ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নদীর ‘মানবাধিকার’ দিলো নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডের এক নদীকে বিশ্বের এই প্রথমবারের মতো মানুষের সমান আইনগত অধিকার দেয়া হচ্ছে। এ যেন নদীর ‘মানবাধিকার’ দেওয়া আর কি! এমনকি নিউজিল্যান্ডের সংসদে একটি বিল পাশ করা হয়েছে যেখানে হোয়াংগানুই নদীকে জীবিত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধান জাতিসত্তা মাওরিরা হোয়াংগানুই নদীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে দেখে থাকেন। এখন এই নদীর স্বার্থ দেখার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া হয়েছে দু’জন মানুষের ওপর। নিউজিল্যান্ডের একজন মন্ত্রী ক্রিস ফিনলেসন বলছেন, মাওরিরা এই অধিকারটুকুর জন্য গত ১৬০ বছর ধরে লড়াই করেছে।

“আমি জানি একটা প্রাকৃতিক সম্পদকে আইনগত অধিকার দেয়ার ঘটনা অনেকের কাছে বিস্ময়কর বলে মনে হতে পারে,” তিনি বলেন। “কিন্তু পারিবারিক ট্রাষ্ট, কিংবা কোন কোম্পানি বা ইনকর্পোরেটেড সমিতিগুলোর চেয়ে এটি ভিন্ন কিছু না।”

সংসদের এই স্বীকৃতির ফলে নিউজিল্যান্ডের আদালতে এখন থেকে হোয়াংগানুই নদীর পক্ষে কৌঁসুলিরা লড়াই করতে পারবেন। সংসদে বিলটি পাশ হওয়ার খবরে মাওরি সম্প্রদায়ের লোকেরা আনন্দে কেঁদে ফেলেন।তারা খুশিতে নাচগান করতে থকেন।

মাওরিদের প্রতিনিধিত্বকারী একজন এমপি এড্রিয়ান রুরাহে বলছেন, নদীই যাদের জীবন, নদীর ওপর যারা নির্ভরশীল, সার্বিকভাবে তাদের জন্য নদীর অস্তিত্ব খুবই জরুরি।

“হোয়াংগানুই নদীর কথা যদি বলেন তাহলে এই নদীর কল্যাণের সঙ্গে মানুষের কল্যাণ সরাসরিভাবে জড়িত। তাই এর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার করার বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা খবর দিচ্ছে, সংসদের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি এক আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটলো। সূত্র: বিবিসি বাংলা

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

নদীর ‘মানবাধিকার’ দিলো নিউজিল্যান্ড

আপডেট টাইম : ০৬:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০১৭

নিউজিল্যান্ডের এক নদীকে বিশ্বের এই প্রথমবারের মতো মানুষের সমান আইনগত অধিকার দেয়া হচ্ছে। এ যেন নদীর ‘মানবাধিকার’ দেওয়া আর কি! এমনকি নিউজিল্যান্ডের সংসদে একটি বিল পাশ করা হয়েছে যেখানে হোয়াংগানুই নদীকে জীবিত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধান জাতিসত্তা মাওরিরা হোয়াংগানুই নদীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে দেখে থাকেন। এখন এই নদীর স্বার্থ দেখার দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া হয়েছে দু’জন মানুষের ওপর। নিউজিল্যান্ডের একজন মন্ত্রী ক্রিস ফিনলেসন বলছেন, মাওরিরা এই অধিকারটুকুর জন্য গত ১৬০ বছর ধরে লড়াই করেছে।

“আমি জানি একটা প্রাকৃতিক সম্পদকে আইনগত অধিকার দেয়ার ঘটনা অনেকের কাছে বিস্ময়কর বলে মনে হতে পারে,” তিনি বলেন। “কিন্তু পারিবারিক ট্রাষ্ট, কিংবা কোন কোম্পানি বা ইনকর্পোরেটেড সমিতিগুলোর চেয়ে এটি ভিন্ন কিছু না।”

সংসদের এই স্বীকৃতির ফলে নিউজিল্যান্ডের আদালতে এখন থেকে হোয়াংগানুই নদীর পক্ষে কৌঁসুলিরা লড়াই করতে পারবেন। সংসদে বিলটি পাশ হওয়ার খবরে মাওরি সম্প্রদায়ের লোকেরা আনন্দে কেঁদে ফেলেন।তারা খুশিতে নাচগান করতে থকেন।

মাওরিদের প্রতিনিধিত্বকারী একজন এমপি এড্রিয়ান রুরাহে বলছেন, নদীই যাদের জীবন, নদীর ওপর যারা নির্ভরশীল, সার্বিকভাবে তাদের জন্য নদীর অস্তিত্ব খুবই জরুরি।

“হোয়াংগানুই নদীর কথা যদি বলেন তাহলে এই নদীর কল্যাণের সঙ্গে মানুষের কল্যাণ সরাসরিভাবে জড়িত। তাই এর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার করার বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকা খবর দিচ্ছে, সংসদের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে দীর্ঘমেয়াদি এক আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটলো। সূত্র: বিবিসি বাংলা