ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতিসংঘের ১৭ তরুণ নেতার তালিকায় বাংলাদেশি নাজবিন

জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)-এর সমর্থনে কাজ করছেন এমন ১৭ তরুণ নেতার তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহের মেয়ে সওগাত নাজবিন খান।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ওই তরুণ নেতারা ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে বেশ কয়েকটি হাই-লেভেল বৈঠক এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। তারা জাতিসংঘ এবং তার মিত্রদের বিভিন্ন প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করবেন।

প্রাথমিকভাবে ১৮৬ দেশ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৮ হাজারেরও বেশি আবেদন আসে, যাদের বয়স ১৯ থেকে ৩০ বছর। এদের মধ্য থেকে এসডিজি-র ১৭টি মৌলিক লক্ষ্যে অবদান রাখার জন্য ১৭ জন তরুণকে বাছাই করা হয়।

জাতিসংঘ মহাসচিবের যুব বিষয়ক প্রতিনিধি আহমদ আলহেনদাওই বলেন, ‘আমরা গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, এই তরুণ বিশ্ব নাগরিক দলটি তাদের সম্প্রদায়ের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই তরুণরাই এসডিজি-র লক্ষ্য অর্জনের মধ্যদিয়ে বিশ্বকে বদলে দিতে পারে।’

এর আগে কমনওয়েলথ যুব পুরস্কারও জিতেছিলেন ময়মনসিংহের মেয়ে সওগাত নাজবিন খান। কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের মধ্য থেকে মাত্র চারজন জিতেছেন ‘কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডস ২০১৬’। নাজবিন ‘কমনওয়েলথ এশিয়া ইয়াং পারসন অব দ্য ইয়ার ২০১৬’ নির্বাচিত হন।

নাজবিন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি শেষ করে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অনার্স সম্পন্ন করেন। এরপর ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দূষণমুক্ত জ্বালানি (গ্রিন এনার্জি) বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ময়মনসিংহে এইচ এ ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন, যেখানে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছেলে-মেয়েদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পড়ানো হয়।

জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭ তরুণ নেতাদের মধ্যে অন্যরা হলেন –

তৃষা শেট্টি (ভারত), অঙ্কিত কাওয়াত্রা (ভারত), অ্যান্থনি ফোর্ড-শুব্রুক (ব্রিটেন), রিটা কিমানি (কেনিয়া), রেইনিয়ার ম্যালোল (ডমিনিকান রিপাবলিক), ইদ্দা হামার (আইসল্যান্ড/অস্ট্রেলিয়া), ভিনসেন্ট লোকা (ইন্দোনেশিয়া), সামার সামির মেজঘান্নি (তিউনিশিয়া/ইরাক), লুতফি ফাদিল লোকমান (মালয়েশিয়া), ক্যারোলিনা মেদিনা (কলম্বিয়া), জ্যাক হরোইটজ (যুক্তরাষ্ট্র), করণ জেরাথ (যুক্তরাষ্ট্র), স্যামুয়েল মালিঙ্গা (উগান্ডা), সাফাথ আহমেদ জহীর (মালদ্বীপ), নিক্কি ফ্রেজার (কানাডা),টেরে গনজালেজ গার্সিয়া (মেক্সিকো)।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতিসংঘের ১৭ তরুণ নেতার তালিকায় বাংলাদেশি নাজবিন

আপডেট টাইম : ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি)-এর সমর্থনে কাজ করছেন এমন ১৭ তরুণ নেতার তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের ময়মনসিংহের মেয়ে সওগাত নাজবিন খান।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ওই তরুণ নেতারা ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে বেশ কয়েকটি হাই-লেভেল বৈঠক এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। তারা জাতিসংঘ এবং তার মিত্রদের বিভিন্ন প্রকল্পেও অংশগ্রহণ করবেন।

প্রাথমিকভাবে ১৮৬ দেশ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১৮ হাজারেরও বেশি আবেদন আসে, যাদের বয়স ১৯ থেকে ৩০ বছর। এদের মধ্য থেকে এসডিজি-র ১৭টি মৌলিক লক্ষ্যে অবদান রাখার জন্য ১৭ জন তরুণকে বাছাই করা হয়।

জাতিসংঘ মহাসচিবের যুব বিষয়ক প্রতিনিধি আহমদ আলহেনদাওই বলেন, ‘আমরা গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, এই তরুণ বিশ্ব নাগরিক দলটি তাদের সম্প্রদায়ের অগ্রগতিতে বিশেষ অবদান রেখেছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই তরুণরাই এসডিজি-র লক্ষ্য অর্জনের মধ্যদিয়ে বিশ্বকে বদলে দিতে পারে।’

এর আগে কমনওয়েলথ যুব পুরস্কারও জিতেছিলেন ময়মনসিংহের মেয়ে সওগাত নাজবিন খান। কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের মধ্য থেকে মাত্র চারজন জিতেছেন ‘কমনওয়েলথ ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডস ২০১৬’। নাজবিন ‘কমনওয়েলথ এশিয়া ইয়াং পারসন অব দ্য ইয়ার ২০১৬’ নির্বাচিত হন।

নাজবিন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি শেষ করে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অনার্স সম্পন্ন করেন। এরপর ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি দূষণমুক্ত জ্বালানি (গ্রিন এনার্জি) বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ময়মনসিংহে এইচ এ ডিজিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেন, যেখানে আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছেলে-মেয়েদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পড়ানো হয়।

জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭ তরুণ নেতাদের মধ্যে অন্যরা হলেন –

তৃষা শেট্টি (ভারত), অঙ্কিত কাওয়াত্রা (ভারত), অ্যান্থনি ফোর্ড-শুব্রুক (ব্রিটেন), রিটা কিমানি (কেনিয়া), রেইনিয়ার ম্যালোল (ডমিনিকান রিপাবলিক), ইদ্দা হামার (আইসল্যান্ড/অস্ট্রেলিয়া), ভিনসেন্ট লোকা (ইন্দোনেশিয়া), সামার সামির মেজঘান্নি (তিউনিশিয়া/ইরাক), লুতফি ফাদিল লোকমান (মালয়েশিয়া), ক্যারোলিনা মেদিনা (কলম্বিয়া), জ্যাক হরোইটজ (যুক্তরাষ্ট্র), করণ জেরাথ (যুক্তরাষ্ট্র), স্যামুয়েল মালিঙ্গা (উগান্ডা), সাফাথ আহমেদ জহীর (মালদ্বীপ), নিক্কি ফ্রেজার (কানাডা),টেরে গনজালেজ গার্সিয়া (মেক্সিকো)।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন