ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিল্লির প্রশ্ন: বাংলাদেশের তরুণরা কেন জঙ্গিবাদে

বাংলাদেশে তরুণ, শিক্ষিত ও ধনাঢ্য ঘরের সন্তানরা কেন জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি। দিল্লির প্রশ্ন, একটা সময় ছিল সাধারণত দরিদ্র ও অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষিত ছেলেরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ত। কিন্তু এখন চিত্র ভিন্ন। এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এ নিয়ে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট তথ্য পর্যালোচনা করা জরুরি।

সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি দিল্লি সরকারের আমন্ত্রণে ভারত যায়। সেখানে তারা ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, লোকসভার ডেপুটি স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজসহ ক্ষমতাসীন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মহাদেব ও বিরোধী দল কংগ্রেসের সহসভাপতি  রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠককালে ভারতের রাষ্ট্রপতি,  ডেপুটি স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব মহল থেকেই তরুণ সমাজের জঙ্গিবাদ সম্পৃক্ততায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

জানতে চাইলে প্রতিনিধি দলের প্রধান জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু পূর্বপশ্চিমকে জানান, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদে ভারতের সব মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা এর কারণও জানতে চেয়েছে আমাদের কাছে। আমরা আমাদের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছি।

তিনি বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে সরকারের সব মহল থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

দিল্লি মনে করছে, বাংলাদেশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কারণে অস্থিতিশীল হলে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে ভারতও অনিরাপদ হয়ে পড়তে পারে। কারণ তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ৭টি রাজ্য সীমানা রয়েছে। তাই বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ তাদেরকে আক্রান্ত করতে পারে।

সূত্র বলছে, গুলশানের হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব ও উদ্বেগের সঙ্গে নিয়েছে ভারতের সব মহল।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটির কাছে ভারতের একাধিক মহল থেকে জানতে চাওয়া হয়, এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এর কোন সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা। তবে বাংলাদেশের পক্ষে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এর সঙ্গে আইএস-এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বাংলাদেশ যা হচ্ছে তা সবই দেশীয় সন্ত্রাসবাদ। এদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো সম্পর্ক নেই।
এসব জঙ্গিবাদের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা প্রশ্নও তোলে ভারত। তবে ঢাকার পক্ষে বাবলুর নেতৃত্বে দলটি ভারতে জানায়, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে বসবাস করে থাকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দিল্লির প্রশ্ন: বাংলাদেশের তরুণরা কেন জঙ্গিবাদে

আপডেট টাইম : ০৬:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৬

বাংলাদেশে তরুণ, শিক্ষিত ও ধনাঢ্য ঘরের সন্তানরা কেন জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দিল্লি। দিল্লির প্রশ্ন, একটা সময় ছিল সাধারণত দরিদ্র ও অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষিত ছেলেরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ত। কিন্তু এখন চিত্র ভিন্ন। এর কারণ খুঁজে বের করতে হবে। এ নিয়ে বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট তথ্য পর্যালোচনা করা জরুরি।

সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি দিল্লি সরকারের আমন্ত্রণে ভারত যায়। সেখানে তারা ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, লোকসভার ডেপুটি স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজসহ ক্ষমতাসীন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মহাদেব ও বিরোধী দল কংগ্রেসের সহসভাপতি  রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেন।

বৈঠককালে ভারতের রাষ্ট্রপতি,  ডেপুটি স্পিকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সব মহল থেকেই তরুণ সমাজের জঙ্গিবাদ সম্পৃক্ততায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

জানতে চাইলে প্রতিনিধি দলের প্রধান জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু পূর্বপশ্চিমকে জানান, বাংলাদেশের জঙ্গিবাদে ভারতের সব মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তারা এর কারণও জানতে চেয়েছে আমাদের কাছে। আমরা আমাদের মতো করে ব্যাখ্যা দিয়েছি।

তিনি বলেন, ভারতের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে সরকারের সব মহল থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।

দিল্লি মনে করছে, বাংলাদেশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের কারণে অস্থিতিশীল হলে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে ভারতও অনিরাপদ হয়ে পড়তে পারে। কারণ তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের ৭টি রাজ্য সীমানা রয়েছে। তাই বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ তাদেরকে আক্রান্ত করতে পারে।

সূত্র বলছে, গুলশানের হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব ও উদ্বেগের সঙ্গে নিয়েছে ভারতের সব মহল।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটির কাছে ভারতের একাধিক মহল থেকে জানতে চাওয়া হয়, এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এর কোন সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা। তবে বাংলাদেশের পক্ষে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এর সঙ্গে আইএস-এর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বাংলাদেশ যা হচ্ছে তা সবই দেশীয় সন্ত্রাসবাদ। এদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো সম্পর্ক নেই।
এসব জঙ্গিবাদের সঙ্গে ধর্মীয় কোনো সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা প্রশ্নও তোলে ভারত। তবে ঢাকার পক্ষে বাবলুর নেতৃত্বে দলটি ভারতে জানায়, বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ এক সঙ্গে বসবাস করে থাকে।