ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোটা স্ত্রীর নিচে চাপা পড়ে স্বামীর মৃত্যু

আরো একটি অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হল বিশ্ববাসী। প্রতিবেশি ভারতের রাজকোটে অন্যরকম এক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন এক বয়স্ক দম্পতি। তারা হলেন- নটবরলাল বিথলানি ও মঞ্জু বিথলানি। তারা থাকতেন অভিজাত কালাভাড় রোডের রমধাম সোসাইটিতে।

সোমবার ভোর চারটে নাগাদ ছেলে আশিসের শ্বাসকষ্টের খবর পেয়ে সিঁড়ি দিয়ে হুড়মুড়িয়ে উঠে ছেলের ঘরে যাচ্ছিলেন মঞ্জুলাদেবী। ঠিক পিছনেই ছিলেন স্বামী নটবরলাল।


সে সময় পা পিছলে ১২৮ কেজির মঞ্জুলা স্বামীর ওপর পড়ে যান। নটবরলালের মাথায় মারাত্মক চোট লাগে, আহত হন মঞ্জুলাও। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে দুজনেরই মৃত্যু হয়।

এই দম্পতির ছেলে আশিসের স্ত্রী নিশা তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে পিছলে পড়েন তিনিও। পায়ে চোট নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। জানা গেছে, রমধাম সোসাইটির দোতলা বাংলোর একতলায় থাকতেন ওই স্বামী স্ত্রী, দোতলায় ছেলে আশিস ও পুত্রবধূ নিশা। সোমবার ভোর চারটে নাগাদ আশিসের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে নিশা নীচে ওষুধ আনতে যান। তখনই জেগে উঠে বিষয়টি জানতে পারেন ওই প্রৌঢ় দম্পতি। জানা গেছে, নটবরলাল ও মঞ্জুলা সব সময় আশিসের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতেন। ভোরবেলা ছেলের অসুস্থতার খবরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। তার জেরে এই দুর্ঘটনা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মোটা স্ত্রীর নিচে চাপা পড়ে স্বামীর মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৬:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মার্চ ২০১৭

আরো একটি অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হল বিশ্ববাসী। প্রতিবেশি ভারতের রাজকোটে অন্যরকম এক দুর্ঘটনায় মারা গেলেন এক বয়স্ক দম্পতি। তারা হলেন- নটবরলাল বিথলানি ও মঞ্জু বিথলানি। তারা থাকতেন অভিজাত কালাভাড় রোডের রমধাম সোসাইটিতে।

সোমবার ভোর চারটে নাগাদ ছেলে আশিসের শ্বাসকষ্টের খবর পেয়ে সিঁড়ি দিয়ে হুড়মুড়িয়ে উঠে ছেলের ঘরে যাচ্ছিলেন মঞ্জুলাদেবী। ঠিক পিছনেই ছিলেন স্বামী নটবরলাল।


সে সময় পা পিছলে ১২৮ কেজির মঞ্জুলা স্বামীর ওপর পড়ে যান। নটবরলালের মাথায় মারাত্মক চোট লাগে, আহত হন মঞ্জুলাও। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে দুজনেরই মৃত্যু হয়।

এই দম্পতির ছেলে আশিসের স্ত্রী নিশা তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা করলে পিছলে পড়েন তিনিও। পায়ে চোট নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি। জানা গেছে, রমধাম সোসাইটির দোতলা বাংলোর একতলায় থাকতেন ওই স্বামী স্ত্রী, দোতলায় ছেলে আশিস ও পুত্রবধূ নিশা। সোমবার ভোর চারটে নাগাদ আশিসের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে নিশা নীচে ওষুধ আনতে যান। তখনই জেগে উঠে বিষয়টি জানতে পারেন ওই প্রৌঢ় দম্পতি। জানা গেছে, নটবরলাল ও মঞ্জুলা সব সময় আশিসের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতেন। ভোরবেলা ছেলের অসুস্থতার খবরে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। তার জেরে এই দুর্ঘটনা।