কাজাখস্তানে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যাওয়ার পরও, বেঁচে গেলেন আজারবাইজান এয়ারলাইনসের ২৯ যাত্রী। দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনাকে ছাপিয়ে আলোচনায়- এই অবিশ্বাস্য বেঁচে ফেরা। দগ্ধ বিমানে কীভাবে টিকে রইলেন তারা? জীবিত কয়েক আরোহী জানিয়েছেন, বিধ্বস্ত হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে সরবরাহ করা হয়েছিল অক্সিজেন মাস্ক। যাত্রীদের ধারণা, এ কারণেই হয়তো তাদের অলৌকিক প্রাণরক্ষা।
৬৭ জন আরোহী নিয়ে বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রওয়ানা হয়েছিল এমব্রেয়ার ওয়ান নাইনটির ফ্লাইটটি। গন্তব্য ছিল রাশিয়ার গ্রোজনি। কুয়াশার কারণে রুট পরিবর্তন করে জরুরি অবতরণের চেষ্টা করে কাজাখস্তানে। তবে ব্যর্থ হয়ে আছড়ে পড়ে কাজাখ শহর আকতাউয়ের জনবসতির ওপর। বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই আগুন ধরে যায় বিমানে।
এত বড় দুর্ঘটনায় আরোহীদের কারও বেঁচে থাকার আশা থাকে না বললেই চলে। মারাও গেছেন ৩৮ জন। তবে বিমানের আগুন নেভানোর পর ধ্বংসস্তূপের ভেতর মিলল প্রাণের সন্ধান। একে একে ২৯ জনকে জীবিত বের করে আনলেন উদ্ধারকারীরা। আরোহীদের বেশিরভাগ আজারবাইজানের নাগরিক ছিলেন। রাশিয়া, কাজাখস্তান ও কিরগিজিস্তানের কয়েকজনও ছিলেন।
বিমান দুর্ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে আজারবাইজানে। তদন্ত শুরু হয়েছে কাজাখস্তানেও। বিধ্বস্ত উড়োযানের ব্ল্যাকবক্স ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে। রুশ গণমাধ্যম বলছে, পাখির ঝাঁকের সাথে সংঘর্ষ হতে পারে দুর্ঘটনার কারণ। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ আজারবাইজান কর্তৃপক্ষ।