ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ সংস্কারকে এগিয়ে নিতে, সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন এবং স্বল্প খরচের উদ্ভাবনী ব্যাংক অর্থসহায়তা পেতে ক্ষুদ্র ব্যবসা বিশেষ করে নারী পরিচালিত ব্যবসায় সহায়তার জন্য আজ মঙ্গলবার এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি জানায়, এই ঋণ এডিবির টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচির দ্বিতীয় উপ-ধাপ (সাব–প্রোগ্রাম), যা কোভিড-১৯ মহামারির পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের সহায়তায় ২০২১ সালের অক্টোবরে চালু করা হয়েছিল।

এডিবির প্রিন্সিপাল পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট ফর সাউথ এশিয়া আমিনুর রহমান বলেন, ‘এই উপ-ধাপটি বাংলাদেশকে রাজস্ব বাড়াতে, সরকারি ব্যয় ও সরকারি ক্রয়ে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করতে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর সংস্কার কার্যক্রম আরও জোরদার করতে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং খাত থেকে স্বল্প সুদে সাশ্রয়ী ঋণ পেতে সহায়তা করতে সক্ষম করে।

তিনি বলেন, উপ-ধারাটি লিঙ্গ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপসহ, সরকারকে দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করার প্রচেষ্টা জোরদার করতে সক্ষম করে।

এডিবি বলছে, এই প্রোগ্রামটি নতুন আয়কর আইন প্রনয়নের মাধ্যমে আয়কর সংগ্রহকে উন্নত করবে, করের ত্রুটি হ্রাস করবে, অনুকূল ও প্রয়োগকারী পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করবে এবং দেশের করের আওতাকে প্রসারিত করবে। ইলেকট্রনিক ক্রয় এবং ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়ানো হবে। তাছাড়া সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন নতুন চালু করা ডিজিটাল পদ্ধতির পাবলিক প্রকল্প মূল্যায়ন ও অনুমোদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজতর করা হবে।

নতুন প্যাকেজটি ডিজিটাল চ্যানেল এবং ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ভাবনী অর্থায়ন পরিষেবা চালুকে সমর্থন করে। এটি প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের ব্যাংক ঋণ প্রদানের সুবিধা দেবে এবং মাইক্রো ও ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং জমি-জমা বা সম্পত্তিবিহীন নারী উদ্যোক্তাদের বাণিজ্য রসিদ এবং অন্যান্য ধরনের অনির্ধারিত জামানত যেমন ছোট সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতির ওপর ভিত্তি করে অর্থ পেতে সক্ষম করবে।

এছাড়া লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া এবং সরকারি বিনিয়োগ এবং জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় মোকাবিলা করা- এই নতুন কর্মসূচির কয়েকটি মূল কার্যক্রম।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ

আপডেট টাইম : ০৫:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ সংস্কারকে এগিয়ে নিতে, সরকারি ব্যয়ের দক্ষতা ও সক্ষমতার উন্নয়ন এবং স্বল্প খরচের উদ্ভাবনী ব্যাংক অর্থসহায়তা পেতে ক্ষুদ্র ব্যবসা বিশেষ করে নারী পরিচালিত ব্যবসায় সহায়তার জন্য আজ মঙ্গলবার এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি জানায়, এই ঋণ এডিবির টেকসই অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচির দ্বিতীয় উপ-ধাপ (সাব–প্রোগ্রাম), যা কোভিড-১৯ মহামারির পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের সহায়তায় ২০২১ সালের অক্টোবরে চালু করা হয়েছিল।

এডিবির প্রিন্সিপাল পাবলিক ম্যানেজমেন্ট ইকোনমিস্ট ফর সাউথ এশিয়া আমিনুর রহমান বলেন, ‘এই উপ-ধাপটি বাংলাদেশকে রাজস্ব বাড়াতে, সরকারি ব্যয় ও সরকারি ক্রয়ে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করতে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাগুলোর সংস্কার কার্যক্রম আরও জোরদার করতে এবং ক্ষুদ্র ব্যবসা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং খাত থেকে স্বল্প সুদে সাশ্রয়ী ঋণ পেতে সহায়তা করতে সক্ষম করে।

তিনি বলেন, উপ-ধারাটি লিঙ্গ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাইজেশনের ওপর গুরুত্বারোপসহ, সরকারকে দরিদ্র ও দুস্থদের জন্য আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করার প্রচেষ্টা জোরদার করতে সক্ষম করে।

এডিবি বলছে, এই প্রোগ্রামটি নতুন আয়কর আইন প্রনয়নের মাধ্যমে আয়কর সংগ্রহকে উন্নত করবে, করের ত্রুটি হ্রাস করবে, অনুকূল ও প্রয়োগকারী পদক্ষেপগুলোকে শক্তিশালী করবে এবং দেশের করের আওতাকে প্রসারিত করবে। ইলেকট্রনিক ক্রয় এবং ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়ানো হবে। তাছাড়া সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন নতুন চালু করা ডিজিটাল পদ্ধতির পাবলিক প্রকল্প মূল্যায়ন ও অনুমোদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সহজতর করা হবে।

নতুন প্যাকেজটি ডিজিটাল চ্যানেল এবং ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে স্বল্পমূল্যের ক্ষুদ্রঋণ প্রদানের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ভাবনী অর্থায়ন পরিষেবা চালুকে সমর্থন করে। এটি প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নিম্ন আয়ের ব্যক্তিদের ব্যাংক ঋণ প্রদানের সুবিধা দেবে এবং মাইক্রো ও ক্ষুদ্র ব্যবসা এবং জমি-জমা বা সম্পত্তিবিহীন নারী উদ্যোক্তাদের বাণিজ্য রসিদ এবং অন্যান্য ধরনের অনির্ধারিত জামানত যেমন ছোট সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতির ওপর ভিত্তি করে অর্থ পেতে সক্ষম করবে।

এছাড়া লিঙ্গ সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া এবং সরকারি বিনিয়োগ এবং জাতীয় বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয় মোকাবিলা করা- এই নতুন কর্মসূচির কয়েকটি মূল কার্যক্রম।