ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রেক্সিট: পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিল এমপিরা

A video grab from footage broadcast by the UK Parliament's Parliamentary Recording Unit (PRU) shows Britain's Prime Minister Boris Johnson reacting to Britain's main opposition Labour Party leader Jeremy Corbyn's suggestion of waiting for the bill to pass before accepting a general election after the government's defeat on Standing Order 24, an emergency debate on a no-deal Brexit in the House of Commons in London on September 3, 2019. - Prime Minister Boris Johnson suffered a major parliamentary defeat over his Brexit strategy on Tuesday, which could delay Britain's exit from the European Union next month and force an early election. (Photo by - / PRU / AFP) / RESTRICTED TO EDITORIAL USE - MANDATORY CREDIT " AFP PHOTO / PRU " - NO USE FOR ENTERTAINMENT, SATIRICAL, MARKETING OR ADVERTISING CAMPAIGNS - EDITORS NOTE THE IMAGE HAS BEEN DIGITALLY ALTERED AT SOURCE TO OBSCURE VISIBLE DOCUMENTS

চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট রোধে একটি আইন পাশের চেষ্টার প্রথম পর্যায়ের ভোটে সরকারকে হারিয়েছে টোরি বিদ্রোহী ও বিরোধী দলীয় এমপিরা। হাউস অব কমনসে ৩২৮-৩০১ ভোটে হেরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

এতে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন এমপিরা। কাজেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার তারিখ পিছিয়ে দিতে পারবেন তারা।-খবর বিবিসি অনলাইনের

জবাবে বরিস জনসন বলেন, আগাম সাধারণ নির্বাচনের জন্য তিনি একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। বিরোধী দলীয় নেতা জেরেমি করবিন বলেন, একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই বিলটি পাশ করতে হবে।

সরকারকে হারাতে সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ২১ টরি এমপি বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। ভোটের পর ডাউনিং স্ট্রিট বলছে, বিদ্রোহী এমপিদের সংসদীয় দল থেকে বহিষ্কার করা

১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট মনে করে বহিষ্কারের হুমকি ও নতুন নির্বাচনের ঘোষণার মাধ্যমে বিদ্রোহীদের ঠিক পথে আনা সম্ভব হবে।

দীর্ঘদিন সংসদীয় দায়িত্ব পালনকারী ও সাবেক অর্থমন্ত্রী কেন ক্লার্ক বিবিসি নিউজনাইটকে বলেন, তিনি এখনো একজন মূলধারার কনজারভেটিভ। কিন্তু তিনি নিজের দলকে আর স্বীকৃতি দিতে পারছেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের সঙ্গে ব্রেক্সিট আলোচনার নিয়ন্ত্রণ নিতে এমপিদের এই বিল অনেক অস্থিতিশীলতা, বিলম্ব ও বিভ্রান্তি নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে অক্টোবরে নির্বাচন দেয়া ছাড়া তার হাতে কোনো বিকল্প থাকবে না। দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আগামী ৩১শে অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার কথা। কীভাবে, কোন চুক্তিতে সেই বিচ্ছেদ হবে, এ নিয়েই চলছে এখন আলোচনা।

তবে এই বিচ্ছেদ নিয়ে কোন চুক্তি হোক বা না হোক, নির্ধারিত তারিখেই ব্রেক্সিট কার্যকর করার ব্যাপারে অনড় থাকার কথা বলেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

ভোটে জয়ের ফলে আজ বুধবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেলেন বিরোধী ও বিদ্রোহী এমপিরা। এই ভোটের ফলে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিরোধীরা ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে পার্লামেন্টে বিল আনতে পারবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

ব্রেক্সিট: পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ নিল এমপিরা

আপডেট টাইম : ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯

চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট রোধে একটি আইন পাশের চেষ্টার প্রথম পর্যায়ের ভোটে সরকারকে হারিয়েছে টোরি বিদ্রোহী ও বিরোধী দলীয় এমপিরা। হাউস অব কমনসে ৩২৮-৩০১ ভোটে হেরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

এতে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছেন এমপিরা। কাজেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে আসার তারিখ পিছিয়ে দিতে পারবেন তারা।-খবর বিবিসি অনলাইনের

জবাবে বরিস জনসন বলেন, আগাম সাধারণ নির্বাচনের জন্য তিনি একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন। বিরোধী দলীয় নেতা জেরেমি করবিন বলেন, একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগেই বিলটি পাশ করতে হবে।

সরকারকে হারাতে সাবেক মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ২১ টরি এমপি বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। ভোটের পর ডাউনিং স্ট্রিট বলছে, বিদ্রোহী এমপিদের সংসদীয় দল থেকে বহিষ্কার করা

১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট মনে করে বহিষ্কারের হুমকি ও নতুন নির্বাচনের ঘোষণার মাধ্যমে বিদ্রোহীদের ঠিক পথে আনা সম্ভব হবে।

দীর্ঘদিন সংসদীয় দায়িত্ব পালনকারী ও সাবেক অর্থমন্ত্রী কেন ক্লার্ক বিবিসি নিউজনাইটকে বলেন, তিনি এখনো একজন মূলধারার কনজারভেটিভ। কিন্তু তিনি নিজের দলকে আর স্বীকৃতি দিতে পারছেন না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের সঙ্গে ব্রেক্সিট আলোচনার নিয়ন্ত্রণ নিতে এমপিদের এই বিল অনেক অস্থিতিশীলতা, বিলম্ব ও বিভ্রান্তি নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে অক্টোবরে নির্বাচন দেয়া ছাড়া তার হাতে কোনো বিকল্প থাকবে না। দেশের জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

আগামী ৩১শে অক্টোবর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ কার্যকর হওয়ার কথা। কীভাবে, কোন চুক্তিতে সেই বিচ্ছেদ হবে, এ নিয়েই চলছে এখন আলোচনা।

তবে এই বিচ্ছেদ নিয়ে কোন চুক্তি হোক বা না হোক, নির্ধারিত তারিখেই ব্রেক্সিট কার্যকর করার ব্যাপারে অনড় থাকার কথা বলেছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

ভোটে জয়ের ফলে আজ বুধবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেলেন বিরোধী ও বিদ্রোহী এমপিরা। এই ভোটের ফলে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিরোধীরা ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে পার্লামেন্টে বিল আনতে পারবেন।