ঢাকা , রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামায়াত আমিরের ‘বন্ধুত্বের সম্পর্ক’ প্রসঙ্গে যা বলল ভারত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ‘ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক’ চান বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা দিল্লির নজরে এসেছে। ভবিষ্যতে এ নিয়ে আরও আলাপ আলোচনা হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার দিল্লিতে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

এদিনের ব্রিফিংয়ে নানাভাবেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন। এগুলোর মধ্যে যেমন ছিল জামায়াতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, তেমনই ছিল সাম্প্রতিক বন্যার দায় কার? এ নিয়ে বাংলাদেশের একাংশ থেকে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা এবং বাংলাদেশে ভারতীয় প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎসহ নানা বিষয়।

আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ফোনালাপের পরে দুই দেশ পৃথকভাবে যে বিবৃতি দিয়েছিল, সেই বিবৃতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে দু ধরনের বক্তব্য আসার প্রসঙ্গও উঠে আসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ ব্রিফিংয়ে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার গত ১ অগাস্ট যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তা ২৮ অগাস্ট প্রত্যাহার করেছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।

এরপর দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে তার দল আগ্রহী।

জামায়াত আমিরের এ মন্তব্য নিয়েই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর দিকে অভিযোগ ওঠে যে, সেখানে তারা ভারত-বিরোধী মনোভাবকে প্ররোচনা দেয়। কিন্তু এখন যখন তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায়। এ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান কী?

এ প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের ব্যাপারে বিস্তারিত বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা, বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া, সাম্প্রতিক বন্যা ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে জয়সওয়াল মূল প্রশ্নের জবাব দেন মাত্র এক লাইনে।

প্রশ্ন করা সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি অন্য যে বিষয়টির প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন (জামায়াতে ইসলামীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রসঙ্গ), সেটা আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা আশাবাদী যে, বিষয়টি নিয়ে পরে আমরা আরও আলাপ আলোচনা করব।

অন্য এক সাংবাদিক জামায়াতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে মুখপাত্রর কাছে জানতে চাইলে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে দেখছি’। সূত্র: বিবিসি

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জামায়াত আমিরের ‘বন্ধুত্বের সম্পর্ক’ প্রসঙ্গে যা বলল ভারত

আপডেট টাইম : ১২:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ‘ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক’ চান বলে যে ঘোষণা দিয়েছেন, তা দিল্লির নজরে এসেছে। ভবিষ্যতে এ নিয়ে আরও আলাপ আলোচনা হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার দিল্লিতে মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

এদিনের ব্রিফিংয়ে নানাভাবেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন। এগুলোর মধ্যে যেমন ছিল জামায়াতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, তেমনই ছিল সাম্প্রতিক বন্যার দায় কার? এ নিয়ে বাংলাদেশের একাংশ থেকে ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা এবং বাংলাদেশে ভারতীয় প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎসহ নানা বিষয়।

আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে ফোনালাপের পরে দুই দেশ পৃথকভাবে যে বিবৃতি দিয়েছিল, সেই বিবৃতিতে বাংলাদেশকে নিয়ে দু ধরনের বক্তব্য আসার প্রসঙ্গও উঠে আসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ ব্রিফিংয়ে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ হাসিনার সরকার গত ১ অগাস্ট যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল, তা ২৮ অগাস্ট প্রত্যাহার করেছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।

এরপর দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করতে গিয়ে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছিলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে তার দল আগ্রহী।

জামায়াত আমিরের এ মন্তব্য নিয়েই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর দিকে অভিযোগ ওঠে যে, সেখানে তারা ভারত-বিরোধী মনোভাবকে প্ররোচনা দেয়। কিন্তু এখন যখন তারা ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চায়। এ নিয়ে ভারত সরকারের অবস্থান কী?

এ প্রশ্নের উত্তর সরাসরি না দিয়ে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাতের ব্যাপারে বিস্তারিত বলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

প্রধান উপদেষ্টা ও ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা, বাংলাদেশে হিন্দু এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়া, সাম্প্রতিক বন্যা ইত্যাদি বিষয় উল্লেখ করে জয়সওয়াল মূল প্রশ্নের জবাব দেন মাত্র এক লাইনে।

প্রশ্ন করা সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি অন্য যে বিষয়টির প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেন (জামায়াতে ইসলামীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রসঙ্গ), সেটা আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা আশাবাদী যে, বিষয়টি নিয়ে পরে আমরা আরও আলাপ আলোচনা করব।

অন্য এক সাংবাদিক জামায়াতে ইসলামীর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে মুখপাত্রর কাছে জানতে চাইলে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা বিষয়টিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে দেখছি’। সূত্র: বিবিসি