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জেলার প্রত্যন্ত চর এলাকায় ঘোরাঘুরির পর এখন জামালপুরের একটি চরে অবস্থান নিয়েছে।

কর্মকর্তারা বলছেন, হাতিটি এখন যে অবস্থানে রয়েছে, সেখানে সেটি উদ্ধার করতে গেলে উল্টো বিপদে পড়তে পারে।

ভারতীয় কারিগরি টিমের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার পর তারা ঠিক করবেন, কোন প্রক্রিয়ায় হাতিকে উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে আনা হবে।

বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্য প্রাণী বিভাগের উপ-বন সংরক্ষক মোঃ. সাহাবউদ্দিন বলছেন, ”আমাদের দপ্তরের একটি দল হাতিটিকে পর্যবেক্ষণ কিন্তু হাতিটি এখন এমন এলাকায় রয়েছে, যেখানে বন্যা চলছে। সেখানে হাতিটিকে অজ্ঞান করা হলে, সেটিকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে অসুবিধা হতে পারে বলে আমরা এখনো সেটিকে অজ্ঞান করছি না। তাহলে সেটি আবার পানিতে পড়ে দিয়ে মারাও যেতে পারে।”

এই হাতিটির ওজন পাঁচ টনের বেশি। তাই সেটিকে শুধু অজ্ঞান করলেই হবে না, প্রাণীটিকে নিরাপদে পরিবহনের ব্যবস্থাও করতে হবে। কিন্তু কর্মকর্তারা বলছেন, ওই চরে প্রাণীটিকে তুলে কোন ট্রলার বা কোন বাহনে তোলা সম্ভব না।

এসব দিক বিবেচনা করে একটি নিরাপদ স্থানে হাতিটিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।