ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তুরস্কে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চান এরদোগান

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তুরস্কে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে জাপান সফরে গিয়ে এমন মনোভাবের কথা জানিয়েছেন তিনি।

জাপানে ৮০ টি নারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। নারীদের জন্য বিশেষায়িত এমন ব্যবস্থাকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ উল্লেখ করে এরদোগান জানান, তুরস্কেও তিনি এটি চালু করতে চান।

সম্মেলন থেকে আঙ্কারায় ফিরে নিজ দেশেও জাপানি মডেলে নারী-পুরুষের পৃথক শিক্ষার আভাস দিয়েছেন এরদোগান। তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের আলাদা ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার মধ্যে ভালো কিছু দেখছেন তিনি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তুরস্কের উচ্চ শিক্ষা কাউন্সিল(ওয়াইওকে) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়ার কথাও জানান তিনি।

তবে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে এরদোগানের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন দেশটির নারীবাদীরা। তারা বলছেন, জাপানের আদলে সবদেশে এটা করে ফেলা কোনোভাবে উপযুক্ত নয়।

কামাল আতাতুর্কের হাত ধরে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি নিয়ে ১৯২৩ সালে বর্তমান তুরস্ক প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে কারণে দেশটিতে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

তুরস্কে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চান এরদোগান

আপডেট টাইম : ০১:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জুলাই ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তুরস্কে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে চান দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। সম্প্রতি জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষ্যে জাপান সফরে গিয়ে এমন মনোভাবের কথা জানিয়েছেন তিনি।

জাপানে ৮০ টি নারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। নারীদের জন্য বিশেষায়িত এমন ব্যবস্থাকে ‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ উল্লেখ করে এরদোগান জানান, তুরস্কেও তিনি এটি চালু করতে চান।

সম্মেলন থেকে আঙ্কারায় ফিরে নিজ দেশেও জাপানি মডেলে নারী-পুরুষের পৃথক শিক্ষার আভাস দিয়েছেন এরদোগান। তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারীদের আলাদা ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার মধ্যে ভালো কিছু দেখছেন তিনি। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তুরস্কের উচ্চ শিক্ষা কাউন্সিল(ওয়াইওকে) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়ার কথাও জানান তিনি।

তবে শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কারে এরদোগানের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন দেশটির নারীবাদীরা। তারা বলছেন, জাপানের আদলে সবদেশে এটা করে ফেলা কোনোভাবে উপযুক্ত নয়।

কামাল আতাতুর্কের হাত ধরে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি নিয়ে ১৯২৩ সালে বর্তমান তুরস্ক প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে কারণে দেশটিতে নারী-পুরুষের জন্য পৃথক কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই।