ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে না সৌদি

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরাইলকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। বুধবার এক বক্তব্যে এ কথা বলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বক্তব্যে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি দখলদারি ও অপরাধেরও সমালোচনা করেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সালমান বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় সৌদি আরব। এই লক্ষ্য পূরণ হওয়া পর্যন্ত আমরা অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। আর আমরা অঙ্গীকার করছি যে, স্বাধীন ফিলিস্তিন ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা হবে না।

শুরা কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন যুবরাজ। বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে বার্ষিক এই বক্তব্য প্রদান করেন তিনি। ভাষণের আগে যুবরাজের সামনে শপথ গ্রহণ করেছেন শুরা কাউন্সিলের সদস্যরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র জানিয়েছে যে, তেল আবিবের সঙ্গে রিয়াদের স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে রয়েছে গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসন।

যুবরাজের শেষ বক্তব্য থেকে ধারণা করা যায়, ইসরাইলি আগ্রাসনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন প্রচেষ্টা ধোপে টিকবে না।

গাজা যুদ্ধ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে যুবরাজ সালমান জানিয়েছিলেন, ইসরাইল-সৌদি একটা চুক্তির সন্নিকটে আছে।

ওই দুই সূত্র রয়টার্সকে আরও বলেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সৌদির স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে কিছু বিলম্ব হবে। রিয়াদের জন্য এই আলোচনার সবচেয়ে লাভজনক দিক হিসেবে অনেক বিশেষজ্ঞ যেটা ধারণা করছেন, তা হলো, এর বিনিময়ে মার্কিনিদের সঙ্গে একটা প্রতিরক্ষা চুক্তির দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে না সৌদি

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া ইসরাইলকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেবে না বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। বুধবার এক বক্তব্যে এ কথা বলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বক্তব্যে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি দখলদারি ও অপরাধেরও সমালোচনা করেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সালমান বলেছেন, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায় সৌদি আরব। এই লক্ষ্য পূরণ হওয়া পর্যন্ত আমরা অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব। আর আমরা অঙ্গীকার করছি যে, স্বাধীন ফিলিস্তিন ছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করা হবে না।

শুরা কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণে এই মন্তব্য করেন যুবরাজ। বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে বার্ষিক এই বক্তব্য প্রদান করেন তিনি। ভাষণের আগে যুবরাজের সামনে শপথ গ্রহণ করেছেন শুরা কাউন্সিলের সদস্যরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুটি সূত্র জানিয়েছে যে, তেল আবিবের সঙ্গে রিয়াদের স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এর নেপথ্যে রয়েছে গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসন।

যুবরাজের শেষ বক্তব্য থেকে ধারণা করা যায়, ইসরাইলি আগ্রাসনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত মার্কিন প্রচেষ্টা ধোপে টিকবে না।

গাজা যুদ্ধ শুরুর কয়েক সপ্তাহ আগে যুবরাজ সালমান জানিয়েছিলেন, ইসরাইল-সৌদি একটা চুক্তির সন্নিকটে আছে।

ওই দুই সূত্র রয়টার্সকে আরও বলেছে, ইসরাইলের সঙ্গে সৌদির স্বাভাবিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে কিছু বিলম্ব হবে। রিয়াদের জন্য এই আলোচনার সবচেয়ে লাভজনক দিক হিসেবে অনেক বিশেষজ্ঞ যেটা ধারণা করছেন, তা হলো, এর বিনিময়ে মার্কিনিদের সঙ্গে একটা প্রতিরক্ষা চুক্তির দ্বার উন্মোচিত হতে পারে।